• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

নগরপিতা বিড়াল, হলফনামা ও রেখা-অমিতাভ প্রেম

প্রকাশ:  ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৩৪
নঈম নিজাম

রাষ্ট্রের নাগরিক হয়ে আপনি ভোট দেবেন না কেন? রাষ্ট্র আপনাকে সব সুযোগসুবিধা দেবে। বিনিময়ে আপনি ভোটের জন্য একটু সময়ও বের করতে পারবেন না? নির্বাচিত করতে যাবেন না আপনার পছন্দের প্রার্থীকে? বিশ্বের কিছু দেশে ভোট না দিতে গেলে নামমাত্র জরিমানা গুনতে হয়। তার পরও ভোট না দিয়ে হাসিমুখে কিছু ভোটার জরিমানা গোনেন। জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হতে অনেক দেশে প্রার্থী খুঁজে পাওয়া যায় না।

তাই বলে ভোট তো থেমে থাকতে পারে না। প্রার্থী না পাওয়া গেলে প্রতীকীভাবে কাউকে নির্বাচিত করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঙ্গরাজ্যের নাম আলাস্কা। এ রাজ্যের ছোট শহরের নাম টালকিটনা।

সেই শহরের অধিবাসীরা সিদ্ধান্ত নিলেন তাদের শহর দেখভালের জন্য সবচেয়ে যোগ্য প্রাণী হচ্ছে বিড়াল। এ কারণে তারা ভোট দিয়ে একটি বিড়ালকে মেয়র নির্বাচিত করলেন। নির্বাচিত মেয়র আরাম-আয়েশের চোখে শহরবাসীর কাণ্ড দেখে হতাশ না খুশি হলো বোঝা গেল না। মানুষ এখনো বিড়ালের ভাষা বোঝে না বলেই রক্ষা।

নগরবাসী বিড়াল মেয়রকে নিয়ে খুশি। সবাই রাতের পানশালার আলাপ-আলোচনায় বলল, তাদের নির্বাচিত মেয়র দুনিয়াতে সবচেয়ে সৎ ও নিষ্ঠাবান। তিনি কাজের বিনিময়ে ঘুষ নেন না। কারও কোনো ধরনের ক্ষতি করেন না। সব শহরের মেয়র নগবাসীর ওপর নতুন কর আরোপ করেন।অথচ তাদের মেয়র কোনো ধরনের করও আরোপ করেন না। এ নিয়ে তার কোনো উৎসাহ নেই। এর চেয়ে ভালো খবর কী থাকতে পারে নগরবাসীর জন্য? শহরের ব্যবসায়ীরাও খুশি। তাদের বাণিজ্যের ওপর কোনো ধরনের আঘাত মেয়রের কাছ থেকে আসে না। নগরবাসী মাঝে মাঝে লাইন ধরে মেয়রের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। বরফ এলাকার এ শহরে মানুষ প্রার্থী না পাওয়ায় বিড়াল মেয়র কয়েকবার নির্বাচিত হয়েছেন।

ভোট নিয়ে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকে। সরকার চাইলেই ভোট থামিয়ে রাখতে পারে না। নির্ধারিত সময়ে ভোট করতেই হয়। বাংলাদেশে ভোটের আবহাওয়া গরম। ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি এ ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে লিফলেট বিতরণ করছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দল ভোট জমিয়ে তুলছে। প্রার্থীদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ ভোটার উপস্থিতি বাড়ানো। যিনি যত বেশি ভোটার টানতে পারবেন তিনি ততটাই সফল হবেন। ভোটের মাঠে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে আওয়ামী লীগ ভার্সেস স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে। যেসব আসনে স্বতন্ত্র নেই সেসব এলাকার প্রার্থীরা স্বস্তিতে আছেন। তাদের শক্ত কোনো প্রার্থীকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে না। বড় ধরনের কোনো ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে না। ঝামেলা যাচ্ছে ঈগল, ট্রাক, কেটলি, ফুলকপি মার্কা নিয়ে। এসব এলাকায় নৌকা নিয়েও শান্তি নেই। হয়তো তারা আশায় ছিলেন ভোট করতে হবে না। ২০১৪ বা ২০১৮ সালের মতো বিনা ভোটে পার হয়ে যাবেন। এবার পরিস্থিতি ভিন্ন ১০৮ আসনে। এমপি প্রার্থীদের এখানে হাঁসফাঁস দেখে ভাবছি ৩০০ আসনে ঈগল লড়াই করলে অনেকের অস্তিত্ব বিলীন হতো। জামানতও হারাতেন কেউ কেউ।

পাঁচ বছর এমপি সাহেব দাপট নিয়ে চলেন। ভোটের সময় ক্ষমতায় থাকেন ভোটাররা। তারা চাইলে যা খুশি করতে পারেন। উল্টে দিতে পারেন গণেশ। পাশা বদলের রাজনীতিতে ভোটের ট্রেনে বাংলাদেশ। এ ট্রেন স্টেশন ছেড়ে এখন লাইনে চলছে। ৭ জানুয়ারি নির্ধারিত সময়ে পৌঁছাবে গন্তব্যে। মাঝপথে শত চেষ্টা করেও কেউ এক্সপ্রেস ট্রেন থামাতে পারবে না। ট্রেন থামানোর ষড়যন্ত্র আছে। থাকবে। তাতে ভোট বন্ধের সুযোগ নেই। না বুঝে তারা ভুলটা আগেই করেছে। এখন আফসোস করে লাভ নেই। ৭ জানুয়ারির পর বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে নতুন করে হতাশা ছড়াবে। সে হতাশা থেকে কীভাবে মুক্তি কেউ জানে না। ২৮ অক্টোবরের পর কর্পূরের মতো উবে গেছেন বিএনপি কর্মীরা। কত দিনের দম নিয়ে আন্দোলনটা শুরু করেছিলেন বুঝতে পারছি না। হয়তো ভেবেছিলেন আসমানি চাপে সরকার সব করে দেবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাস্তবায়ন করে ক্ষমতায় বসাবে তাদের। দুনিয়াতে কোথায় সরকারি দল ডেকে এনে বিরোধী দলকে ক্ষমতায় বসায়? রাজনীতি এক ধৈর্যের খেলা। হিসাব করে এখানে পা রাখতে হয়। একবার ভুল হলে থমকে যেতে হয়। অপেক্ষা করতে হয়। ৭ জানুয়ারির পর আওয়ামী লীগ আবার সরকার গঠন করবে। বিএনপিকে অপেক্ষা করতে হবে।

দুনিয়ার সব প্রেম, সব আন্দোলন সফল হয় না। ১৯৮৭ সালে এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে সারা দেশে এক দফার আন্দোলন ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল। ঢাকা ছাড়িয়ে সে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল শহর-নগর-বন্দরের আনাচে কানাচে। সবাই ধরে নিয়েছিল এ আন্দোলন সফল হবে। এরশাদ সব পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছিলেন। ১৯৯০ সালের ডিসেম্বরের আন্দোলনটা ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক। দেশের অন্যান্য ক্যাম্পাসেও এ আন্দোলন ছিল। এরশাদ ও তার লোকজন এ আন্দোলনকে ব্যাপক গুরুত্ব দেননি। তারা ভেবেছিলেন কিছু হবে না। শেষ পর্যন্ত সে আন্দোলনেই এরশাদকে বিদায় নিতে হয়েছিল। বিএনপির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ দুটি আন্দোলনে সফল হয়েছিল। প্রথমটি ১৯৯৬ সালে ‘জনতার মঞ্চ’ গঠনের মধ্য দিয়ে। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মেয়র মোহাম্মদ হানিফের নেতৃত্বে জনতার মঞ্চ গড়ে ওঠে। সে মঞ্চ পুলিশ ভেঙে দিত। জনতা এসে আবার তা তৈরি করত। ঢাকার আদলে দেশের সব জেলা শহরে জনতার মঞ্চ গড়ে ওঠে। প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জনতার মঞ্চে যোগ দিয়েছিলেন। বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে আরেকটি চূড়ান্ত আন্দোলন ছিল ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর। সে আন্দোলনেও আওয়ামী লীগ সফল হয়েছিল। আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যবাহী একটি রাজনৈতিক দল। এ দল আন্দোলন করে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিল। এ দল কঠিন বাস্তবতা খুব সহজে গ্রহণ করতে পারে। মোকাবিলা করতে পারে রাজনীতির আড়ালে লুকিয়ে থাকা ষড়যন্ত্র।

আওয়ামী লীগের ২৮ অক্টোবর ২০০৬ আদলে একটা আন্দোলন করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে বিএনপি। অভিজ্ঞতা বলে একটা কথা আছে। শেখ হাসিনা অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। তিনি বাংলাদেশের জাতির পিতার কন্যা। নেতা-কর্মী ধরে রাখতে তিনি আন্দোলনের পাশাপাশি তখন ভোটের দিকে নিয়ে গিয়েছিলেন আওয়ামী লীগকে। সারা দেশের মাঠের কর্মীরা আন্দোলন ও ভোট একসঙ্গে লড়তে থাকে। সে আন্দোলন সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের বিশাল বিজয় ঘরে আসে। বিএনপির সবচেয়ে বড় নেতিবাচক দিক দলটি এখন নেতৃত্বশূন্য। দলের নেত্রী মামলা ও অসুখে কাবু। বেশির ভাগ সময় থাকতে হয় হাসপাতালে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মামলা ও সাজা নিয়ে দেশের বাইরে। এ পরিস্থিতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলকে একটা শক্ত অবস্থানে ধরে রেখেছিলেন। ফখরুল সংসদে বিরোধী দলের নেতা হোন, তাঁর গাড়িতে পতাকা উড়ুক এটা মূল নেতৃত্ব কি চেয়েছিলেন? আমার ধারণা চাননি। আর চাননি বলেই বিএনপি এখন কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। সারা দেশে বিএনপির ভিতরে এক ধরনের হতাশা তৈরি হয়েছে।

বিএনপিকে বুঝতে হবে আন্দোলন ও প্রেম কখনো বলে কয়ে আসে না। এলেও তা টিকিয়ে রাখা কঠিন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জেলে যাওয়ার পর বিএনপি হোঁচট খেয়েছে। অন্যরা তা ধরে রাখতে পারেননি। সন্ত্রাস ও হিংসার রাজনীতিতে সবাই আত্মগোপনে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গোপন অবস্থান থেকে বের হয়ে নেতারা কাজ করছেন। তাতে তেমন সুবিধা হচ্ছে না। রাজনীতি কোনো গোপনীয় কিছু নয়। বলিউড সুপারস্টার অভিতাভ বচ্চনের সঙ্গে রেখার প্রেমের গোপন সম্পর্ক ছিল। সে সম্পর্ক কি গোপন বিয়েতে গড়িয়েছিল? মুখ খোলেননি কেউ। প্রতিকূল পরিবেশে সম্পর্ক ভেঙে গেলেও রেখা বিয়ে না করে একটা জীবন কাটিয়ে দিলেন। বিয়ের গুজব প্রথম উঠে আসে ঋষি কাপুর ও নীতু সিংয়ের বিয়ের দিনের ঘটনায়। হঠাৎ রেখা এ বিয়েতে হাজির হন সিঁথিতে সিঁদুর পরে। সবাই বিস্ময় নিয়ে রেখাকে দেখলেন। প্রশ্নের জবাব দিলেন রহস্যময় হাসিতে। এ নিয়ে আলোচনায় মিডিয়াপাড়া সরগরম হলো। তার পরও রেখা-অমিতাভ মুখ খুললেন না। এখনো অনেক চলচ্চিত্র গবেষক অমিতাভ-রেখার প্রেম-বিচ্ছেদ নিয়ে নানামুখী মত প্রকাশ করেন। ‘সিলসিলা’ ছবিটি ছিল রেখা-জয়া-অমিতাভের ত্রিভুজ প্রেমের গল্প নিয়ে। ছবিতে অমিতাভ গাইলেন, ‘দেখা এক খোয়াব তো ইয়ে সিলসিলে হুয়ে, দূর তক নিগাহোঁ মে হ্যায় গুল খিলে হুয়ে’। গানের ভিতরে রেখা ছুটে এলেন। মিশে গেলেন অমিতাভের বুকে। আবেগাপ্লুত দৃশ্যে গাইলেন, ‘ইয়ে কাহাঁ আ গয়ে হম, ইয়ুঁহি সাথ চলতে চলতে...’। আহা! এখনো চোখে ভাসছে সেই চিত্র। ছবির নায়ক অমিত সব ছেড়ে চলে যান চাঁদনির সঙ্গে ঘর করতে। ভালোই চলছিল রোমান্স। কিন্তু জীবনখাতার কঠিন বাস্তবতায় আবার অমিত ফিরে যান স্ত্রী শোভার কাছে। চাঁদনিকে ছেড়ে দেন। তিনটি জীবনের দীর্ঘশ্বাস নিয়েই ছিল এ ছবি। এ যেন ছবি নয়, কঠিন বাস্তবতা অমিতাভের বাস্তব জীবনের।

অমিতাভ-রেখার প্রেমের সূচনা ১৯৭৬ সালে ‘দো আনজানে’ ছবির শুটিং চলাকালে। জয়া কোনোভাবেই এ প্রেম মেনে নিতে পারেননি। বাঙালি জয়া সিদ্ধান্ত নিলেন সবকিছু সামলে নেবেন। মুখোমুখি হবেন তাঁর স্নেহের রেখার। খোলামেলা কথা বলবেন। মিথ আছে, বাস্তব জীবনে জয়া বচ্চন এক রাতে ডিনারে ডেকেছিলেন রেখাকে। তাঁরা দীর্ঘক্ষণ আড্ডা দিলেন। গল্প করলেন অনেক কিছু নিয়ে। তারপর অনুরোধ করেন অমিতকে ছেড়ে দিতে। আগুনের লেলিহান শিখা থেকে দূরে সরতে। রেখা বলেছিলেন, তিনি পারবেন না ছাড়তে। জয়া বসলেন স্বামী অমিতাভের সঙ্গেও। কথা বললেন শোলে ছবির মতোই সেই অবাক করা ছলছল দৃষ্টি নিয়ে। এর পরই অমিতাভ নিজেকে গুটিয়ে নেন রেখার কাছ থেকে। এ নিয়ে আরেকটি ছবির কথা আনতে হয়। সেই ছবির নাম ‘মুকাদ্দর কা সিকান্দর’। এ ছবিতে জুটি ছিলেন অমিতাভ আর রেখা। এ ছবির প্রজেকশন অমিতাভ দেখতে আসেন পরিবারের সবাইকে নিয়ে। জয়া বসেন সামনের সারিতে। তাঁর কাছাকাছি আসনে ছিলেন রেখা। পেছনের সারিতে মায়ের সঙ্গে বসেন অমিতাভ। হঠাৎ রেখা খেয়াল করলেন, ছবিটি দেখতে দেখতে জয়া কাঁদছেন। তাঁর দুই চোখ দিয়ে ছলছল অশ্রু ঝরছে। রেখা বুঝলেন, জীবন শুধু নাটক নয়। জীবন শুধু অভিনয় নয়। এ জীবনের কঠিন বাস্তবতাও আমাদের মেনে নিতে হয়। রেখাকে বাস্তবতা মানতে হয়েছিল।

মানুষকে আজগুবি বুঝ দিয়ে থামিয়ে রাখার সুযোগ নেই। ভোটের পর আওয়ামী লীগকে অনেক কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। নতুন সরকারকে সামলাতে হবে জটিল অর্থনৈতিক পরিস্থিতি। মাননীয় অর্থমন্ত্রী গত পাঁচ বছর নির্বাচনি এলাকায় যাননি। মন্ত্রণালয়ে কত দিন গেছেন তার হিসাব সরকারের কাছে নিশ্চয়ই আছে। আরেকজন মাননীয় মন্ত্রী ও তার স্ত্রীর আটটি রিয়েল স্টেট কোম্পানি আছে যুক্তরাজ্যে। তিনি ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন লন্ডনে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিয়ে হাজারো বিতর্ক। অনেক মন্ত্রী -এমপির হলফনামায় বিস্ময়কর তথ্য দেখতে পেয়েছে দেশবাসী। ভোট নিয়ে বড় বিপদের কথা হলফনামা। প্রার্থীদের হলফনামা পূরণ করতে হয়। প্রকাশ করতে হয় নিজের অর্থসম্পদ, শিক্ষাদীক্ষার সব তথ্য। টিআইবি পুরো হিসাব তুলে ধরে এবার বিপদে ফেলেছে অনেক এমপি-মন্ত্রীকে। বিতর্কিত নেতাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। অন্যথায় দেশকে নতুন উচ্চতায় নিতে শেখ হাসিনার ২৪ ঘণ্টা শ্রম আর আওয়ামী লীগের বিশাল অর্জন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ব্যক্তিবিশেষের জন্য দল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে না। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও আর্থিক খাতের লাগাম টানতে হবে এবার। দলের জন্য ক্ষতিকারকদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। ভোটের পর আওয়ামী লীগের আরেকটি চ্যালেঞ্জ অভ্যন্তরীণ বিরোধ সামলানো। স্বতন্ত্র প্রার্থী বনাম নৌকার বিরোধে দলের ভিতরে ঝামেলা তৈরি হয়েছে। ঐক্য ফিরিয়ে আনতে কাজ করতে হবে ভোটের পরদিন থেকেই। অন্যথায় সুযোগসন্ধানীরা দূরত্বরেখা আরও টানবে, যার খেসারত দলটিকে দিতে হবে দীর্ঘমেয়াদে।

লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

নঈম নিজাম
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close