• শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

‘ক্ষমতাসীনরা নিজেদের সুবিধামত সংবিধান পরিবর্তন করেছে’

প্রকাশ:  ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২০:২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী ও গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা জোনায়েদ সাকি বলেছেন, সংবিধান একটা চিন্তার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তৈরি হয়েছিলো। কিন্তু ক্ষমতাসীনরা নিজেদের সুবিধামত সংবিধান পরিবর্তন করেছে।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ‘সংবিধানের দোহাই দিয়ে একতরফা নির্বাচন সংবিধান সম্মত নয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ছয়টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত জোট গণতন্ত্র মঞ্চ।

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের যে রায়ের কথা বলে আওয়ামী লীগ যুক্তি দেয়, সেই রায়ের বিস্তারিত অংশে বলা হয়েছিল, আগামী দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে পারে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর একক সিদ্ধান্তে সংসদীয় কমিটির সিদ্ধান্ত এবং আদালতের রায় বিকৃত করে পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করে সমস্যাগ্রস্ত নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, সংবিধানে বলা হয়েছে, জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে সরকার নির্বাচিত হবে। এই সরকার জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের নির্বাচিত নয়। তাই এই সরকার অসাংবিধানিক ও অবৈধ। সংবিধান মেনেই এই সরকারকে চলে যেতে হবে।

আওয়ামী লীগ সব নীতি বর্জন করেছে মন্তব্য করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আওয়ামী লীগের একটাই ধান্দা। তারা কোনো নীতি কথা শুনবে না। কারণ তারা সকল নীতি বর্জন করেছে, ব্যাংকগুলো খালি করেছে। আগামীতে নির্বাচনে গুন্ডা-হোন্ডা সবই যাবে, তারপর বিদেশিদের দেখাবে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে।

সরকার আরেকটা নীল নকশার নির্বাচনের পরিকল্পনা করছে উল্লেখ করে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সংবিধানের দোহাই দিয়ে এখন সরকার বলছে নির্বাচন তাদের অধীনেই হবে। আওয়ামী লীগের এখন যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে, তাদের যদি রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকে তাহলে একদিনের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা চালু করতে পারে। কিন্তু সরকার এখন আরেকটা নীল নকশার নির্বাচনের পরিকল্পনা করছে। আর তাদের সাহায্য করছে বর্তমান নির্বাচন কমিশন।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, নাগরিকদের ভোটের অধিকার সংবিধান দিয়েছে। কিন্তু সরকার তার ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার জন্য সংবিধানের দোহাই দিয়ে জনগণের সংবিধান সম্মত এই অধিকার পদদলিত করছে।

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম বলেন, আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেনি। প্রধানমন্ত্রী তখন মিথ্যাচার করেছিলেন। আদালত এখানে ভূমিকা নিতে পারতো, কিন্তু নেয়নি। একতরফা কোনো নির্বাচন হতে পারে না।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

সংবিধান,পরিবর্তন,জোনায়েদ সাকি,গণসংহতি আন্দোলন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close