• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

ঢাকা-১৮ আসন: মনোনয়ন দৌড়ে কেন আলোচনায় আফসার খান?

প্রকাশ:  ১০ অক্টোবর ২০২৩, ১১:০১ | আপডেট : ১১ অক্টোবর ২০২৩, ১৩:০১
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে জমে উঠেছে ঢাকা-১৮ আসনের রাজনীতি। এরই মধ্যে মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারা আসনটির অলি-গলিতে ব্যানার-ফেস্টুন লাগিয়ে চলেছেন। কে পাবেন মনোনয়ন এ নিয়ে প্রত্যাশী নেতাদের অনুসারীরাও বেশ চাঙা। তবে প্রয়াত সাহারা খাতুনের হাতে গড়া এ আসনটিতে উপনির্বাচনে এমপি হয়েছেন হাবিব হাসান। তিনি মূলত সাহারা খাতুনের ব্লকের বাইরে থেকে রাজনীতি করেই আজকের এ অবস্থানে এসেছেন। তবে দীর্ঘ ১৩ বছর যাবত এ এলাকার নেতৃত্বে দেওয়ায় সাহারা অনুসারী নেতার সংখ্যা যে কোনও বিচারেই অনেক বেশী। তা মাঠ পর্যায়েও ব্যাপকভাবে আলোচিত।

গেল ১৫ বছর থেকে এ আসনে সাহারা খাতুনের নেতাকর্মীদের সুখ-দুখে পাশে ছিলেন উত্তর সিটির ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আফসার উদ্দিন খান। বিভিন্ন কারণে তিনি এখনো সাহারা খাতুন ব্লকের নেতাকর্মীদের মধ্যমণি হয়ে আছেন। এর বাইরে আছেন শিল্পপতি খসরু চৌধুরী। তাই আগামী নির্বাচনে তাদের ঘিরে ঢাকা-১৮ আসনে ব্যাপক পরিবর্তনের আশা করছেন প্রয়াত সাহারা খাতুনের অনুসারী নেতাকর্মীরা। তাই, এ আসনের বেশীর ভাগ নেতাকর্মী এখনো সাহারা খাতুন বা তার অনুসারী নেতা হিসেবে আফসার খানের পক্ষেই হাঁটছেন।

আফসার উদ্দিন খান ঢাকা-১৮ আসন এলাকার সবচাইতে বড় একটি ওয়ার্ডের পর পর দুই বারের বিপুল ভোটের নির্বাচিত কাউন্সিলর। মডেল টাউন উত্তরার রাজধানী খ্যাত ওয়ার্ডটির প্রায় আশিভাগ উন্নয়ন তার হাত দিয়েই হয়েছে। পরিছন্ন এ ওয়ার্ডের ভোটার সংখ্যা প্রায় লক্ষাধিক। এলাকার জনপ্রিয় কাউন্সিলর হিসেবে তিনি দীর্ঘ ১৩ বছর যাবত প্রয়াত এমপির পক্ষে অত্যন্ত সুচারুভাবে যেসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছেন তা এখনো সবার মুখে মুখে। একই সাথে আনুগত্য এবং বিশ্বস্ত কর্মী হিসেবে সাহারা খাতুনের খুবই আপনজন ছিলেন তিনি। সাহারা খাতুনের শেষ জীবনে এসেও তার অবাধ্য হয়ে কোনও কাজে জড়াননি আফসার খান। মূলত সাহারা খাতুনের সুনাম ধরে রাখার জন্য তিনি সব সময়ই সচেষ্ট ছিলেন।

জানা গেছে, এ ওয়ার্ডের বাইরেও আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ নেতাকর্মীই এখনো তাদের আইডল হিসেবে সাহারা খাতুনকে স্মরণ করে থাকেন। দলের প্রায় বেশিরভাগ নেতাকর্মী সাহারা প্রশ্নে এখনো একাট্টা। কিন্তু উপনির্বাচনের পর এ আসনে এমপি নির্বাচিত হন নগর আওয়ামী লীগ নেতা হাবিব হাসান। তিনি এমপি হওয়ার পর স্থানীয় আওয়ামী লীগে নতুন একটি শ্রেণী গড়ে উঠে। কিন্তু সম্প্রতি এ আসনে দলীয় কাউন্সিলের পর পদ-পদবিতে পুরনো আ.লীগ কর্মীদের মূল্যায়ন করার একটি প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। আর এতে সাহারা ব্লকে যারা রাজনীতি করেছেন তাদের প্রায় ৭০ শতাংশ নেতাদের নেতৃত্ব আনতে চেয়েছিল নগর আওয়ামী লীগ। কিন্তু নেতাদের বিরোধের কারণে সেই কমিটি আলোর মুখ না দেখলেও আফসার খান অনুসারীদের সংখ্যা কোনোভাবেই কমেনি বলে জানিয়েছেন এক নেতা।

তিনি বলেন, আমরা যারা সাহারা আপার হয়ে রাজনীতি করেছি, তারা আজ কোণঠাসা। আসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গা থেকে আমাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা এখন বিরোধী দলের মতোই আছি। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিনীত অনুরোধ তারই প্রিয় সাহারা আপার স্মৃতিকে ধরে রাখতে আমাদের মধ্য থেকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার জোর দাবি জানাই। আমরা চাই সাহারা আপার স্মৃতি ধরে রেখে এ আসনে রাজনীতি করতে। অহিংস রাজনীতি করতে।

নির্বাচন,ঢাকা-১৮,সংসদ,ভোট
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close