• রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

এমপি নুরুন্নবীর বিরুদ্ধে আরও দুর্নীতির অভিযোগ, অনুসন্ধানে দুদক

প্রকাশ:  ০৩ মার্চ ২০২৩, ১৪:২১
নিউজ ডেস্ক

ভোলা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানের মধ্যেই তার বিরুদ্ধে আরও দুর্নীতি ও সরকারি অর্থ আত্মসাতের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পুরোনো অভিযোগের সঙ্গে নতুন করে পাওয়া অভিযোগগুলোও অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।

সম্প্রতি দুদকে আসা অভিযোগে বলা হয়েছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ এবং তীর সংরক্ষণের কাজ কয়েকজন ঠিকাদারের মাধ্যমে ভাগ–বাঁটোয়ারা করে দেন নুরুন্নবী চৌধুরী। সেখান থেকে তিনি ৮ থেকে ১০ শতাংশ কমিশন নেন। একইভাবে ভোলার লালমোহনে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকল্পের কাজগুলোও তিনি ১০ শতাংশ কমিশন নিয়ে পছন্দের ঠিকাদারদের দেন। এ ছাড়া উপজেলাভিত্তিক বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির কাজ, উপজেলার বাৎসরিক বরাদ্দ টিআর, কাবিখা, কাবিটা, জিআরসহ বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থও আত্মসাৎ হচ্ছে। বিশেষ করে স্থানীয় মেঘনা তেতুলা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ, লালমোহন উচ্চবিদ্যালয়ের পুকুর ভরাট করে সরকারি সম্পত্তি চান্দিনা ভিটি হিসেবে পজিশন বিক্রি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সব ধরনের নিয়োগে সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, এসব অভিযোগ প্রাথমিকভাবে যাচাইয়ের পর অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। এ বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য ২০ ফেব্রুয়ারি দুদকের মহাপরিচালক (প্রশিক্ষণ) সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে দলনেতার দায়িত্ব দেওয়া হয়। দুদকের দেওয়া দাপ্তরিক চিঠিতে নুরুন্নবী চৌধুরীর বিরুদ্ধে আগের অভিযোগের সঙ্গে যুক্ত করে অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের অক্টোবরে সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর সম্পদের অনুসন্ধানে নামে দুদক। তখন ক্যাসিনো কর্মকাণ্ডে তার নামও আলোচনায় আসে। সে সময় অবৈধ সম্পদ অর্জনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে নুরুন্নবী চৌধুরীর সম্পদ ও ব্যাংক হিসাবের তথ্য চায় দুদক। একপর্যায়ে তার বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞাও দেয় দুদক। তিন বছরের বেশি সময় হলেও তার সম্পদের অনুসন্ধান শেষ হয়নি। ওই অনুসন্ধানকারী দলেরও প্রধান ছিলেন দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন। বর্তমানে তিনি পদোন্নতি পেয়ে মহাপরিচালক হয়েছেন।

এর মধ্যেই পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং এলজিইডির প্রকল্পসহ উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নকাজ, বাৎসরিক বরাদ্দ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের মাধ্যমে শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পায় দুদক।

এ বিষয়ে সৈয়দ ইকবাল হোসেন বলেন, তখন ক্যাসিনো সম্পৃক্ত অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। অনেক অভিযোগের অনুসন্ধান শেষে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে অনুসন্ধানকারী দলের কেউ অবসরে চলে গেছেন, আমারও পদোন্নতি হয়েছে। ফলে কিছু কিছু অভিযোগের অনুসন্ধানের বিষয়ে অগ্রগতি হয়নি।

দুর্নীতি
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close