• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

শীর্ষ পদে নতুনত্বের খোঁজে

ছাত্রলীগের কাণ্ডারি হচ্ছেন ঢাবির শীর্ষ নেতা!

প্রকাশ:  ০৪ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:৪৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলন আগামী ৬ ডিসেম্বর। ছাত্রলীগের নেতৃত্ব নির্বাচন নিয়ে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা। নেতা হিসেবে নির্বাচিত হতে আওয়ামী লীগের নেতা ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের চলছে শেষ মুহূর্তের দৌড়ঝাঁপ। তবে সবাই বলছেন, কমিটি চূড়ান্ত করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই।

সংগঠনের নতুন নেতৃত্বের জন্য মেধা ও যোগ্যতার বিবেচনা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। এ জন্য আসতে পারে নতুন চমক। কেমন হবে ছাত্রলীগের কমিটি। নেতৃত্বের দৌড়ে এগিয়ে কারা? এসব প্রশ্নের জবাব খুঁজেছে অনলাইন পূর্বপশ্চিম বিডি অনলাইন।

এতে জানা যায়, ছাত্রলীগের শীর্ষ পদে নতুনত্বের খোঁজ করা হচ্ছে। এবারের সম্মেলনে তাই আলোচিত হচ্ছে আগের কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াও।

সংগঠন সূত্র বলছে, ছাত্রলীগের ৭৪ বছরের ইতিহাসে সংগঠনের শীর্ষ দুই পদে বারবার দায়িত্ব পালন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উঠে আসা নেতারা। তবে ঢাবির সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক থেকে কেন্দ্রের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হওয়ার নজির বিরল। তবে এবারের কমিটিতে দেখা মিলতে পারে এই দৃশ্য, এমনটাই বলছে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র।

বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন সনজিত দাস ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন সাদ্দাম হোসেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সঞ্জিত চন্দ্র দাস গৌরীপুর পৌর শহরের সরকারপাড়া এলাকার সুকুমার চন্দ্র দাসের পুত্র। বর্তমানে সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে অধ্যয়নরত। সঞ্জিত এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জগন্নাথ হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেন।

নানা মানবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় তিনি নন্দিত যেমন হয়েছেন। তেমনই সাবেক নেতাকে পেটানোসহ নানা অসংলগ্ন মন্তব্যে তিনি সমালোচিতও হয়েছেন। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব চাইলে তিনিই হতে পারেন ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতা।

অপরদিকে ছাত্রলীগের নতুন কমিটির শীর্ষ পদের অন্যতম বড় দাবিদার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। ২০১১-২০১২ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। যদিও আট বছরে সেই পাঠ চুকিয়েছেন তিনি।

মননশীল ও সৃজনশীল ছাত্রনেতা, শিক্ষার্থী বান্ধব আচরণ, আপোষহীন, বাকপটু, সুবক্তা, পরিচ্ছন্ন ইমেজের অধিকারী, এখনও পর্যন্ত ছাত্রজীবনে কোনো অপরাধের সঙ্গে তার নাম আলোচিত না হওয়া, আইন অনুষদের মেধাবী ছাত্র, ছাত্রদের যে কোনো সমস্যায় এগিয়ে আসা, ছাত্রলীগের কর্মীদের সঙ্গে অনন্য সম্পর্ক স্থাপন, প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনার অধিকারী হওয়া ইত্যাতি নানা কারণে সাদ্দাম হোসেন সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিকট জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন।

ফলে ছাত্রলীগের শীর্ষ পদে আসার দৌড়ে এগিয়েই রয়েছেন এই নেতা।

এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা আবদুর রহমান বলেন, ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বয়সসীমা থাকতে হবে, অবিবাহিত থাকতে হবে, ছাত্র হতে হবে। নেতৃত্ব দেয়ার মতো যোগ্যতা আছে, ছাত্রসমাজের কাছে গ্রহণযোগ্য এমন নেতৃত্ব উঠে আসুক, এটি আমরা চাই।

আগামী নেতৃত্বে যোগ্য, বিতর্কমুক্ত এবং যারা আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান- তাদেরই বিবেচনা করা হবে বলে মনে করছেন সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। তবে এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান তিনি।

ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলনের পর ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ মেয়াদ শেষ করার আগেই ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর তারা পদত্যাগ করেন। এরপর সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান যথাক্রমে আল নাহিয়ান জয় ও লেখক ভট্টাচার্য। তিন মাস ভারপ্রাপ্ত থাকার পর ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তাদের ভারমুক্ত করে পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের মেয়াদকাল দুই বছর। আর মেয়াদকালের মধ্যে সম্মেলন আয়োজন করার নিয়ম থাকলেও তা করতে পারেনি জয়-লেখক। পরে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড ৬ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলনের আয়োজনের নির্দেশনা দেয়।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

নতুন,নেতা,কাণ্ডারি,ছাত্রলীগ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close