বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার চোখে সর্ষে ফুল দেখছে: ফখরুল
বিদ্যুৎসহ চলমান নানা সংকট সরকারকে পতনের দিকে নিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার চোখে সর্ষে ফুল দেখছে। জনগণ ফুঁসে উঠছে এবং সরকারের পতন তরান্বিত হবে।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত জানাতে এই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।
সম্পর্কিত খবর
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকারের দুর্নীতি, পরিকল্পনার অভাব এবং অযোগ্যতার কারণেই লোডশেডিং ও জনভোগান্তি। এই সংকটের প্রভাব পড়বে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে। শ্রীলঙ্কায় যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তারই শুরু।’
দ্রব্যমূল্য, মুদ্রাস্ফীতি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকটের বিরুদ্ধে জনরোষকে ভিন্ন দিকে নিতে পরিকল্পিতভাবে নড়াইলে সাম্প্রদায়িক হামলা করা হয়েছে বলে দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, এই ঘটনার সরেজমিনে তদন্ত করার জন্য দলের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি আগামী ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে এবং তা জনসম্মুখে প্রকাশ করবে।
সরকার বিশেষ কোম্পানিকে সুবিধা দিতে পাওয়ার প্ল্যান্ট করেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘যার মূল কারণ চুরি ও দুর্নীতি। আর এর মূল্য দিতে হচ্ছে জনগণকে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘স্থায়ী কমিটির সভায় ওয়াসার পানির দাম এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর কর্তৃক ৫৩টি অত্যাবশকীয় ঔষধের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করা হয়েছে। অবিলম্বে পানি ও ঔষধের মুল্য হ্রাসের দাবি জানানো হয়েছে। এই মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি, অঙ্গ সংগঠনসমূহকে মহানগর এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনের তলোয়ার নিয়ে বক্তব্য অহায়ত্বের প্রমাণ। এ কমিশনের অধীনে সুষ্ঠ নির্বাচন সম্ভব নয়।’
গত ১৬ জুলাই রাতে সার্বিয়া থেকে বাংলাদেশে মর্টার শেল নিয়ে আসার সময় ইউক্রেনের একটি কার্গো বিমান বিধ্বস্ত হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় বিএনপির সভায়।
বন্যার কারণে স্থগিত দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম পুনরায় শুরুর কথা জানান বিএনপি মহাসচিব।
পূর্বপশ্চিম/ম