• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

পরিকল্পিতভাবে শাওনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে: টুকু

প্রকাশ:  ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:৫৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু বলেছেন, হত্যা, গুলি আর নির্যাতন করে কোনো স্বৈরাচারী সরকারই টিকে থাকতে পারেনি। এই সরকারও পারবে না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে এই সরকারের পতন ঘটবে। সেদিন এই জুলুমের বিচার হবে। প্রতিটি ফোটা রক্তের হিসাব কড়ায়গণ্ডায় নেওয়া হবে। ঠাণ্ডা মাথায় পরিকল্পিতভাবে শাওনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে আহত মুন্সীগঞ্জের যুবদল নেতা শহীদুল ইসলাম শাওন বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। শাওনের মৃত্যুর প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন টুকু।

বুধবার মুন্সীগঞ্জ শহরের উপকণ্ঠ মুক্তারপুরে পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে শাওন আহত হন। গুরুতর অবস্থায় শাওনসহ জাহাঙ্গীর মাদবর, তারেক হোসেন নামে আরো দুজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

বিএনপির দাবি, পুলিশের গুলিতে মারা গেছেন শাওন। তিনি মুন্সীগঞ্জ জেলার মীর কাদিম পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। দুই বছর আগে তিনি বিয়ে করেন। তার এক বছরের একটি সন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে।

শাওনের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে কান্নায় ভেঙে পড়েন দলের নেতাকর্মীরা। এ সময়ে হাসপাতালে ছুটে যান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক ও জেলার সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েলসহ আরও অনেকে।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা ও মিরকাদিম পৌর বিএনপি শহরের মুক্তারপুর এলাকার পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে। এতে পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত।

মুক্তারপুরে পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় বিএনপির মিছিলে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিনহাজ-উল-ইসলাম ও সদর থানার ওসি তারিকুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ মিছিলে বাধা দেয়, ব্যানার নিয়ে যায় এবং লাঠিচার্জ করে। এ সময় নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে উপর্যপুরি ইটপাটকেল ছোড়েন। পুলিশও কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।

এ ঘটনায় পুলিশ, সাংবাদিকসহ বিএনপির অন্তত ৬০ জন আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর আহতদের বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। শাওনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই তাকে আইসিইউতে নিয়ে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। চিকিৎসাধীন বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টায় তার মৃত্যু হয়।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যুবদল নেতার মৃত্যতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

গুলি,হত্যা,সুলতান সালাউদ্দীন টুকু,যুবদল
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close