• শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

আমলাদের দল-উপদল-কোন্দল

প্রকাশ:  ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:১৮ | আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:২৫
সৈয়দ বোরহান কবীর

পাকিস্তান সেনাবাহিনী সম্পর্কে একটি কথা প্রচলিত আছে। পাকিস্তানে জেনারেলরা অবসর নেন না। অবসরের পরও রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে, কর্পোরেশনে এমনকি ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্ব তারা অবলীলায় নিয়ে নেন। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী সে তুলনায় সম্পূর্ণ বিপরীত। জেনারেলদের কথা বাদ দিন, সেনা প্রধানরাও অবসরের পরে নিভৃত জীবন যাপন করেন। কোন পদ-পদবীতে তাদের দেখা যায় না। বাংলাদেশে অবসর নেই আমলাদের। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মতো বাংলাদেশের আমলারা অবসরের পর এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করেন, দেন দরবার করেন। কোথাও ঢুকে পড়ার জন্য, চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ প্রাপ্তির আশায়।

সম্পর্কিত খবর

    বাংলাদেশে আমলাদের কাছে অবসর মানে ছুটি নয়, নতুন কাজের শুরু। পাকিস্তানে সেনাবাহিনীকে খাতির করা হয়, কারণ রাষ্ট্র ক্ষমতা আসলে তাদের দখলে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী যাকে ইচ্ছা রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসাতে পারে, যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা থেকে বিদায়ও করতে পারে। বাংলাদেশের আমলাদের সে ক্ষমতা নেই। তারা চাটুকারিতা করে শুধু নিজেদের আখের গোছাতে পারে। গত ১৫ বছর বাংলাদেশে আমলাতন্ত্রের বাড়বাড়ন্ত। এমন কোন সুযোগ-সুবিধা নেই যা তারা আদায় করেনি। আমলাদের সুবিধা ভোগকে আমরা দুভাগে ভাগ করতে পারি। প্রথমত; চাকরিকালীন সময়ে সুবিধা আদায়। এই সুবিধা আদায়ের সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র হলো তর তর করে পদোন্নতি। গত ১৫ বছরে আমলাগনের পদোন্নতি হয়েছে উল্কার গতিতে। পদ থাক না থাক, তাদের পদোন্নতি ঠেকায় কে। এছাড়া গাড়ি বাড়ি, দায়মুক্তি ইত্যাদি তো আছেই। দ্বিতীয় সুবিধাভোগের জায়গা হলো, অবসরের পর তার নতুন জীবন। ইদানিং একজন আমলার অবসরের পরের গন্তব্য এবং গতিবিধি বলে দেয় তিনি কত বড় চাটুকার এবং সরকারের কত আপন। অবসরের পর আমলাদের নতুন জীবনকে আবার দুভাগে ভাগ করা যায়। প্রথমত, চাকরীর সম্প্রসারণ। অবসরের পর তিনি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেতে পারেন। সেটা হতে পারে দেশে, বিদেশে, একই পদে বা অন্য পদে। নানা কমিশনের চেয়ারম্যান কিংবা সদস্য হয়ে তিনি গাড়ী এবং টাকা কড়ি প্রাপ্তির ফিক্সড ডিপোজিট পেতে পারেন। একটু কম হলে তিনি ব্যাংকের চেয়ারম্যান, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান হতে পারেন। চাকরি সম্প্রসারণ প্রকল্পে কোন কোন আমলার চুক্তির মেয়াদ যেন অনন্তকাল। শেষ হবার সাথে সাথে আবার চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগের জন্য প্রজ্ঞাপন জারি হয়। চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগে থাকা অবস্থায় তার কাজ কেমন, এসব বিবেচ্য নয়। লতাপাতার মতো সরকারের সঙ্গে কিভাবে তিনি আষ্টে পৃষ্টে জড়িয়ে আছেন তার ওপর নির্ভর করবে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগের আয়ু। কিছু চতুর আমলা অবসরকালীন সময়ে চাকরির মেয়াদ বাড়ান দুষ্ট প্রাণীর মতো। এক ডাল থেকে অন্য ডালে লাফিয়ে। এক পদে কিছুদিন থেকে লাফিয়ে অন্য পদে যান।

    অবসরোত্তর সময়ে আমলাদের দ্বিতীয় ধরনের জীবন হলো, রাজনীতি। অবসর গ্রহণের পর সরকারের ঘনিষ্ট আমলারা রাজনীতিতে পা রাখেন। মন্ত্রী এমপি হবার স্বপ্নে। অনেকে মন্ত্রী না হয়েও ‘মন্ত্রীর মর্যাদা’ পেতে পারেন বিশেষ বিবেচনায়। কিন্তু সব আমলাই যে অবসরের পর ‘নতুন জীবন’ পাবেন এমনটি নয়। চাটুকারিতার দৌড়ে নজরকাড়া সাফল্য যাদের আমলাতন্ত্রের সেই ভাগ্যবান ব্যক্তিরাই পাবেন ‘দ্বিতীয় ইনিংস’ খেলার সুযোগ। এখন অবশ্য আমলাদের সবাই আওয়ামী লীগ। অন্তত প্রকাশ্যে। বংশীয় পরিচয়ে যতোই রাজাকারের দুর্গন্ধ থাকুক, ছাত্রজীবনে শিবির কিংবা ছাত্রদল যাই করুক না কেন, এখন সব আমলারাই ‘আওয়ামী আমলা লীগের’ সদস্য। এদের মধ্যে যাদের বন্ধুভাগ্য ভালো, তাদের কেউ কেউ বন্ধুদের অতীত এবং পারিবারিক ঐতিহ্যের কথা ফাঁস করেন। তখন তাদের পদোন্নতি আটকে যায়। আবার অনেকে এখনও পেশাদারিত্বের আদিম যুগে বসবাস করেন, তারা মনে করেন পদোন্নতির জন্য আবার তদবির করতে হবে কেন? ব্যক্তিত্ব বোধ জাগ্রত করে এরা নিজেরাই নিজেদের পায়ে কুড়াল মারেন। এদের পদোন্নতির পথ চিরতরে রুদ্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে আওয়ামী ঘনিষ্ঠ হিসেবে বা আওয়ামী লীগ হিসেবে যারা সনদ পান, তাদের মধ্যে আছে নানা ধারা উপধারা। সারাদেশে আওয়ামী লীগে যেমন বিভক্তি, কোন্দল ঠিক তেমনি আমলা লীগেও কোন্দল এখন ওপেন সিক্রেট। আওয়ামী পন্থী আমলাদের মধ্যে অনেকে আছেন, অতীতে ছাত্রলীগ করেছেন, পারিবারিক পরিচয় আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের কঠিন দিনে, এরা আওয়ামী পন্থী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিলেন, শাস্তি পেয়েছেন, অবহেলিত হয়েছেন। এখন তারা ক্ষমতা কেন্দ্রে থাকতে চান। ভালো পদ, মন্ত্রণালয় পেতে চান, চাকরির পর রাজনীতির মাঠে তারকা হতে চান। আমলাতন্ত্রের অন্দরমহলে এদের বলা হয় ‘আসল আওয়ামী লীগ’। এদের মধ্যে উজ্জল উদাহরণ সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার।

    আমলাদের আরেক উপদল হলো মুক্ত চিন্তা ও প্রগতিশীল ধারার। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এবং পারিবারিক জীবনে এরা স্বাধীনতার পক্ষে, অসাম্প্রদায়িক চেতনার পক্ষে ছিলেন। এদের অনেকেই ছাত্র ইউনিয়ন, কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। প্রগতিশীল চিন্তা চেতনা থেকে উঠে আসার জন্য এরা এখন আওয়ামী পন্থী আমলা। আমলাদের এই অংশের উজ্জল উদাহরণ হলেন বর্তমান সংসদ সদস্য এবং প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মূখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ। আওয়ামী আমলাদের তৃতীয় উপদল পেশাদার আমলা। যারা অতীতে কিছুই করেন নি। নিজেদের ক্যারিয়ার নিয়েই তারা বিশেষ মনোযোগী সব সময়। অতীত নিয়ে হাতড়াতে তারা পছন্দ করেন না। এই উপদলের আমলারা নিজেদের মেধাবী, দক্ষ এবং করিৎকর্মা মনে করেন। নিজেদের যোগ্যতায় তারা সরকারে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন বলে তাদের বিশ্বাস। এই উপদলে আলোচিত নাম ড. আহমেদ কায়কাউস।

    চতুর্থ উপদল হলো উড়ে এসে জুড়ে বসা আওয়ামী লীগ। এদের অতীত পরিচ্ছন্ন নয়। কেউ কেউ স্বাধীনতা বিরোধী পরিবার থেকে আসা, কেউ ছাত্র জীবনে ছাত্রদলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। চাকরি জীবনে এরা বিএনপি আমলে রুটি মাখন খেয়েছেন। ভালো পদে চাকরি করেছেন। কিন্তু এদের বন্ধু ভাগ্য ভালো। বন্ধুদের কল্যাণে এরা আওয়ামী লীগের জামানাতেও ভালো চাকরি হাতিয়ে নিয়েছেন। এই উপদলের কারো নাম উল্লেখ করার ঝুঁকি নিতে চাই না। তবে এদের সবাই চেনে, জানেন। এই উপদলের চূড়ান্ত লক্ষ্য সচিব হওয়া। তারপর এদের ভাগ্য যোগ নেই। এতেই তারা খুশী। রংবদল করে সচিব হয়েছেন, এই বা কম কী। এই বিভিন্ন গ্রুপ উপগ্রুপের মধ্যে এখন কোন্দল প্রকাশ্য। ক্ষমতা কেন্দ্রে জায়গা পেতে মরিয়া আমলারা এখন প্রতিদিন নানা কসরতে ব্যস্ত। আগে আমলারা কাজ দিয়ে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করতে চাইতেন। কিন্তু এখন আমলাদের প্রধান লক্ষ্য একে অন্যকে ঘায়েল করে নানা তৈল মর্দনের কসরত করে সরকারের ঘনিষ্ঠ হতে চায়। আওয়ামী লীগের উপদলীয় কোন্দলের চেয়েও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে আমলাদের কোন্দল। আমলারা কতটুক বিভক্ত তার এক ঝলক দেখা যাচ্ছে অফিসার্স ক্লাবের নির্বাচনে।

    আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি অফিসার্স ক্লাবের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে মুখোমুখি আওয়ামী লীগ পন্থী দুই আমলা। এদের একজন অবসর প্রাপ্ত। মেধা বা যোগ্যতায় না, আওয়ামী পন্থী হবার জন্যই তিনি সচিব হয়েছেন বলে অনেকে মনে করেন। অবসরে গেলেও ক্লাবের মাধ্যমে আমলাতন্ত্রের কেন্দ্রে থাকতে চান এই আমলা। আরেকজন প্রার্থী মেধাবী, সৎ এবং দক্ষ। প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু এই নির্বাচন আওয়ামী পন্থী আমলাদের বিভক্তিরই প্রতিরূপ বলে মনে করা হচ্ছে। চলতি বছরে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা সিনিয়র আমলারা অবসরে যাবেন। চুক্তিতে থাকা মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব অবসরে যাবেন এই বছরই। এসব পদ নিয়ে ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়ে গেছে। আমলাদের মধ্যে যারা আসল আওয়ামী লীগ হিসেবে পরিচিত তারা ইতোমধ্যে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। আমলা হিসেবে দক্ষ দাবিদাররা এখন আওয়ামী লীগের চেয়েও বড় আওয়ামী লীগ হয়ে সামনে এসেছেন। যেমন ধরা যাক, ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে উঠে আসা কবির বিন আনোয়ার মন্ত্রিপরিষদ সচিব হয়েছিলেন মাত্র ১৪ দিনের জন্য। তিনি চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ পাননি। আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েও কোন পদ-পদবী পাননি। খাজা মিয়া প্রথমে তথ্য তারপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এখন ওএসডি, অন্যদিকে মেধাবী আওয়ামী পন্থী এবং পেশাদার আমলাদের জয় জয়াকার সর্বত্র। বর্তমান মন্ত্রিপরিষদ সচিব কিংবা মুখ্য সচিব ছাত্রজীবনের পরিচয় নিয়ে কেউ আগ্রহী নন। তাদের মেধাবী বলা হয়। একারণেই তারা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে। এই অবস্থা অবসর প্রাপ্ত আমলাদের জন্যও প্রযোজ্য। অবসরের পর তারাও সরকারের কাছে থাকার প্রতিযোগিতায় একে অন্যের সঙ্গে লড়াই করছেন। অবসরকালীন প্রতিযোগিতাও এখন আসল আওয়ামী পিছিয়ে পড়েছে। উপদেষ্টা, এমপি সবই হচ্ছেন মেধা কোটায়। বড় ভাইদের এই প্রতিযোগিতায় অনুজ কর্মরত আমলারাও উত্তপ্ত এবং বিভক্ত। সাবেক আমলারা এখন একে অন্যকে টেনে নামানোর চেষ্টায় ব্যস্ত এমন গুঞ্জন শোনা যায়। সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতায় অনেক সাবেক আমলা যা খুশী তাই করছেন। একজন আমলা কোন ঘাত প্রতিঘাত ছাড়াই তরতর করে ক্যারিয়ারের শীর্ষ পর্যায়ে চলে গেছেন। কোন দিন আওয়ামী পন্থী হিসেবে পরিচিতও ছিলেন না। তবুও সরকারের ‘চোখের মনি’ হবার মন্ত্র আবিস্কার করে তিনি পেলেন চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ। এরপর বিদেশে গেলেন সরকারের আনুকূল্যে বড় চাকরি নিয়ে। গুঞ্জন আছে, নির্বাচনের আগে নিজেকে নিরাপদ অবস্থানে রাখতেই তিনি নিজ আগ্রহে বিদেশে নিয়োগ আদায় করেছিলেন। নির্বাচনের পর যখন দেখলেন সব কিছু ঠিক ঠাক, তখন বললেন ‘ভাল্লাগে না।’ বিদেশে চাকরীতে নাকি তার মন বসে না। দেশে এসে জাতির সেবা করতে চান। কি আশ্চর্য কথা।

    সরকারী চাকরি কি ছেলে খেলা? ইচ্ছে হলো খেলবো, ইচ্ছে না হলে খেলবো না? আচ্ছা চিন্তা করুন তো, ধর্ম সচিব যদি বলেন, আমার এই মন্ত্রণালয় ভালো লাগছে না। তখন সরকার কি করবে? তাকে আদর করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব বানিয়ে দেবে? চুক্তিতে থাকা অবস্থায় ‘ভাল্লাগচ্ছে না’ বলা কি শিষ্টাচার সম্মত? বাজারে গুঞ্জন এই আমলা নাকি শিগগিরই মন্ত্রিসভায় যাচ্ছেন। এই প্রবণতা আমলাতন্ত্রকে আরো বিভক্ত করবে, মতলববাজ বানাবে। একজন আমলা তার সমস্ত মেধা মনন কাজে লাগবে তার চাকরি জীবনকে ঘিরে। কিন্তু এখন আমলারা সবথেকে বেশী সময় ব্যয় করেন অবসরের পর কি করবেন। কিভাবে আমরণ ক্ষমতার সঙ্গে লেপ্টে থাকবেন তা নিয়ে। এর ফলে আমলাদের দক্ষতা কমছে। কাজের মান হয়ে যাচ্ছে নিম্নমুখী। আর শেষ বিচারে ক্ষতি হচ্ছে সরকারের এবং দেশের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি ভালো ভাবেই অনুভব করেছেন। একারণেই তিনি গত ৫ ফেব্রুয়ারি সচিবদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। কাজের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। টানা চতুর্থ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের সামনে দুটি চ্যালেঞ্জ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক আওয়ামী লীগের কোন্দল দুই আমলাদের বিভক্তি। আওয়ামী লীগের কোন্দলে দলের ক্ষতি হবে। কিন্তু আমলাদের কলহে দেশের ক্ষতি হবে। প্রশাসনে ইতোমধ্যে বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে পড়েছে। নিজেদের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করতে আমলাতন্ত্রের রাঘব বোয়ালরা যে দেশের বারোটা বাজাচ্ছেন তা কি সরকার অনুভব করছে?

    সৈয়দ বোরহান কবীর, নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত

    ই-মেইল: [email protected]

    সৈয়দ বোরহান কবীর×
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close