• শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

বাবা মানে ভরসার জায়গা

প্রকাশ:  ১৮ জুন ২০২৩, ১৫:৩৭ | আপডেট : ১৮ জুন ২০২৩, ২১:৩৪
ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ

বিশ্ব বাবা দিবস, সারা বিশ্বের সন্তানরা বাবাদের বিশেষভাবে সম্মান জানানোর জন্য জুন মাসের তৃতীয় রবিবার বাবা দিবস হিসেবে পালন করেন। সেই হিসেবে এ বছর ১৮ জুন পালিত হচ্ছে বাবা দিবস। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের একটা বিখ্যাত জনপ্রিয় গানের কলি দিয়ে শুরু করছি :

‘তুমি আমাদের পিতা, তোমায় পিতা বলে যেন জানি, তোমায় নত হয়ে যেন মানি, তুমি কোরো না কোরো না রোষ।

সম্পর্কিত খবর

    হে পিতা, হে দেব, দূর করে দাও যত পাপ, যত দোষ, যাহা ভালো তাই দাও আমাদের, যাহাতে তোমার তোষ। তোমা হতে সব সুখ হে পিতা, তোমা হতে সব ভালো। তোমাতেই সব সুখ হে পিতা, তোমাতেই সব ভালো।

    তুমিই ভালো হে, তুমিই ভালো সকল ভালোর সার,

    তোমারে নমস্কার হে পিতা, তোমারে নমস্কার।’

    মা দিবস বহুদিন ধরে পালন করা হচ্ছে, সেই তুলনায় বাবা দিবসটি অনেক নতুন। বিংশ শতাব্দীর প্রথম থেকে বাবা দিবস পালন শুরু হয়। মায়ের পাশাপাশি বাবাও যে সন্তানের প্রতি দায়িত্বশীল, তা বোঝানোর জন্যই এ দিবসটি পালন করা হয়। মা দিবস বা বাবা দিবস সন্তানের চোখের সামনের পর্দাটি খুলে পিতা-মাতার প্রতি তার দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় করতে মা দিবস বা বাবা দিবসের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। আমাদের পরিবার তথা সমাজে বাবার যে গুরুত্ব তা আলাদাভাবে তুলে ধরাই বাবা দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য। পৃথিবীর সব বাবার প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রকাশের ইচ্ছা থেকে যার শুরু। বাবা দিবস হলো বাবার প্রতি সন্তানের ভালোবাসা প্রকাশের একটি অন্যতম দিন। সারা পৃথিবীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশেও দিনটি উদযাপন করা হয়। দিবসটিতে পৃথিবীর সব বাবার জন্য শুভেচ্ছা। আমাদের বিশ্বস্ততার জায়গা হলো জন্মদাতা মা-বাবা। এ পৃথিবীতে তাঁদের মতো আপনজন আর কেউ নেই। তাঁরা আমাদের জন্য মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ রহমত।

    সব ধর্মেই বাবার সন্তুষ্টির কথা বলা হয়েছে। মহান আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘‘তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন, তাকে ছাড়া অন্য কারও ইবাদত কর না এবং তুমি পিতা-মাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করিও। যদি তোমার সম্মুখে তাহাদের একজন কিংবা উভয়ে বার্ধক্যে উপনীত হন, তবে তাদেরকে ‘উহ্’ শব্দটিও বলিও না, আর তাদেরকে ধমক দিও না এবং তাদের সঙ্গে খুব আদবের সঙ্গে কথা বলিও এবং তাদের সম্মুখে করুণভাবে বিনয়ের সহিত নত থাকিবে। আর এইরূপ দোয়া করিতে থাকিবে, হে আমার পরওয়ারদেগার, তাদের উভয়ের প্রতি দয়া করুন যেইরূপ তাহারা আমাকে লালন-পালন করিয়াছেন শৈশবকালে।’’ (সুরা বনি ইসরাইল : ২৩, ২৪)।

    প্রিয় নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেশত। আর সে বেহেশত অর্জন করার পূর্বশর্ত হচ্ছে তাঁদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা, নরম ভাষায় কথা বলা, সম্মানের চোখে দেখা’। পিতা-মাতা সব সময় সন্তানের কল্যাণের কথা ভাবেন। তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে কোনো সন্তান কখনো সফলতার পথে এগিয়ে যেতে পারে না। মা-বাবার অবাধ্য সন্তানের ধ্বংস অনিবার্য। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহর সন্তুষ্টি পিতার সন্তুষ্টিতে এবং আল্লাহর অসন্তুষ্টি পিতার অসন্তুষ্টিতে’। (তিরমিজি-১৮৯৯)।

    শাস্ত্রে বলা হয়, পিতা স্বর্গ পিতা ধর্ম পিতাহী পরমং তপঃ। পিতরী প্রিতিমাপন্নে প্রিয়ন্তে সর্ব দেবতা। অর্থ- ‘পিতাই ধর্ম, পিতাই স্বর্গ, পিতাই পরম তপস্যা। পিতাকে খুশি করলে সকল দেবতা খুশি হন।’

    সন্তানের প্রতি বাবার ভালোবাসা চিরন্তন। বাবা মানে ভরসার জায়গা, পরম নির্ভরতার প্রতীক, এক সাগর ভালোবাসা। বাবা মানে উত্তপ্ত সূর্যের নিচে সন্তানের শীতল ছায়া। বাবা মানে নির্ভরতার আকাশ, বাবা মানে নিরাপত্তার চাদর, বাবা শাশ্বত চির আপন, বাবা সন্তানের মাথার ওপর বটবৃক্ষের ছায়ার মতো, যার স্নেহ অবারিত ধারায় শুধু ঝরতেই থাকে। বাবা যখন শিশুর কচি হাতটি আঁকড়ে ধরে হাঁটতে থাকে, আদর করে কোলে তুলে দুই গালে দুটো চুমু দেয় তখন দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয় তাঁদের সম্পর্ক কতটা গভীর।

    বাবাকে কে না ভালোবাসে! বাবা সব সন্তানের কাছেই পরম পূজনীয়, সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়স্থল। বাবার মাধ্যমেই সন্তানের জীবনের শুরু। বাবার ছায়ায় বড় হওয়া সন্তান জানে কতটা নির্ভরতায় বেড়ে উঠেছে সে, আবার জীবন কত কঠিন তা জানে বাবাহীন বড় হওয়া সন্তানরা। যার বাবা নেই একমাত্র সে-ই জানে বাবা না থাকার বেদনা। বাবা শব্দটি পৃথিবীর সর্বত্র নিখাদ ভালোবাসার সঙ্গেই উচ্চারিত হয়। কারণ সন্তানের ভালোর জন্য জীবনের প্রায় সবকিছুই নির্দ্বিধায় ত্যাগ করতে হয় বাবাকে। বাবার রূপে ফুটে ওঠে কখনো শাসন কখনো ভালোবাসা।

    সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রে বাবা দিবসটি প্রথম পালন করা হয়। যদিও শুরু নিয়ে বেশ কয়েকটি গল্প প্রচলিত আছে। ১৯০৮ সালের ৫ জুলাই আমেরিকার পশ্চিম ভার্জিনিয়ার ফেয়ারমন্টের এক গির্জায় এ দিনটি প্রথম পালিত হয়। ডড নামের ওয়াশিংটনের এক ভদ্র মহিলার মাথায় বাবা দিবসের আইডিয়া আসে। ডড এ আইডিয়াটা পান গির্জার এক পুরোহিতের বক্তব্য থেকে, সেই পুরোহিত আবার মাকে নিয়ে অনেক ভালো ভালো কথা বলছিলেন। ডডের মনে হয়, তাহলে বাবাদের নিয়েও তো কিছু করা দরকার। ডড তার বাবাকে খুব ভালোবাসতেন। তিনি সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগেই পরের বছর, ১৯ জুন, ১৯১০ সাল থেকে বাবা দিবস পালন করা শুরু করেন।

    অন্য গল্পটি হলো- ওয়াশিংটনের সোনোরা লুইস স্মার্ট নামের একজন ভদ্র মহিলা এ দিনটি উদযাপন শুরু করেন। ষষ্ঠ সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে মা মারা গেলে তার বাবা ছয় সন্তানকে বড় করে তোলেন। সোনোরা লুইস স্মার্ট ১৯০৯ সালে গির্জায় কোনো একজন পাদ্রীর একটি বক্তব্যে ‘মা দিবসের’ কথা জানতে পারেন। তখন তার মনে হলো, বাবার জন্যও এরকম একটি দিবস পালন করা উচিত। তার এ সুন্দর ধারণাটা স্থানীয় বেশ কয়েকজন ধর্মযাজক গ্রহণ করেন। এরপর থেকে ১৯১০ সালের ১৯ জুন প্রথমবারের মতো বাবা দিবসটি পালন করা শুরু হয়।

    আসলে মা দিবস নিয়ে মানুষ যতটা উৎসাহ দেখাত, বাবা দিবসে মোটেও তেমনটা দেখাত না, বরং বাবা দিবসের বিষয়টি তাদের কাছে ততটা গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। আপাতদৃষ্টিতে অনেকের কাছেই মা দিবস বা বাবা দিবস পালনের বিষয়টি খুব একটা গুরুত্ব পায় না। তবে ধীরে ধীরে অবস্থা পাল্টায়, ১৯১৩ সালে আমেরিকান সংসদে বাবা দিবসকে ছুটির দিন ঘোষণা করার জন্য একটা বিল উত্থাপন করা হয়। ১৯২৪ সালে তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ক্যালভিন কুলিজ বিলটিতে পূর্ণ সমর্থন দেন। অবশেষে ১৯৬৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি জনসন সিদ্ধান্ত নেন, প্রতি বছর জুনের তৃতীয় রবিবার বাবা দিবস হিসাবে পালন করা হবে। ছয় বছর পর প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন এটিকে আইনে পরিণত করেন। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে জুন মাসের তৃতীয় রবিবার বাবা দিবস হিসেবে পালিত হয়।

    সন্তানের জন্য বাবার ভালোবাসা অসীম, অকৃত্রিম, স্বার্থহীন। মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট বাবর সন্তানের প্রতি বাবার ভালোবাসার এক অনন্য উদাহরণ হয়ে আছেন। মুঘল সাম্রাজ্যের ইতিহাসে একটি ঘটনা সবাইকে হতচকিত করে। বাবরপুত্র হুমায়ুন জটিল রোগে আক্রান্ত হলেন, বাঁচার কোনো আশা রইল না। সম্রাট বাবর রোগগ্রস্ত পুত্র হুমায়ুনকে বাঁচাতে আল্লাহতায়ালার কাছে প্রার্থনা করেছিলেন তাঁর নিজের জীবনের বিনিময়ে পুত্রের জীবন ভিক্ষার। হুমায়ুন সুস্থ হয়ে ওঠেন আর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন সম্রাট বাবর। এমন স্বার্থহীন যার ভালোবাসা সেই বাবাকে সন্তানের খুশির জন্য জীবনের অনেক কিছুই ত্যাগ করতে হয়। বাবা দিবসে সন্তানদের সামনে সুযোগ আসে বাবাকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ভালোবাসা জানানোর। সমাজে এবং পরিবারে বাবাদের যে অবদান, বাবা দিবস পালনে নিজের সন্তানের মূল্যায়নে, বাবারাও কিন্তু বেশ পুলকিত বোধ করেন।

    অনেক সন্তানই আছে যারা পিতা-মাতার দেখাশোনার প্রতি খুব একটা মনোযোগী নয়। সংসারের জন্য কত কষ্টই না করতে হয় একজন বাবাকে। তিনি তাঁর সন্তানকে জীবনের সব উত্তাপ থেকে সামলে রাখেন। অথচ সেই বাবাকে আমরা অনেকেই কষ্ট দিতেও দ্বিধা করি না। সন্তানের সঙ্গে বাবার যে নিবিড় সম্পর্ক, তা আমাদের সমাজে কতটুকু বিদ্যমান? বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক সন্তান তাদের বাবাকে ভাবে বোঝা। বাবার বুকফাটা তীব্র যন্ত্রণার আর্তনাদ না শোনার মতো সন্তানও আছে এ সমাজে। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে যে বাবা সন্তানদের মানুষ করেন, সব সঞ্চয় ব্যয় করেন, হাজারো কষ্ট সয়ে তিলে তিলে যে সন্তানকে বড় করেন, যে বাবা-মা এক সময় নিজে না খেয়েও সন্তানের মুখে তুলে খাইয়ে দিতেন, জীবনসায়াহ্নে এসে বৃদ্ধ বয়সে অনেকেই অনেকটা অসহায়। তাঁরা নিজেদের জীবনের সব ধন-সম্পদ, সময় বিনিয়োগ করেছিলেন সন্তানের জন্য, রাখেননি নিজের জন্য কিছুই, তাঁরাই আজ সন্তানের অবহেলা-অযত্নের কারণে, কখনো কখনো দুর্ব্যবহারের শিকার হয়ে আশ্রয় নেন বৃদ্ধনিবাসে। দেখা যায় আর্থিকভাবে সচ্ছল সন্তান নৈতিকতার অবক্ষয়ের চূড়ান্ত দৃষ্টান্ত স্থাপন করে বাবাকে ত্যাগ করে ফেলে যাচ্ছে এসব বৃদ্ধাশ্রমে। তাঁদের খরচ দেওয়া তো দূরে থাক, একবার গিয়ে খবরও নেয় না। আঁস্তাকুড়ে আবর্জনা ফেলার মতো করে একবার বৃদ্ধাশ্রমে দিয়েই মনে হয় দায়িত্ব শেষ।

    করোনা মহামারির সময়ে তাঁদের দুর্ভোগের মাত্রা যে অনেক বেড়ে গিয়েছিল তা বলাই বাহুল্য। ওই সময় সংবাদমাধ্যমে খবর বেরিয়েছিল বৃদ্ধ মা-বাবাকে রাস্তায় ফেলে চলে গেছেন সন্তান। এক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁর স্ত্রী, পুত্র, মেয়ে সবাই মিলে তাঁকে একটি ঘরে বন্দি করে রাখেন। তিনি যাতে ঘর থেকে বের হতে না পারেন সে জন্য বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে রাখা হয়। মৃত্যুর আগে তিনি অনেক ডাকাডাকি করলেও কেউ দরজা খোলেনি, এমনকি তাঁকে খাবারও দেওয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত তিনি মারা যাওয়ার পর পরিবারের কেউ তাঁকে শেষ দেখা দেখে দাফনটুকু করতেও আসেনি, পাড়া-প্রতিবেশীরা তাঁকে দাফন করেন।

    আরও একটি ঘটনার অবতারণা করছি। এক বাবা একজন পুত্রসন্তান পেতে অস্থির, তাঁর স্ত্রী পরপর ৯টি কন্যাসন্তান জন্ম দেন। এর পরের সন্তানটি হয় পুত্র, বাবা পরম শান্তির সঙ্গে পুত্রসন্তানের মুখ দেখে আনন্দে আত্মহারা হন। আস্তে আস্তে ছেলেটি বড় হতে থাকে, সব মেয়ের বিয়ে হয়, তারা স্বামীর বাড়িতে চলে যায়। এক সময় বাবা যখন অকর্মণ্য বৃদ্ধ অবস্থায় পতিত হন, ওই আদরের ছেলেটাই বাবাকে বোঝা মনে করতে থাকে। কোনো এক সময় বাবা একটি ছোট্ট আবদার করে বসেন, এতে ছেলেটি ক্ষিপ্ত হয়ে বাবাকে মারতে মারতে বাড়ির বাইরে রাস্তার ধারে ফেলে আসে। যে বাবা তাঁর হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা আর সবকিছু বিসর্জন দিয়ে ছেলেকে লালন-পালন করেছেন- শেষ বয়সে এই তার প্রতিদান।

    নানা কারণে একান্নবর্তী পরিবারগুলো ভেঙে যাচ্ছে, আর তাতে স্থান হচ্ছে না বাবা-মায়ের। ঝামেলা এড়াতে বয়স্ক বাবা-মাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে তাদের দিনগুলো কত কষ্টে কাটে সে ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়াটাও অনেকে প্রয়োজন মনে করেন না। সন্তান নিজে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার আগ পর্যন্ত বাবা-মাকে নিঃশেষ করে তাঁদের শেষ বয়সে ছুড়ে ফেলার জন্যই এরকম একটা বৃদ্ধাশ্রম হয়তো দরকার ছিল।

    সন্তানের পক্ষ থেকে বিশ্ব বাবা দিবসে সব বাবার প্রতি রইল সম্মান, শ্রদ্ধা ভালোবাসা ও শুভ কামনা। ছোট-বড়, অখ্যাত-বিখ্যাত সবার কাছেই বাবা অসাধারণ। নির্ভরতা ভরসার গভীর সম্পর্কের নাম বাবা। বাবার স্নেহ-ভালোবাসা সবারই প্রথম চাওয়া আর পাওয়া। সন্তানের প্রতি বাবার যেমন ভালোবাসা, তেমনি বাবার প্রতিও সন্তানের হৃদয়ে পুঞ্জীভূত থাকুক গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ। বিশ্বের সব বাবা ভালো থাকুক, সুস্থ থাকুক, এটাই আল্লাহতায়ালার দরবারে প্রার্থনা, তিনি যেন আমাদের প্রিয় বাবা-মাকে দীর্ঘায়ু দান করেন এবং সুস্থ রাখেন। মনে রাখতে হবে, বাবাকে ভালোবাসতে বাবা দিবস লাগে না, প্রতিটা দিন, প্রতিটা ঘণ্টা, প্রতিটা মিনিট, প্রতিটা সেকেন্ডই বাবাকে ভালোবাসা যায়।

    লেখক: প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক

    সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন

    পূর্বপশ্চিমবিডি/এসআর

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close