বিএনপির রাস্তা পছন্দ কারণ গাড়ি ভাঙচুর করা যাবে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশস্থল নিয়ে বিকল্প প্রস্তাব প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জনসভা তো হয় ময়দানে, ব্যস্ত রাস্তায় হয় না। গাড়ি বন্ধ করে, মানুষকে আতঙ্কের মধ্যে ফেলে জনসভা করা কোনো দায়িত্বশীল রাজনীতি দলের কাজ না। দেশের ইতিহাসে সবসময় বড় জনসভা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হয়েছে, সেটি তাদের পছন্দ না। তাদের শুধু রাস্তা পছন্দ কারণ সেখানে গাড়ি ভাঙচুর করা যাবে।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব তিনি এ সব কথা বলেন।
সম্পর্কিত খবর
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাউকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। তবে যারা আগুন সন্ত্রাসের জন্য অর্থ দিয়েছিল, হুকুম দিয়েছিলো তাদের এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি, মানুষ মনে করছে যে, তাদেরও গ্রেপ্তার করা দরকার।
তিনি বলেন, সমাবেশের জন্য মাঠের বিকল্প মাঠ হতে পারে, রাস্তা হতে পারে না। কিন্তু বিএনপি সবসময় ব্যস্ত রাস্তার কথা বলছে। এটি দূরভিসন্ধিমূলক।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের জনসভায় ভোগান্তি হলেই তো পত্রিকা লেখে যে, জনসভায় মানুষ হয়েছে তবে ভোগান্তিও হয়েছে। জনসভা অবশ্যই ময়দানে হয়। গতকাল যেমন আমরা চট্টগ্রামে জনসভা করেছি লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ হয়েছে। পাঁচ বর্গকিলোমিটার এলাকা পুরোটা ছিলো মানুষে সয়লাব। বিএনপির সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিকল্প হতে পারে পূর্বাচল বাণিজ্যমেলার মাঠ বা টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা মাঠ অথবা বুড়িগঙ্গার তীরেও মাঠ আছে, সেখানেও হতে পারে।
বিএনপির নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেপ্তারের অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, সরকার পয়লা ০১ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিজয় দিবস, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, ইংরেজি নববর্ষ এগুলো নিয়ে প্রতি বছরই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এগুলো নতুন কিছু নয়, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেও নয়। সারাদেশে রাজনীতির নামে যারা ২০১৩-১৪-১৫ সালে আগুনসন্ত্রাস চালিয়েছিল, মানুষ হত্যার মহোৎসব করেছিলো, তারা তো বিএনপির নেতাকর্মী। তাদের কাউকে যদি গ্রেপ্তার করা হয়, সেটি আইনগত বিষয়।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম