• শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

বিএনপি রাজনীতির মাঠে পাকিস্তানের বদলি খেলোয়াড়: ইনু

প্রকাশ:  ০৮ এপ্রিল ২০২৩, ১৬:২০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠে পাকিস্তানের বদলি খেলোয়াড় বলে মন্তব্য করেছেন জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

জাতীয় সংসদের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে সংসদে আনা সাধারণ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে শনিবার (৮ মার্চ) তিনি এ প্রস্তাব করেন। সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪৭ বিধির এই সাধারণ প্রস্তাবটি শুক্রবার সংসদে তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিএনপি-জামায়াতের কঠোর সমালোচনা করে হাসানুল হক ইনু বলেন, নষ্ট রাজনীতির ধারক-বাহক বিএনপি ও জামাত তথাকথিত ২৭ দফা ও ১০ দফা দিয়ে সংবিধান খোলনলচে বদলে দেওয়ার হুংকার দিয়েছে। সংবিধানটাকে বাতিল করার কথা বলছে।

তিনি বলেন, সংবিধানের চার মূলনীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক বিষয়গুলো বিলোপ, ক্ষদ্র নৃগোষ্ঠী জাতিগত বিভ্রান্তি দূরিকরণ এবং ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে সংসদ সদস্যদের ক্ষমতায়নে সংবিধান পর্যালোচনায় সংসদীয় কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেছেন। সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান করে তিনি সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে এই সংবিধান পর্যালোচনা কমিটি গঠনের কথা বলেন।

জাসদ সভাপতি বলেন, বিএনপি পঁচাত্তরের পর যেসব অপরাধ করেছে এখনো তার পক্ষে সাফাই গাইছে। বিএনপি আসলে মুখে বাংলাদেশ অন্তরে পাকিস্তান বলে জপ করছে। বিএনপি আসলে বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠে পাকিস্তানের বদলি খেলোয়াড়। প্রক্সি প্লেয়ার। বিএনপি সংবিধান খেয়ে ফেল চায়। রাজাকারদের রাজনীতির মধ্যে আবার ফিরিয়ে আনতে চায়। তারা সাংবিধানিক ধারা বানচাল করতে চায়। অসাংবিধানিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। কোনো মাঝামাঝি রাস্তা নয়-বিএনপিকে রুখেই দিতে। রাজনীতির মাঠ থেকে বিতাড়িত করতে হবে।

তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরে এসে স্বার্বভৌম সরকার গঠনে বেশি গুরুত্ব দেন। তার পরের ইতিহাস শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ইতিহাস। শেখ হাসিনার সাফল্যের ইতিহাস। তিনি সংসদীয় পদ্ধতি ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হন।

১৪ দলীয় জোটের শরিক জাসদ সভাপতি বলেন, শেখ হাসিনা সকল সমালোচনার মুখে ঐক্যের ঝান্ডা হাতে নিয়ে ১৪ দল ও মহাজোট গঠন করে ২০০৮ সালে মাইনাস ২ তত্ত্ব বাতিল করে দিয়ে বিপুল ভোটে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে নিয়ে ক্ষমতায় এনে সংবিধান সংশোধনে হাত দেন। ১৫তম সংশোধনী তারই ফসল। আজকে যে সংসদ দেখছেন- সেই সংসদের কার্যক্রম চলছে বাহাত্তরের সংবিধানের চার মূলনীতির ভিত্তিতেই। বাহাত্তরের সংবিধানের মূলনীতির ফেরত যাত্রায় ১৯৮০ থেকে আজ অবদিশেখ হাসিনা আমাদের কান্ডারি।

তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি চমৎকারভাবে এগুচ্ছে। সামরিক ও সাম্প্রদায়িকতার জঞ্জাল পরিষ্কার করার কাজ করার পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাজ চলছে। জঙ্গি দমনের ওপর বুলডেজার চলছে।

ইনু বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ করার পরিকল্পনায় এগিয়ে যাচ্ছেন। এজন্য প্রয়োজন সম্পূরক আইন-কানুন, আধুনিক প্রশাসন এবং আরও অংশগ্রহণমূলক গণতান্ত্রিক সংসদীয় ব্যবস্থা। প্রশাসনের ওপর আরও নজরদারির ব্যবস্থা। আরও অংশগ্রহণমূলক ব্যবস্থার মধ্যদিয়ে রাজনীতির মাঠে যে প্রস্তাবগুলো আলোচনায় আছে সেগুলো আমলে নিয়ে বিচেনায় নিয়ে সংবিধান সংশোধন করার একটি সংসদীয় কমিটি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করা উচিত।

তিনি বলেন, যে আলোচনাগুলো মাঠে আছে প্রচলিত নির্বাচন পদ্ধতির পাশাপাশি দলভিত্তিক সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি, শ্রেণি-পেশার ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও স্থানীয় সরকারদের নিয়ে একটি উচ্চকক্ষ গঠন করা। অনাস্থা বিল ও অর্থবিল ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা বিল বাদ দিয়ে ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে এমপিদের আইন তৈরি আরো ক্ষমতা প্রদান, সংসদের স্থায়ী কমিটিতে উন্মুক্ত করা ও সকল স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের পূর্ণ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা এবং সংবিধান ৫৯ ও ৬০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করা।

তিনি বলেন, সর্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা ব্যবস্থা, খাদ্য ব্যবস্থা ও সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং ইন্টারনেট সর্বজনীন ব্যবহার অধিকার সংবিধানের মৌলিক অধিকার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে স্বীকৃতি দিয়ে বাস্তবায়ন করতে রাষ্ট্রকে বাধ্য করা। বিচারপতিদের নিয়োগ ও অভিশংসনের বিষয়টি আবার পর্যালোচনা করা।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

হাসানুল হক ইনু,জাসদ,খেলোয়াড়,বদলি,বিএনপি,পাকিস্তান,রাজনীতি
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close