• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

‘খালেদা জিয়ার রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়েছে, তবে প্রচণ্ড দুর্বল হয়ে পড়েছেন’

প্রকাশ:  ০৭ জানুয়ারি ২০২২, ২১:৪৩ | আপডেট : ০৭ জানুয়ারি ২০২২, ২১:৫১
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে করোনারি কেয়ার ইউনিট-সিসিইউতে চিকিৎসাধীন লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছেন তার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা। তারা বলছেন,খালেদা জিয়ার রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়েছে। তবে তিনি শারীরিকভাবে প্রচণ্ড দুর্বল হয়ে পড়েছেন। আবারও ভিন্ন উৎস থেকে তার রক্তক্ষরণ শুরু হতে পারে বলেও তারা আশঙ্কা করছেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা একজন চিকিৎসক জানান, খালেদা জিয়ার ওজন হ্রাস পেয়েছে অনেক। আগের চেয়ে অনেক শুকিয়ে গেছেন। খাবারের রুচি একেবারে নেই বললেই চলে। শুধু স্যুপ আর তরল খাবার দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি স্যালাইন পুশ করা হচ্ছে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে প্রায় সময়ই। সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রাখতে তার মেডিকেল বোর্ড সদস্যরা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। তারা যেটুকু করেছেন তার চেয়ে বেশি কিছু করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ, এর জন্য প্রয়োজনীয় সমন্বিত সুবিধা ও সরঞ্জাম বাংলাদেশের কোনো হাসপাতালেই নেই।

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে তার সাবেক প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল তার ভেরিফায়েড ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানান, খালেদা জিয়ার রক্তক্ষরণ কোনোক্রমেই পুরোপুরি বন্ধ করা যাচ্ছিল না। বাইরে থেকে রক্ত ও অন্যান্য খনিজ দিয়ে তাকে বাঁচিয়ে রাখা হচ্ছিল। পরে চিকিৎসকদের সিদ্ধান্তে বিদেশ থেকে ক্যামেরাযুক্ত ক্যাপসুল আনা হয়। চিকিৎসকরা এটাকে 'ক্যাপসুল এন্ডোস্কপি' বলেন। এ ক্যাপসুলেই তার এন্ডোস্কপি করা হয়। এতে রক্তক্ষরণের উৎস হিসেবে তার ক্ষুদ্রান্তের নিচে একটি ক্ষত শনাক্ত করা সম্ভব হয়। চিকিৎসকদের প্রাণান্ত চেষ্টায় সে ক্ষতটি বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। এতে বিএনপি চেয়ারপারসনের রক্তক্ষরণ আপাতত বন্ধ হয়েছে।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ঝুঁকিমুক্ত হননি। যে কোনো সময় আবারও নতুন বা পুরোনো উৎস থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হতে পারে। তাই দ্রুত বিদেশে উপযুক্ত চিকিৎসার জন্য তাকে নেওয়া দরকার এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে লিভার ট্রান্সপ্লানটেশনই একমাত্র উপায় বলেই চিকিৎসকদের অভিমত।

খালেদা জিয়ার শারীরিক খোঁজ নিতে এবং দেখভালো করতে পুত্রবধূ শর্মিলা রহমান শিথি নিয়মিত হাসপাতালে যান। গত দু'দিন ধরে শিথির সঙ্গে তার মেয়ে জাহিয়া রহমানও হাসপাতালে দাদিকে দেখতে যান। এর বাইরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, একান্ত সহকারী আব্দুস সাত্তার, খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা আসা-যাওয়া করেন।

অসুস্থ খালেদা জিয়াকে গত ১৩ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এভারকেয়ারের চিকিৎসক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ জনের একটি বিশেষ মেডিকেল টিম তার চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে। ৭৭ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস ছাড়াও অনেক বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।

পূর্বপশ্চিম- এনই

খালেদা জিয়া,বিএনপি চেয়ারপারসন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close