আমরা যা কিছু করবো প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে করবো: গয়েশ্বর
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ১০ তারিখ আমরা সরকারকে জানবো কীভাবে তারা পদত্যাগ করবেন। আমরা যা কিছু করবো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানিয়ে করবো।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আফসার আহমদ সিদ্দিকীর ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্পর্কিত খবর
আফসার আহমদ সিদ্দিকী স্মৃতি ফাউন্ডেশন এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি তো সর্বহারা পার্টি না বা আড়ালে আবডালে থাকা দল না। যে গোপনে কোনোকিছু করবো। সুতরাং ১০ তারিখ আমরা ঘোষণা দেবো, সেই ঘোষণা অনুযায়ী আপনারা প্রস্তুতি নেবেন। আর আমাদের (বিএনপির) প্রস্তুতি আপনাদের (আওয়ামী লীগ) মোকাবিলা করা না, বরং পরাস্ত করা।
সরকারের পদত্যাগের বিষয়ে তিনি বলেন, হয় পদত্যাগ করবেন, না হয় পদত্যাগে বাধ্য করব। কীসের জন্য বাধ্য করব, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য না। জনগণের ভোটাধিকার জনগণকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য। দেশের মালিক জনগণ। কোনো ব্যক্তি, দল দেশের মালিক নন। যদি কেউ দেশটা তার পৈতৃক সম্পত্তি, তিনি দেশের রাজা, তিনি যা ইচ্ছা তা করবেন- এমন মনে করলে সেটাকে আমরা শেষ করতে চাই। মোট কথা যারা দেশকে পৈতৃক সম্পত্তি মনে করে তাদের সরাতে হবে।
ক্ষমতায় আসলে বিএনপি আদালত (বিচার বিভাগ) নিয়ন্ত্রণ করবে না বলেও জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
তিনি বলেন, আপনার (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) মতো আদালত নিয়ন্ত্রণ বিএনপি করবে না। আপনার মতো পুলিশকে দলীয় ক্যাডার হিসেবে বিএনপি ব্যবহার করবে না। পুলিশের এক শ্রেণির লোক এবং যারা লুটপাট করেন, তারা মনে করে শেখ হাসিনা না থাকলে তাদের কী হবে? এ কারণে তারা সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য নানা পরামর্শ দেন। অতীতে এমন ঘটনা ৫২, ৭০ এবং ৭৫ সালে ঘটেছে। যার পরিণতি ভাল হয়নি; খুব খারাপ ভাবে পতন হয়েছে তাদের।
প্রধানমন্ত্রীর অনুসারীরা যে টাকা লুট করেছে তা দিয়ে ২ বছরের বাজেট করা সম্ভব হবে বলে দাবি করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম