• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

যথাসময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশ:  ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২৩:১৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

যথাসময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আনজুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভান্ডারিয়া ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি আয়োজিত আন্তর্জাতিক শান্তি মহাসমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ২০১৪ সালে নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র হয়েছিলো, বলা হয়েছিলো সরকার টিকবে না। আমাদের সরকার পূর্ণ পাঁচ বছর দেশ পরিচালনা করেছে। ২০১৮ সালেও ষড়যন্ত্র হয়েছিলো, এবারো আমরা দুই মাসের মাথায় পাঁচ বছর পূর্ণ করতে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত যতোই দেশটাকে বিশ্ববেনিয়াদের হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করুক, নির্বাচন যথাসময়েই হবে। বিএনপি আসুক বা না আসুক, আজকের অনুষ্ঠানের আয়োজক সুপ্রিম পার্টিসহ বহু রাজনৈতিক দল ও জনগণের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এ সময় দেশরক্ষা, অলি-আউলিয়াদের সম্মান রক্ষা ও ফেতনা সৃষ্টিকারীদের রুখে দাঁড়ানো মুসলমানদের ইমানি দায়িত্ব বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে ইসলাম ও আলেম-ওলামাদের কল্যাণে যখন অভাবনীয় কাজ করা হয়েছে এবং হচ্ছে, তখন দেশে ইসলামের নামে হানাহানির অপচেষ্টা চলছে। তিনি মনে করিয়ে দেন, এ দেশে ইসলাম কোনো যুদ্ধবিগ্রহের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়নি, অলি-আউলিয়ারা মানুষের মন জয় করে ইসলামের সুশীতল ছায়ায় এনেছেন। কিন্তু আজ জামায়াতে ইসলামীসহ আরো কিছু গোষ্ঠী অলি-আউলিয়াদের অসম্মান করে। তাদের বিরুদ্ধে ফতোয়া দেয়, বক্তৃতা করে। এরা ইসলামের কল্যাণ করছে না, বরং ফেতনা সৃষ্টি করছে। এদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে। এই ফেতনা সৃষ্টিকারীদের যারা প্রশ্রয় দেয়, জামায়াত যাদের জোটভুক্ত, সেই বিএনপির বিরুদ্ধেও সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

হাছান মাহমুদ বলেন, এ দেশে ইসলামের কথা বলে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। বিএনপির সময় একযোগে ৫০০ জায়গায় বোমা ফোটানো হয়েছে। বিএনপি জঙ্গি ভাড়া করে শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে। যারা এভাবে ইসলামের গায়ে কালিমা লেপন করছে, তাদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে, ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

সমসাময়িক বিশ্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনে শিশুদের ঢিল ছোড়ার জবাবে যখন ইসরায়েলি বাহিনী পাখির মতো গুলি করে মানুষ হত্যা করে, তাদের বিরুদ্ধে স্যাংশন দেওয়া হয় না। মিয়ানমারে যখন মুসলমানদের জবাই করে হত্যা করা হয়, তাদের বিরুদ্ধে ভিসানীতি হয় না। নির্যাতিত হয়ে দেশ থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আমাদের আশ্রয়ে ভালো রাখার উপায় দেওয়া হয় কিন্তু তাদের নিজ দেশে ফেরত নেওয়ায় জোর দেওয়া হয় না। মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য জাতিসংঘে সব দেশের নিন্দা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়া হয়।

মহানবী হজরত মুহাম্মদের (সা.) জন্ম ও ওফাত দিবস পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে তথ্যমন্ত্রী ইসলামের খেদমতে আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগকে যুগান্তকারী ও অদ্বিতীয় হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু তৎকালীন এই রেসকোর্স উদ্যানে ঘোড়দৌড় বন্ধ করেছিলেন। কারণ, ইসলাম বাজি সমর্থন করে না। উদ্যানের পাশে তাবলীগ জামাতের মসজিদ এবং টঙ্গীতে মুসলিমদের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত বিশাল বিশ্ব ইজতেমার জন্য জমিও বঙ্গবন্ধু দিয়েছিলেন। তিনি মদ, জুয়া, হাউজি নিষিদ্ধ করেছিলেন, যেগুলো পরে জিয়াউর রহমান আবার চালু করেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাসহ ইসলামের খেদমতে বহু কাজ বঙ্গবন্ধু করেছেন।

তিনি বলেন, আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে ৫৬০টি মসজিদ, ১ লাখ ২০ হাজার মসজিদভিত্তিক মক্তব প্রতিষ্ঠা ও প্রতি মক্তবশিক্ষকের ৫ হাজার ২০০ টাকা মাসিক ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। খালেদা জিয়া, এরশাদ সরকার মুলা ঝুলিয়ে রেখেছিলো আর শেখ হাসিনাই দেশে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতি দিয়েছেন, পাস করা শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিও পেয়েছেন, ইসলামি-আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রায় প্রতিটি আলিয়া মাদ্রাসার নতুন ভবন এবং ৬১০০ মসজিদে পাঠাগার হয়েছে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট হয়েছে। ২০২৪ সালে জাহাজে করে হজযাত্রী পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। কারণ, জাহাজে খরচ বিমানের প্রায় অর্ধেক। মক্কা-মদিনার ইমামরা শেখ হাসিনার আমলেই এ দেশে আমন্ত্রণে এসেছেন। সৌদি আরবসহ মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অনেক উচ্চতায় আসীন হয়েছে।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

তথ্যমন্ত্রী,নির্বাচন,ড. হাছান মাহমুদ,আওয়ামী লীগ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close