• বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

নিবন্ধন না পেয়ে যে ‘হুমকি’ দিলেন নুর

প্রকাশ:  ১৬ জুলাই ২০২৩, ১৬:৩১ | আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২৩, ১৬:৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

নিবন্ধন না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের আহ্বায়ক নুরুল হক নুর। তিনি অঙ্গীকার করে বলেন, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পতন ঘটিয়ে নিবন্ধন নিয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেব।

রোববার (১৬ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

নুর বলেন, নির্বাচন কমিশন সরকার ও এজেন্সির পরামর্শে আমাদের নিবন্ধন দেয়নি। তবে সমস্যা নেই আমরা সরকার ও নির্বাচন কমিশনের পতন ঘটিয়েই আগামী নির্বাচনের আগে নিবন্ধন নিয়ে নির্বাচন করব।

এর আগে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন প্রক্রিয়া থেকে বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদসহ ১০টি দল ছিটকে পড়েছে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম। তিনি বলেন, মাত্র দুটি দল নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় টিকে গেছে। আলোচিত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) নিবন্ধনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।

ইসি সচিব বলেন, ‘যাচাই-বাছাই শেষে এ লক্ষ্যে দল দুটিকে নিয়ে আগামীকাল (সোমবার) পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে কারও কোনো আপত্তি থাকলে তা নিষ্পত্তি করে কমিশন পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। আপত্তি নিষ্পত্তির পরে কমিশন সন্তুষ্ট হলে দল দুটিকে নিবন্ধন দেওয়া হবে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাহাংগীর আলম বলেন, ধাপে ধাপে যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। মাঠপর্যায়ে অফিস থাকার কথা, কমিটি থাকার কথা, জনবল থাকার কথা- সেগুলো সব যাচাই করেছি। পুনরায় যাচাই করে এ দুটি দলের আইন অনুযায়ী সবকিছু থাকায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এরপরই চূড়ান্ত হবে যে, কারা কারা নিবন্ধন পাবে। বাকি ১০টি দল যে তথ্য দিয়েছে, মাঠপর্যায়ে যাচাই করে গরমিল পাওয়ায় তাদের আবেদন বাতিল করা হয়েছে।

নতুন দল হিসেবে নিবন্ধন পাওয়ার সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিল ১২টি রাজনৈতিক দল। সেগুলো হলো- এবি পার্টি (আমার বাংলাদেশ পার্টি), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট পার্টি (বিএইচপি), বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদ, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ সনাতন পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএনএম), বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি), বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি), ডেমোক্রেটিক পার্টি ও বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএলডি)।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, এসব রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটি ও মাঠপর্যায়ের কার্যালয় সক্রিয় রয়েছে কি না, তা দুই দফা যাচাই করেছে নির্বাচন কমিশন। ওই দুই দফার প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে নতুন দল নিবন্ধন দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় ইসি।

নুরুল হক নুর
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close