• শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের শেষ সীমানায়: মোশাররফ

প্রকাশ:  ৩০ ডিসেম্বর ২০২২, ১৭:৫২
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের শেষ সীমানায় চলে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে গণমিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

‘কর্তৃত্ববাদী সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা বাস্তাবায়ন এবং দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ কারাবন্দি সব নেতাদের মুক্তির দাবিতে’ এ গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

গণমিছিলের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের জন্য কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামেন ট্রাকের উপর অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়। মিছিলটি কাকরাইল মোড়, শান্তিনগর, মালিবাগ, মৌচাক হয়ে মগবাজারে পৌঁছে শেষ হয়।

আগামী ১১ জানুয়ারি গণ অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের বিশ্বাস আজকে যারা এই গণমিছিলে যে সব জোট ও দল আমাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে ঢাকায় কর্মসূচি করেছেন, সেসব দল যুগপৎভাবে আগামী ১১ জানুয়ারিও গণ অবস্থানের কর্মসূচি দেবেন। আর আমরা আহবান জানাই, এই আন্দোলনের সঙ্গে যারা একাত্মতা ঘোষণা করেছেন- আগামীতে এই গণ অবস্থান কর্মসূচিকে সফল করে দ্বিতীয় কর্মসূচি দিয়ে আপনারা এই সরকারের বিদায়ের দুই নম্বর সতর্ক বার্তা উচ্চারণ করবেন।

তিনি বলেন, জনগণ বুঝতে পেরেছে এরা (আওয়ামী লীগ) গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে- এরা গণতন্ত্রকে ফেরত দেবে না। অর্থনীতিকে ভেঙে দিয়ে লুটপাট করেছে, তারা অর্থনীতিকে মেরামত করতে পারবে না। বিচার বিভাগকে স্বাধীন করতে পারবে না। সমাজের ভারসাম্য আনতে পারবে না। দেশে একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠন করতে পারবে না। তার জন্য তাদের বিদায় করে দেওয়া উচিত।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, আগামী দিনে জনগণ রাস্তায় নেমে গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে সরকারকে বিদায় করবে। তার নমুনা আজকের এই গণমিছিল। আর এ ধরনের স্বৈরাচার নিজেরা ক্ষমতা ছাড়ে না, তাদেরকে বাধ্য করতে হবে। তার জন্য আমাদের নেতাকর্মীরা প্রাণ দিয়েছে, সারাদেশে আমাদের ২৪ হাজার নেতাকর্মী জেলে। কিন্তু আমাদের দমাতে পারেনি। সুতরাং যতোই গ্রেপ্তার করা হোক না কেন, রাস্তায় জনগণ নেমে গেছে, আর তাদের থামানো যাবে না।

বর্তমান সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এরা ফ্যাসিস্ট এবং স্বৈরাচার। আর আন্তর্জাতিকভাবে হাইব্রিড সরকার নামে পরিচিত। তাদের সঙ্গে দেশের জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। তাদের জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই। একারণে তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করে অলিখিত বাকশাল চালাচ্ছে। আর সংসদ নির্বাচন থেকে শুরু করে স্থানীয় নির্বাচন পর্যন্ত জনগণ ভোট দিতে পারে না। তারা ভোট কেড়ে নিয়েছে এবং ভোট ডাকাতি করেছে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, শত বাধা-বিপত্তি এবং রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে আজকে আপনারা এখানে সমাবেত হয়েছেন। আর এই গণমিছিলকে সফলের জন্য যারা এসেছেন, তাদের আমি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং দলের নেতাদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

সীমানা,ধ্বংস,দেশ,অর্থনীতি,ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন,বিএনপি
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close