‘সমাবেশকে ঘিরে আ. লীগ বিরানির অর্ডার দিয়ে রাখছে’
‘এখন থেকে খবর পাচ্ছি, সামনের সমাবেশকে ঘিরে আওয়ামী লীগ নাকি বিরানির দোকানে অর্ডার দিয়ে রাখছে। আমরাতো এসব করিনি। তারপরও জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। মানুষ না খেয়ে, রোজা রেখে যে যেভাবে পেরেছে সমাবেশে যোগ দিয়েছে। এর মধ্যেও আসার পথে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে। আমরা দেখতে পাবো ৪ ডিসেম্বর বিরিয়ানির প্যাকেট রাস্তায় রাস্তায় পড়ে থাকবে। নারায়ণগঞ্জে তারা একটি সমাবেশ করেছে, সেখানে চেয়ার ছিলো লোক ছিলো না।’
শনিবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে নাসিমন ভবনস্থ বিএনপি কার্যালয়ের মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন।
সম্পর্কিত খবর
গত বুধবার দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন কমিটিকে স্বাগত জানাতে আয়োজিত আনন্দ মিছিলে পুলিশের হামলা ও আহ্বায়ক মন্জুর আলম তালুকদারসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ আগামী ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে জনসভার ঘোষণা দিয়েছে। সেখানে শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি থাকবেন। কিন্তু আমরাতো গত ১২ অক্টোবর বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া সমাবেশ করেছি। আপনারা শেখ হাসিনা ছাড়া শুধু ওবায়দুল কাদেরকে দিয়ে মিটিং করেন, দেখেন কী পরিমাণ লোক হয়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, চট্টগ্রামের মন্ত্রী-এমপি ও নারায়ণগঞ্জের শামীম ওসমানকে তো আমরা দায়িত্ব দেইনি যে পলোগ্রাউন্ড মাঠে কী পরিমাণ লোক জমায়েত হয়েছে বলতে। জনগণ দেখেছে ১২ অক্টোবর কী পরিমাণ লোক জমায়েত হয়েছিলো। সকাল ৭টা থেকে পলোগ্রাউন্ড মাঠে মানুষ আসে। লোক এতো বেশি ছিলো, পলোগ্রাউন্ড মাঠ পূর্ণ হয়ে নিউমার্কেট, সিআরবি, কাজির দেউড়ি, টাইগারপাস পর্যন্ত মানুষের ভিড়ে যাওয়া যাচ্ছিলো না।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক বলেন, আপনারা যেহেতু জোর করে বলছেন, এক লাখ লোক হয়েছে। তাহলে আমার একটি প্রস্তাব রয়েছে ওবায়দুল কাদেরের কাছে। আমি যেসব জায়গার নাম বললাম, পলোগ্রাউন্ড থেকে ওইসব জায়গা মাপেন। আপনাদেরই গণনায় বুঝতে পারবেন সেদিন চট্টগ্রামে কী পরিমাণ মানুষ জমায়েত হয়েছিলো। আমরা বলছি ১০ লাখের অধিক কিন্তু জনগণ বলছে আরো বেশি।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম