প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে নেতাদের মুক্তির দাবি হেফাজতের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছে হেফাজতে ইসলামের ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। এসময় তারা নেতাকর্মীদের মুক্তি ও তাদের নামে সব মামলা প্রত্যাহারসহ শিক্ষা কমিশনে আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় গণভবনে প্রবেশ করে হেফাজতে ইসলামের প্রতিনিধি দল। ঘন্টাব্যাপী এ বৈঠক চলে। গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হেফাজতে ইসলামের প্রচার সম্পাদক মাওলানা মুহিউদ্দিন রব্বানী।
সম্পর্কিত খবর
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে হেফাজতের নেতাকর্মীদের মুক্তি ও তাদের নামে সব মামলা প্রত্যাহারসহ শিক্ষা কমিশনে আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়েছে।
বৈঠকে হেফাজত মহাসচিব শায়েখ সাজিদুর রহমানের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। তবে দলটির নায়েবে আমীর মীযানুর রহমান এসময় উপস্থিত ছিলেন না।
শনিবার হেফাজতে ইসলামের উদ্যোগে গুলিস্তানে কাজী বশির মিলনায়তনে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলন অংশ নিতে সারাদেশের কেন্দ্রীয় নেতারা ঢাকায় আসেন। এদিনই প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেওয়া ও সাক্ষাতের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। এ উপলক্ষে হেফাজত নেতারা শুক্রবার করোনা পরীক্ষা করেন।
সূত্র জানায়, হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হক, মুফতি হারুন ইজহার, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মাওলানা নাছিরউদ্দীন মুনিরসহ হেফাজতের সব নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে তারা হেফাজত নেতাদের নামে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান প্রধানমন্ত্রীর কাছে। পাঠ্যবইয়ে ধর্মীয় বিষয়গুলো নিয়ে আপত্তি প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন হেফাজত নেতারা। তারা বিভিন্ন শ্রেণির বই সঙ্গে নিয়ে যান। আপত্তির অংশ প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন।
হেফাজত নেতা মাওলানা মীর ইদরীস জানান, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে খুব ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে, তিনি আমাদের কথা গুরুত্ব সহকারে শুনেছেন।
এর আগে ২০১৮ সালে ৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একই মঞ্চে উঠেছিলেন প্রয়াত হেফাজত আমির আহমদ শফীসহ কেন্দ্রিয় নেতারা। কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের সমমানের স্বীকৃতি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য প্রধানমন্ত্রী ধন্যবাদ জানাতে ওই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল।