• মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

সরকারের মধ্যে খুনী মোশতাকের প্রেতাত্মারা

প্রকাশ:  ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০৩
সৈয়দ বোরহান কবীর

আকাশ ঘন কালো মেঘে ঢাকা। নদী উত্তাল। নৌকায় যাত্রী পরিপূর্ণ। চারদিকে ঘোর অন্ধকার। নির্ভীক নাবিক এর মধ্যেই শক্ত হাতে হাল ধরে আছেন। তার লক্ষ্য প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেই বন্দরে পৌঁছানো। নৌকার যাত্রীরা সবাই মাঝির সহযোগী। কিন্তু হঠাৎ মেঘ চিঁড়ে বজ্রপাত। এক ফালি বিদ্যুতের ঝলকে দেখা গেল যাত্রীদের চেহারা। এদের কেউ ভয়ার্ত। কেউ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। কেউ সাহসী, কেউ অজানা উদ্বেগে আতংকিত। দেখা গেল নৌকায় বসে আছে এক প্রাণঘাতী খুনী। তার হাতে ভয়ংকর অস্ত্র। মাঝির খুব কাছেই বসে আছে মুখ চাদরে ঢাকা এই খুনী। বিদ্যুতের ঝলকানিতে তার চাদর খসে পরলো। বেরিয়ে এলো তার ভয়ংকর অস্ত্র। না, এটি কোন গল্প নয়। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ভাবতে গিয়ে যদি কেউ চোখ বন্ধ করেন, তাহলে এমন একটি দৃশ্যই দেখবেন। রাজনীতি, অর্থনীতি সবক্ষেত্রেই অনিশ্চয়তার অন্ধকার। কেউ জানেনা, দেশে কি হচ্ছে, কি হবে? রাজনীতির পথ অন্ধকারে ঢাকা। সামনে কিছুই দেখা যাচ্ছে না। এই অন্ধকার পথে বজ্রপাতের মতো ড. ইউনূস ইস্যু সামনে এলো। আর বিদ্যুতের হঠাৎ ঝলকানিতে দেখা গেল এক আইন কর্মকর্তার চেহারা। ঠিক যেন খুনী মোশতাক। অথবা মোশতাকের প্রেতাত্মা। সরকারের ভেতর কি তাহলে এভাবেই লুকিয়ে আছে খুনী মোশতাকের প্রেতাত্মারা?

নির্বাচন হবে কিনা? তা এখন কোটি টাকার প্রশ্ন। টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই মনে করেন তারা ক্ষমতার চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করে ফেলেছেন। যার সাথেই কথা বলি, তিনিই বলেন, কোন চিন্তা নাই। শেখ হাসিনা নির্বাচন করে ফেলবেন। একাকী পেলে সেই নেতারাই বলেন, ভাই কি হচ্ছে? সব কিছু ঠিক আছে তো? আওয়ামী লীগের বেশির ভাগ নেতাই মনে প্রাণে চান, বিএনপি আগামী নির্বাচন বর্জন করুক। এক তরফা নির্বাচন করে টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসবে আওয়ামী লীগ—এমন স্বপ্নে বিভোর অনেকে। কিন্তু রাজনীতির পথ যে ক্রমশ দুর্গম এবং পিচ্ছিল হয়ে উঠছে, তা আওয়ামী লীগের অনেকেই উপলব্ধি করতে পারছে না। এরকম পরিস্থিতির মধ্যে শেষ পর্যন্ত একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করাটা যে কতটা চ্যালেঞ্জের তা বোঝার মতো রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ক্ষমতাসীন দলের ক’জনের আছে? অথবা আওয়ামী লীগের ঘাড়ে চেপে বসেছে খুনী মোশতাকের ভূত। এরাই বিভ্রান্ত করছে দল এবং সরকারকে। এরা তোষামোদ আর চাটুকারিতা করছে প্রকাশ্যে। আর ষড়যন্ত্র করছে গোপনে।

রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনিশ্চয়তার ভরা হলেও সংকট কাটানো যায়। যদি অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো থাকে। ‘পেটে খেলে পিঠে সয়।’ গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ যে টানা ক্ষমতায় থেকেছে তার একটি বড় কারণ হলো অর্থনীতি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিস্ময়কর সাফল্য অর্জন করেছে। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেস, কর্ণফুলী টানেল ইত্যাদি। অবকাঠামো উন্নয়ন শুধু নয়। জনগণের আয় বেড়েছে। জীবন মান উন্নত হয়েছে। সঞ্চয় করে মানুষের স্বপ্ন বড় হয়েছে। ধন পূরণের সাহস তৈরী হয়েছে মানুষের মধ্যে। একারণেই ‘রাজনীতি’ ‘ভোট’ এসব নিয়ে এদেশের নাগরিকরা আর আগের মতো মাথা ঘামায় না।২০১৪ সালে একতরফা নির্বাচনের পরও জনগণ তার প্রতিবাদ করেনি তার প্রধান কারণ সুখী অর্থনীতি। নিরাপদ জীবন। জনগণ ক্ষমতার ধারাবাহিকতাকেই সমর্থস দিয়েছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চেয়েছে। কিন্তু সেই অর্থনীতি এখন এক দুর্যোগের মধ্যে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে উদ্বেগজনক হারে। হু হু করে বাড়ছে জিনিস পত্রের দাম। নিত্য পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে বহু আগেই। দ্রব্যমূল্য নিয়ে প্রতিদিন তেলেসমাতি কারবার চলছে। মানুষ বাজার নিয়ে আগে হতাশ ছিলো, এখন ক্ষুব্ধ। ব্যাংক গুলো এখন কিছু দূর্বৃত্তের লুটপাটের খনিতে পরিণত হয়েছে। অর্থনীতি ডুবছে। নিমজ্জমান অর্থনীতিকে বাঁচাতে কান্ডারীরা কেউ অসুস্থ। কেউ ভুল পথ দেখাচ্ছেন। আর্থিক খাতেও নব্য মোশতাকদের পদধ্বনি শুনি। এরা বলছে সব কিছু ঠিক আছে। কোন সমস্যা নেই। কোন সংকট নেই। এরাই খুনী মোশতাকের প্রেতাত্মা।

ভাবতে অবাক লাগে, হঠাৎ কি হলো? ক্রমশ সব কেন এলো মেলো? এই ভাবনার উত্তর খুঁজে পাওয়া গেল ড. ইউনূসকে নিয়ে এক সরকারি আইনজীবীর বক্তব্যে। সরকারের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদ ভুইয়াঁর কান্ডে। বুঝে গেলাম, এমরানের মতো নব্য মোশতাকরাই সরকারের ভেতরে থেকে সর্বনাশ করছে। এরা মুখোশ পড়া। ছদ্মবেশী। হঠাৎ বিদ্যুতের ঝলকানিতে যেমন খুনীর চেহারা দেখা গেল। ঠিক তেমনি, ইউনূস ইস্যুতে দেখা গেল, সরকারের ভেতরেই লুকিয়ে থাকা খুনীর প্রেতাত্মাকে। এরা সরকারের বারোটা বাজাচ্ছে। এদের এখন সাহস, ধৃষ্টতা এতো বেড়েছে যে, এরা সরকারের নীতি এবং অবস্থানের বিরোধিতা করছে। সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে। অথবা গোপনে সরকারের সর্বনাশ করছে। ড.ইউনূস নিয়ে আমি নতুন করে কিছু লিখতে চাইনা। তার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী সরকারের অবস্থান পরিস্কার করেছেন। প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক ভাবে বলেছেন,

১. ড. ইউনূস বিষয়টি সরকারের নয়। শ্রমিকদের সাথে তার পাওনা সংক্রান্ত। এখানে সরকার কোন পক্ষ নয়।

২. আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। আইন সকলের জন্য সমান।

প্রধানমন্ত্রী সরকারের প্রধান নির্বাহী। কাজেই তার বক্তব্যই সরকারের অবস্থান। একজন সরকারের আইন কর্মকর্তা (ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল) পদে থেকে কিভাবে সরকারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করতে পারেন। এমরান আহমেদ যদি ‘ভদ্রলোকের সন্তান’ হতেন তাহলে তিনি আগে পদত্যাগ করতেন, তারপর নিজস্ব চিন্তা প্রসূত বক্তব্য দিতেন। কিন্তু পদে থেকে তিনি এই বক্তব্য দিয়ে দেখাতে চেয়েছেন, সরকারের ভেতরও ড. ইউনূসের পক্ষের লোক আছে। তারা (এমরান) সরকারের চেয়েও ড. ইউনূস এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অনুগত। প্রয়োজনে নব্য মোশতাক হতে তারা দ্বিধা করে না। এরকম ধৃষ্টতা দেখিয়ে এমরান প্রমাণ করতে চাইলেন সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই। সরকারের চারপাশে থাকা ‘আপনজন’রাই সরকারের দিকে অস্ত্র তাক করতে এক মুহুর্ত দেরী করবে না। এই আইন কর্মকর্তা আমাদের চোখ খুলে দিলো। সরকারের ভেতরে থাকা এরকম বহু মানুষ আছে, যারা নব্য মোশতাক। নব্য ষড়যন্ত্রকারী। খুনী মোশতাকের প্রেতাত্মারা ভর করেছে এদের উপর। আমি মনে করি, ড. ইউনূস ইস্যুতে হিলারি-ওবামার বিবৃতি যতোটা না সরকারের জন্য ক্ষতিকর হয়েছে, তার চেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে নব্য মোশতাক এমরানের বক্তব্য। কারণ, ড. ইউনূসের প্রতি হিলারির ‘ভালবাসা’ এবং পক্ষপাত নতুন বিষয় নয়। ড. ইউনূসের বিচার বন্ধ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ১৬০ জনের খোলা চিঠি বাংলাদেশের জনগণের করছে তেমন কোন প্রতিক্রিয়া ফেলেনি। সবাই কম বেশি ড. ইউনূসের মার্কিন অনুগত্যের কথা জানে। কিন্তু রাষ্ট্রের একজন আইন কর্মকর্তা যখন ড. ইউনূস ‘বিচারিক হয়রানি’র শিকার বলে প্রকাশ্যে বিবৃতি দেন, তখন তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করেন, সত্যি বোধ হয় তাকে (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) হয়রানি করা হচ্ছে। বাইরে মানুষ নয়। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরাও নয়। যারা সরকারের ভেতরে আছে, তারাই সরকারের সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা করতে পারে। যেমনটি ১৯৭৫ এ করেছিল খুনী মোশতাক। ৭২ থেকে ৭৫ পর্যন্ত খুনী মোশতাক বঙ্গবন্ধুর কোন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেনি। কোন সিদ্ধান্তের সাথে ভিন্নমত পোষণ করেনি। কিন্তু ১৫ আগস্টের পর এই খুনী হয়ে যান বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় সমালোচক। মুহুর্তে পক্ষ পাল্টান। আরো দুর্ভাগ্যজনক হলো, এই খুনী জাতির পিতার প্রায় সব মন্ত্রীকেই তার মন্ত্রীসভায় নিয়ে নেন। মানুষ বিভ্রান্ত হয়। ন্যায়-অন্যায়ের পার্থক্য করতে গিয়ে গোলক ধাঁধাঁয় আটকে যায়। এমরান এমন কাজটিই করেছেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সরকারের ভেতর এরকম বহু এমরান ওরফে নব্য মোশতাক ঘাপটি মেরে আছে। এরা এদের মারাত্নক অস্ত্র গুলো আড়াল করে রেখেছে। সুযোগ পেলেই এরা আঘাত হানবে। প্রশ্ন হলো, এমন ‘নব্য মোশতাক’রা আওয়ামী লীগে ঢুকলো কিভাবে?

কিভাবে তারা রাষ্ট্র এবং সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদ-পদবী পেলো? আসুন এমরান কিভাবে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হলো সে ব্যাপারে তথ্যানুসন্ধান করি। একে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল করা হয়েছে আইন মন্ত্রণালয় থেকে। আইনমন্ত্রীকে নিশ্চয়ই তার ব্যাপারে কেউ সুপারিশ করেছেন। সুপারিশকারী নিশ্চয়ই এমরানের জেলারই কোন ব্যক্তি (এমরানের গ্রামের বাড়ী কুমিল্লা)। সুপারিশকারী আইনমন্ত্রীর এতোই ঘনিষ্ট যে, এরকম অনুরোধ তিনি ‘উপেক্ষা’ করতে পারেননি। সুপারিশ পাওয়া মাত্রই তিনি আবেগে আপ্লুত হয়েছেন। তার (এমরানের) ঠিকুজী যাচাই বাছাই না করেই, তাকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রিয়জনের অনুরোধ রক্ষা না করতে না পারলে কিসের মন্ত্রী? শুধু আইনমন্ত্রী একা নন, বহু মন্ত্রী প্রতিদিন নানা সরকারী কর্মকর্তার জন্য ডিও দেন। পদোন্নতির সুপারিশ করেন। ভালো পোস্টিং এর জন্য তদবির করেন। প্রভাবশালী আমলারা তার ঘনিষ্ট এবং আজ্ঞাবহদের ভালো পদ দিতে চান। হোক না তারা বিএনপি-জামায়াত। আদর্শ, রাজনীতি, ব্যক্তিগত ভালবাসা এবং লাভের কাছে পরাজিত হয়। ক’দিন আগে সরকারের অন্যতম একজন সিনিয়র মন্ত্রী এক আমলাকে সচিব বানানোর জন্য উঠে পড়ে লাগলেন। পরে দেখা গেল, যার জন্য মন্ত্রী তদবির করছেন তিনি শিক্ষাজীবনে ছাত্রদলের ক্যাডার ছিলো। এরকম বহু ছাত্রদল কিংবা শিবিরের ক্যাডাররা এখন প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে। এক ছাত্রদলের নেতাকে অবসর থেকে তুলে এনে ওয়াশিংটনে রাষ্ট্রদূত পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। তার ছোট ভাই ছিলো শিবিরের নেতা। ঐ ব্যক্তি ওয়াশিংটনে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র র‌্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা দিলো। ঢাকার নিষেধাজ্ঞার খবর জানিয়ে তিনি সেলিব্রেশন পার্টিতে যোগদিলেন। সরকারের যখন টনক নড়লো, তখন সর্বনাশ যা হবার তা হয়ে গেছে। ছাত্রদলের আরেক ক্যাডারকে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য করা হয়েছে। বৈদেশিক ঋণের প্রস্তাবগুলো আটকে দেয়া তার এখন একমাত্র কাজ। দেশে ডলার সংকট না হলে তার মিশন কিভাবে সফল হবে? তিনি যে কোন প্রস্তাবে দুর্নীতি আবিস্কার করেন তারপর সংবাদপত্রকে ডেকে তথ্য উপাত্ত দেন। সরকারকে দুর্নীতিবাজ প্রমাণ করার কাজে ব্যস্ত থেকেও বহাল এবিষয়ে আছেন এই ‘নব্য মোশতাক’। আইএমইডি বলে সরকারী একটি প্রতিষ্ঠান যেন বিএনপির তথ্য সেল। বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি নিয়ে ডেইলি স্টারের একটি রিপোর্টই প্রতিষ্ঠানটির ওয়েব সাইটে তুলে দেয়া হলো। কি আশ্চর্য। এদের দু’একজনকে শাস্তি দেয়া হয়েছে বটে। কিন্তু এখনও এখানে মোশতাকের প্রেতাত্মারা রয়েই গেছে। এরকম বহু উদাহরণ দেয়া যায়। মোশতাকের প্রেতাত্মারা এখন ভর করেছে সরকারের সব গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়।

সরকারের শেষ সময়ে এসে খুনী মোশতাকের প্রেতাত্মারা এখন সক্রিয়। সরকারের ভেতরেই শুরু হয়েছে খুনীর ভুতের নৃত্য। এরা একদিকে সরকারকে ব্যর্থ করতে মরিয়া, অন্যদিকে সরকারের সমালোচনার অস্ত্র তুলে দিচ্ছে প্রতিপক্ষের হাতে। এমরান তার শেষ উদাহরণ। অপেক্ষা করুন, সামনে আরো নব্য মোশতাকের কান্ডকারখানা দেখবেন। বিএনপি কিংবা ড. ইউনূস নয় আগে ঘরের নব্য মোশতাকদের সামাল দিন।

সৈয়দ বোরহান কবীর, নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত

ই-মেইল: [email protected]

সৈয়দ বোরহান কবীর
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close