• মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

বুয়েটের দীপ হত্যার বিচার হয়নি ১০ বছরেও, সাবেক ছাত্রনেতাদের ক্ষোভ

প্রকাশ:  ০৩ জুলাই ২০২৩, ১০:৩০ | আপডেট : ০৩ জুলাই ২০২৩, ২৩:৫৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ছাত্রলীগের নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ রায়হান দীপের হত্যার দীর্ঘ আট বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো বিচার কাজ শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ। একই সঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে দীপ হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।

রবিবার (২ জুলাই) বিকেলে শহীদ আরিফ রায়হান দীপের স্মৃতির স্মরণে বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতা-কর্মীদের উদ্যোগে আয়োজিত ভার্চুয়াল স্মরণ সভায় এই দাবি জানান তারা।

সম্পর্কিত খবর

    ভার্চুয়াল স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন বুয়েটের সাবেক ছাত্রনেতা খন্দকার মঞ্জুর মোর্শেদ, মনিরুজ্জামান সরকার মোহন, কাজী খায়রুল বাশার, হাবিব আহমেদ হালিম মুরাদ, মনিরুজ্জামান মনির, অমিত কুমার চক্রবর্তী, তানভীর হাসান তালাশ, আবু হাসান শাহরিয়ার, রনক আহসান, তানভীর মাহমুদুল হাসান, জয় প্রকাশ, আরিফুর রহমান, আবু সাইদ কনক, খন্দকার জামি উস সানি প্রমুখ।

    স্মরণ সভায় বক্তারা বলেন, তিন বছর আগে নিহত বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের মামলায় নিম্ন আদালত ২০ জনকে ফাঁসি ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। মাত্র দুই বছরের মধ্যে আবরার ফাহাদ হত্যার বিচার সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ঐকান্তিক সদিচ্ছার জন্য। কিন্তু একুশ বছর আগে ছাত্রদলের দুই পক্ষের গোলাগুলিতে নিহত বুয়েট ছাত্রী সাবেকুন নাহার সনি হত্যা মামলার দুই আসামি ছাত্রদলের সাবেক ক্যাডার মুকি ও টগর এখনো পলাতক।

    এছাড়াও, দশ বছর আগে নিহত বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতা আরিফ রায়হান দিপ হত্যা মামলার সুষ্ঠু বিচার এখনো অধরা। দিপের হত্যাকারী আসামি মেজবাহউদ্দীন বুয়েট থেকে বহিষ্কৃত ও আইনীভাবে পলাতক হলেও কিভাবে বুয়েট থেকে পাশ করার সার্টিফিকেট তুলে নিয়েছে- এগুলো খতিয়ে দেখা দরকার।

    বক্তারা আরও বলেন, আবরার হত্যাকাণ্ডের বিচারের ক্ষেত্রে সামাজিক চাপের পাশাপাশি মামলার আইনি লড়াইয়ে বুয়েট কর্তৃপক্ষেরও সহযোগিতা ছিল। কিন্তু সাবেকুন নাহার ও আরিফ হত্যাকাণ্ডের আইনী লড়াইয়ে কর্তৃপক্ষের তেমন কোন ভূমিকা ছিল না। তবে বুয়েট কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি আবরারের পরিবারের মতো সনি ও দিপের পরিবারের পাশে এগিয়ে এসেছে। এই দুই পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা করে আর্থিক অনুদান দেয়া হচ্ছে। সনি ও দিপ হত্যা মামলা পরিচালনায় বুয়েট কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করবে বলে ঘোষণা দেয়ায় বক্তারা বুয়েট প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

    এছাড়াও দিপ হত্যা মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের মাধ্যমে সম্পন্ন করার দাবি জানান বক্তারা।

    আলোচনায় মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার জন্য আহ্বান জানান বক্তারা।

    ২০১৩ সালের ৯ এপ্রিল বুয়েটের নজরুল ইসলাম হলে আরিফ রায়হান দীপকে বর্বর ভাবে মাথায় ও পিঠে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে ধর্মান্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী। পরবর্তিতে ২০১৩ সালের ২ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান।

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close