• শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

নোবেল বিজয়ী হলেও আইন সবার জন্য সমান : শেখ পরশ

প্রকাশ:  ৩০ আগস্ট ২০২৩, ১৮:০৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

নোবেল বিজয়ী হলেও আইন সবার জন্য সমান বলে মন্তব্য করেছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে ১৭৫ বিশ্বনেতার খোলা চিঠি প্রসঙ্গে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বুধবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের উদ্যোগে অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

সম্পর্কিত খবর

    পরশ বলেন, সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণের জন্য ওয়ান-ইলেভেনের কুশীলবরা এখনো সোচ্চার। তারা একদিকে সোচ্চার অন্য দিকে বিএনপি-জামাতের মিথ্যাচার। যারা সুদখোর, যারা ট্যাক্স ফাঁকি দেয়, যারা গরিবের টাকা আত্মসাৎ করে... তাদের বিচার করতে গেলে বিদেশি প্রভুরা চিঠি দেয়। দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে ন্যাক্কারজনক হস্তক্ষেপ করা এটা কোন ধরনের সভ্যতা? তারা আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে কীভাবে ন্যাক্কারজনকভাবে হস্তক্ষেপ করে? আমাদের বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন, বিচারালয়ের রায়ের বিরুদ্ধে তারা কীভাবে হস্তক্ষেপ করে? তাদেরকে কি সভ্যতার এ, বি, সি, ডি স্মরণ করিয়ে দিতে হবে? আইন তো সবার জন্যই সমান, সে নোবেল বিজয়ী হোক আর যেই হোক।

    তিনি বলেন, নোবেল বিজয়ী হয়ে শ্রমজীবী মানুষকে ঠকাবেন, দেশের ট্যাক্স ফাঁকি দেবেন, এটা তো হতে পারে না। নোবেল বিজয়ীর জন্য কি অন্যরকম আইন বাংলাদেশে? সুতরাং আমি ওইসব সভ্য সমাজের প্রবর্তক এবং বিবেকবান মানুষদের বলব যে, শিষ্টাচার রক্ষা করেন। সব ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করবেন না।

    তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিন্তাই হলো এদেশের মানুষের সেবা করা। কোনো উন্নত দেশেও এই ধরনের জনহিতৈষীমূলক কার্যকলাপ থাকে না। তাদের শুধু চাকরিজীবীদের জন্যই পেনশন পরিকল্পনা থাকে। সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের সব নাগরিককে সম্পৃক্ত করেছেন। শেখ হাসিনার স্বপ্ন হলো পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সুন্দর একটি ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা। আমাদের ছেলে-মেয়েরা যেন চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলা করতে পারে সেই লক্ষ্যে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। এজন্য শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে তাকে প্রধানমন্ত্রী বানাতে হবে।

    যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ফলে যানজট নিরসন হবে এবং মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারবে। সুতরাং মানুষের কর্ম যদি কথা বলে তাহলে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে কেউ ঠেকাতে পারবে না। তিনি ঢাকা শহর থেকে শুরু করে সারাদেশে যে অভূতপূর্ণ উন্নয়ন সাধন করেছেন তার প্রতিদান এ দেশের জনগণ দেবে।

    পরশ বলেন, বিএনপি-জামায়াতের আমলে লুটপাট, হত্যা ও রাহাজানি ছিল নিত্যদিনের ব্যাপার। এগুলো বন্ধ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে তাদের অপারেশন ক্লিনহার্ট করতে হয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনার আমলে চুরি, লুটপাট ও রাহাজানি নেই... যার কারণে অপারেশন ক্লিনহার্টের প্রয়োজন হয় না। মানুষের যদি দেশের প্রতি ভালবাসা মমত্ববোধ থাকে এবং দেশের মানুষের প্রতি যদি দায়বদ্ধতা থাকে তাহলে সব অসাধ্য সাধন করা সম্ভব।

    ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close