• বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

যেকোনো মুহূর্তে সরকার বিদায় নেবে: মোশাররফ

প্রকাশ:  ২১ জানুয়ারি ২০২৩, ১৬:০৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান ঘটানোর বিকল্প নেই। অতীতে যেমন ছাত্র জনতা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচার এরশাদকে হটিয়েছে, তেমনই যেকোনো মুহূর্তে এই সরকার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিদায় নেবে।

শনিবার (২১ জানুয়ারি) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) ৮৭ তম জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ, বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকে ক্ষমতাসীনরা নিজেদেরকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বলে দাবি করে। অন্যদিকে বিএনপি হলো মুক্তিযোদ্ধাদের দল। আওয়ামী লীগে কোনো খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা নেই। আমাদের দলে এখনো শাহজাহান ওমরের মতো খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা জীবিত আছেন। এগুলোতো জীবন্ত ইতিহাস।

বিএনপি ঘোষিত ১০ দফার প্রথম দফাই হচ্ছে বর্তমান সরকারকে বিদায় করা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেভাবে দেশ চলছে সেভাবে চলতে পারে না। তারা (সরকার) চাপাবাজি করে জনগণকে দমিয়ে রাখতে পারবে না। আমরা দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে চাই। এজন্য ২৭ দফা প্রণয়ন করা হয়েছে। শহীদ জিয়াউর রহমান যে লক্ষ্যে বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন, সেগুলো বর্তমান সরকার ধ্বংস করেছে।

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে প্রথমে বিদ্রোহ করেন উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, তার নেতৃত্বে দেশবাসী মুক্তিযুদ্ধ করেছিলো। কিন্তু আজকের হাইব্রিড সরকার তাদের ব্যর্থতা ঢাকতে জিয়াউর রহমানকে পাকিস্তানের চর হিসেবে পরিচিত করাতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। অথচ বিদেশি গণমাধ্যমে এবং বিভিন্ন লেখক তাদের বইয়ে জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেটাকে বিকৃত করছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের ভুল ইতিহাস শেখাচ্ছে।

সত্য কিন্তু কখনো চাপা থাকেনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান দেশের দুটি ক্রান্তিকালে জাতিকে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। একটি ২৫ মার্চের পর, আরেকটি ৭ নভেম্বর। এই ইতিহাস একদিন প্রতিষ্ঠিত হবেই। তাই আওয়ামী লীগের এই ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে যার যার অবস্থান থেকে সোচ্চার ও প্রতিবাদ করতে হবে।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন,বিএনপি,সরকার,বিদায়
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close