• বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

সংসদে ইসি গঠনের বিলের বিরোধিতা বিএনপির

প্রকাশ:  ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ১৫:৫২
নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’ জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। রোববার (২৩ জানুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টার দিকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন।

এরপর বিলটি পরীক্ষা করে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে আইন, বিচার ও সংসদ সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।

বিগত ২০১২ এবং ২০১৭ সালে যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করে রাষ্ট্রপতি ইসি নিয়োগ করেছিলেন, সে প্রক্রিয়াই আইনের অধীনে আনা হচ্ছে এই বিলের মাধ্যমে। আর প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার পদে যোগ্যতা-অযোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রস্তাবিত এই আইনে।

এ আইন করার উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে আইনমন্ত্রী বিলে বলেছেন, প্রস্তাবিত বিলটি আইনে পরিণত হলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগদান স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হবে, গণতন্ত্র সুসংহত ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করবে এবং জনস্বার্থ সমুন্নত হবে মর্মে আশা করা যায়।

বিলে বলা হয়েছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগদানের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ইতোপূর্বে গঠিত অনুসন্ধান কমিটির ও তৎকর্তৃক সম্পাদিত কার্যাবলি এবং উক্ত অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ বৈধ ছিল বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত বিষয়ে কোনও আদালতে কোনও প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না।

তবে সংসদে উত্থাপনের পর বিলের বিরোধিতা করেন বিএনপির সংসদ সদস্যরা। বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন উর রশিদ বলেন, জনগণের প্রত্যাশার সঙ্গে এই আইন সংগতিপূর্ণ নয়। সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন বিতর্কিত।

তিনি বলেন, দাবি ছিলো যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, সেখান থেকে যেন আমরা বেরিয়ে আসতে পারি। এই আইনটি প্রত্যাহার করুন।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এর সমালোচনা করে বলেন, এক কোটি ৩০ লাখ ভুয়া ভোটার তৈরি করে। তাদের লোক যেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারে থাকে, এ জন্য সুপ্রিম কোর্টের বিচারকের বয়স ৬৭ করে ফেলেন। কারো সঙ্গে আলোচনার তখন প্রয়োজন হয়নি। কারণ তারা নিরবচ্ছিন্ন নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন। মানে কারচুপি করে ক্ষমতায় আসার জন্য।

তিনি বলেন, নির্বাচন উনারা করতে পারেননি। সংবিধানের ৫০ বছর হয়েছে। এখানে নির্বাচন কমিশনের আইনের কথা বলা হয়েছে। আমরা সেই আইন করেছি। উনারা বুঝে বলুক না বুঝে বলুক, বলছেন সার্চ কমিটির আইন, আজকে যেটা করা হয়েছে।

পূর্বপশ্চিমবিডি/অ-ভি

বিএনপি,বিরোধিতা,সংসদ,ইসি গঠন,বিল
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close