সমাবেশে হট্টগোল, ফখরুল বললেন ‘সরকারের দালাল’
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে সমাবেশ করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি। সমাবেশ চলাকালে ছাত্রদলের দু’গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে হট্টগোল শুরু হয়। হট্টগোলকারীদের উদ্দেশ করে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘যারা আমাদের সমাবেশে ঝামেলা করছেন তারা বিএনপির কেউ না, তারা সরকারের দালাল’।
রোববার (২৪ সেপ্টম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সম্পর্কিত খবর
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই সমাবেশ হচ্ছে গণতন্ত্রের মাতার জন্য। শহীদ জিয়ার শাহাদাতের পর যখন গণতন্ত্র হরণ করা হলো তখন তাকে অবরুদ্ধ করা হলো। তারপর তিনি দেশের মানুষের জন্য রাস্তায় নেমেছেন। দীর্ঘ ৯ বছর সংগ্রাম করে স্বৈরাচারী সরকার হটিয়ে তিনি দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন।’
তিনি বলেন, আমি গতকালকেও তাকে দেখতে গিয়েছিলাম। তার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। চিকিৎসকরা বলছেন তাকে অতি দ্রুত চিকিৎসার জন্য বাইরে নিয়ে যেতে হবে। খালেজা জিয়া গৃহবন্দি অবস্থায় তিনবার হাসপাতালে গেলেও এবার তার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে গায়ের মধ্যে আগুন লেগে গেছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে, বিদেশে পাঠাতে হবে৷ নয়ত এ দেশের মানুষ আপনাদের নিষেধাজ্ঞা দেবে৷ যদি খালেদা জিয়ার কিছু হয় তাহলে সমস্ত দায়-দায়িত্ব এ সরকারকে নিতে হবে৷
‘এই অবৈধ সরকারকে বলতে চাই, খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেন। নেত্রীর যদি কোনো ক্ষতি হয় তবে নেত্রীর নয়, দলের নয় পুরো বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় ক্ষতি হবে।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ জোর করে এ দেশের জনগণের ওপর সংবিধান চাপিয়ে দিয়েছে৷ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ধ্বংস হয়ে যাবে যদি এ সরকার আবার ক্ষমতায় আসে।
ভিসা নীতি নিয়ে তিনি বলেন, আমেরিকার ভিসা নীতি একটি স্বাধীন দেশের জন্য সম্মানজনক নয়৷ এ সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকছে বলেই এ ধরনের ভিসা নীতি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, ২০১৪ তে যেমন একতরফা নির্বাচন হয়েছে, ২০১৮ তে আগের রাতে ভোট নিয়ে যে নির্বাচন হয়েছে ঠিক তেমন আরেকটি নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে এই সরকার।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম