মহাসমাবেশকে ঘিরে
সংঘর্ষে ২০ সাংবাদিকসহ অন্তত ১৫০ জন আহত
আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশেকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে অন্তত ২০ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে বাংলা ট্রিবিউনের প্রধান প্রতিবেদকসহ তিন জন রয়েছেন। আহতদের বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
সম্পর্কিত খবর
আজ শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে পেশাগত দায়িত্বপালনকালে পুলিশ ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী আহত হন। এসময় সাংবাদিকদের কয়েকটি মোটরসাইকেলেও আগুন দেওয়া হয়েছে।
এই সংঘর্ষে ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ঢাকা টাইমসের প্রতিবেদক সালেকিন তারিন। তাকে চিকিৎসার জন্য জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) নেওয়া হয়েছে।
এসময় মারধরের শিকার হয়েছেন দৈনিক কালবেলার প্রতিবেদক রাফসান জানি। তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। কালবেলার অপরাধ বিষয়ক প্রতিবেদক রাফসান জানি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, নাইটেঙ্গেল মোড়ে দায়িত্ব পালন করছিলাম। আমি আর বাংলা ট্রিবিউনের প্রধান প্রতিবেদক সালমান তারেক শাকিল ভাই কাছাকাছি ছিলাম। এর মধ্যে দেখলাম দুই জন পুলিশ ও একজন আনসার সদস্যকে কাকরাইলের দিকে ধাওয়া দিয়ে বেধড়ক মারা হচ্ছে। ২০-২৫ জন বিএনপি কর্মী রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটাচ্ছে। আমি শুধু রাস্তার এপার থেকে এসে মাঝখানের সড়ক বিভাজকের উপর দাঁড়িয়ে ভিডিও করছিলাম। আমার গলায় আইডি কার্ড ঝোলানো ছিল, ওইপাশ থেকে দুই তিন জন এসে ধাওয়া দিল। সাংবাদিক, সাংবাদিক বলে চিৎকার করে আমাকে ধাওয়া দিল এবং ইচ্ছেমতো মারধর করলো। লাঠি, রড ও বাঁশ এমন কিছু বাদ নাই, যা দিয়ে তারা মারেনি। মারতে মারতে আমাকে ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জের কার্যালয় পর্যন্ত নিয়ে গেলো। আমি চেষ্টা করছিলাম সরে যেতে কিন্তু পেছন থেকে ধাওয়া দিচ্ছিল। সামনে যেই পাচ্ছিলো, সেই মারছিল।’
সংঘর্ষে আরও আহত হয়েছেন, নিউ এইজের আহাম্মদ ফয়েজ, দৈনিক কালবেলার আবু সালেহ মুসা, রবিউল ইসলাম রুবেল এবং তৌহিদুল ইসলাম তারেক, ব্রেকিং নিউজের ক্রাইম রিপোর্টার কাজী ইহসান বিন দিদার, দৈনিক ইনকিলাবের ফটোসাংবাদিক এফ এ মাসুম, দৈনিক ইত্তেফাকের মাল্টিমিডিয়ার রিপোর্টার তানভীর আহাম্মেদ, একুশে টিভির রিপোর্টার তৌহিদুর রহমান ও ক্যামেরা পারসন আরিফুর রহমান, দৈনিক দেশ রূপান্তরের সাংবাদিক আরিফুর রহমান রাব্বি, ইত্তেফাকের সাংবাদিক শেখ নাছের ও ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক মারুফ।
ইত্তেফাকের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার তানভীরের সঙ্গে থাকা সাংবাদিক মুজাহিদ জানান, জামায়াতের সমাবেশ শেষ করে আসার পথে হামলা চালায় বিএনপি কর্মীরা। তানভীরকে রাস্তায় ফেলে ইচ্ছামতো পেটায়। তার অবস্থা গুরুতর।