• বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

জনগণের কাছে বিচার দিলে বাড়ির ইট থাকবে না: শামীম ওসমান

প্রকাশ:  ০৫ মার্চ ২০২৩, ১৪:৫৮
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, আমি নারায়ণগঞ্জে একটি স্লোগান শুনেছি। ‌‘হরে কৃষ্ণ হরে রাম, শেখ হাসিনার বাবার নাম’। আমার মনে হয় আমি জাতির পিতার সৈনিক হতে পারিনি। আমার হাত-পা বাঁধা। নাহলে জনগণের কাছে যদি ভালোভাবে বিচার দেই জনগণ তাদের কাছে কীভাবে পৌছাবে জানা নেই।

তিনি বলেন, আমরা মাফ করে দিয়েছি। আমরাও কিন্তু মানুষ, রোবট না। আমাকে সারাক্ষণ শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে গালি দেয়। আমি এগুলো গায়ে মাখি না। ওরা মিথ্যা বলে তাদের জন্য আমার মায়া লাগে। কিন্তু শেখ হাসিনার প্রশ্নে আপস করতে পারি না৷ নারায়ণগঞ্জকে শান্ত থাকতে দিন। এমন কোনো বক্তব্য দেবেন না, জনগণ কিন্তু ঘরে বসে থাকবে না। জনগণের কাছে বিচার দিলে বাড়ির ইট থাকবে না।

শনিবার (৪ মার্চ) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ ক্রিয়েটিভ গ্রাজুয়েট অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে মুজিব শতবর্ষের স্মরণে স্মারণিকার মোড়ক উন্মোচন ও অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন একেএম শামীম ওসমান।

এতে সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা লীগের সভানেত্রী প্রফেসর ডা. শিরিন বেগম।

একেএম শামীম ওসমান বলেন, হিন্দু সমাজের কাছে সবচেয়ে শ্রদ্ধার বিষয় হরে কৃষ্ণ হরে রাম। যারা এ স্লোগান দেয় তারা কতবড় সাম্প্রদায়িক শক্তি হতে পারে ভেবে দেখুন। শেখ হাসিনা মুসলমান বঙ্গবন্ধুও মুসলমান। আমি মুসলমান ও সনাতনদের জিজ্ঞেস করতে চাই এরা কারা যারা হিন্দু ধর্মকে আঘাত করে। এরা দুটো ধর্মকে সমানভাবে আঘাত করল। ওরা মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে।

তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালের একটি ছবি সবাই দেখেছেন। বাসন্তীকে জাল দিয়ে জড়িয়ে বলেছিলো খাদ্য নেই। একটা শাড়ির দাম সেসময় ছিলো ৫০ টাকা আর জাল হাজার টাকা। জাতির পিতা যখন তার বাড়িতে গেলেন তিনি দেখলেন বাসন্তী একজন মানসিক ভারসাম্যহীন নারী। সেই সুযোগ নিয়েই সেদিন তার গায়ে জাল জড়িয়ে বলা হয়েছিলো খাওয়ার পয়সা নেই।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য বলেন, ওরা কি আমি জানি না। ওরা মনে করে ওরা বুদ্ধিজীবী। এই বুদ্ধিজীবীদের কাজই হচ্ছে বুদ্ধিদিপ্তি বাংলাদেশকে আটকে দেওয়া। আর এ অগ্রসর ঠেকাতে হলে শেখ হাসিনাকে আটকাতে হবে তার দলকে আটকাতে হবে। আর এটা করতে কি করতে হবে মিথ্যা অপপ্রচার ছড়াতে হবে। যার একটা অপপ্রচারের শিকার হচ্ছেন এখানে মহিলা লীগের সভানেত্রী শিরিন আপা।

সামনে দেশে আঘাত আসবে আশঙ্কা করে তিনি বলেন, দেশটাকে একটা আঘাত করা হবে পেছনের দিকে যাবার জন্য। সামনের দিকে নেয়ার জন্য নয়। বাংলাদেশে আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে, সর্বোচ্চ জুন থেকে জুলাইয়ের মধ্যে আঘাত আসবে। তারা আবার বাংলাদেশে লাশের রাজত্ব সৃষ্টি করবে এমনকি তাদের দলের বড় বড় জাতীয় নেতাকে প্রয়োজন হলে তারা হত্যা করবে। এগুলো করে তারা ইস্যু সৃষ্টি করার চেষ্টা করবে কারণ যেভাবেই হোক তারা নির্বাচন বন্ধ করতে চায়। কারণ তারা পারবে না। শেখ হাসিনার উপর আল্লাহর রহমত আছে আর তাই ২২ বার হত্যার চেষ্টা করেও তারা কিছু করতে পারেনি।

একেএম শামীম ওসমান বলেন, কে কার উকিল বাপ আর কে কার উকিল মা দেখার সময় আর নেই। নারায়ণগঞ্জের মানুষ প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত। যারা দেবোত্তর সম্পত্তি দখল করে না, যারা বাংলাদেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করে, স্বাধীনতার পক্ষের রাজনীতি করে তাদের সংখ্যা অনেক। কয়েকটা মিডিয়া দেখছি তারা সবসময় চেষ্টা করে কীভাবে শেখ হাসিনাকে দমানো যায় স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে দমাতে চাই। ওরা বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা রুখে দিতে চায়। শেখ হাসিনার দলকে দমাতে চায়। বিএনপি এমন ভাবে ২৭ দফা দেয় মনে হয় সমুদ্রের পানি চিনি হয়ে যাবে৷ আপনারাই তো ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে শত শত হিন্দু নারীদের ধর্ষণ করেছিলেন। ওরা এগুলো করে নির্বাচন বানচাল করতে চায়।

তিনি বলেন, গতকাল রাতে ইউটিউবে দেখলাম নারায়ণগঞ্জে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা মিছিলের সামনে। তারা ক্ষমতায় থাকতে আমাদের ৫২ জন লোককে তারা হত্যা করেছে। আমরা লাশও দাফন করতে পারিনি। এ লিংক রোডের পাশে দুইজন শহীদের কবর আছে। বিএনপির সময় তাদের হত্য করা হয়েছে। আমরা মরলে আমাদের বাচ্চারা কষ্ট পায় না, বউ বিধবা হয় না। আমরা মরার জন্য তৈরি হয়েছি।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

নারায়ণগঞ্জ,একেএম শামীম ওসমান,সংসদ,সদস্য,ইট,জনগণ,বিচার,বাড়ি
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close