• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

শরিকদের সঙ্গে শিগগিরিই সমঝোতা হবে: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশ:  ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬:০৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

শরিকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমরা আশা করছি খুব শিগগিরিই তাদের সঙ্গে সমঝোতা হবে।

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী সব সময় নির্বাচনে থাকে। আমাদের দল থেকে অনেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। আবার আমাদের দল করেন না, এমন অনেকেই হয়েছেন। এ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অনেকেই বাতিল হয়েছিলেন। প্রথম দিন আপিলের পর ৫০ শতাংশের বেশি প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফেরত পান। আমি মনে করি, তাদের অংশগ্রহণ নির্বাচনকে উৎসবমুখর করার ক্ষেত্রে সহায়ক হচ্ছে।

বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে আপনাদের দলের অবস্থানটি কী, জানতে চাইলে তিনি বলেন, দলের অভ্যন্তরে এ নিয়ে আলোচনা হয়নি, প্রয়োজন হলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সরকার তো কোনোভাবেই কোনো কিছু হস্তক্ষেপ করছে না। করার কোনো সুযোগও নাই। কারণ তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব সরকারি কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চাকরিগুলো নির্বাচন কমিশনের কাছে ন্যস্ত হয়। ফলে তাদের পোস্টিং (পদায়ন)-বদলি সব কিছু নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে যায়। কোনো কিছু করতে হলে নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন লাগে। নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দিলে সরকার তা করতে বাধ্য।

তিনি বলেন, এই যে বিভিন্ন ওসি, ইউএনও, ডিসি বদলি,- তা এত ব্যাপকভাবে আগে কখনো হয়নি। এতেই প্রমাণিত হয় নির্বাচন কমিশন অনেক শক্তিশালী। পাশাপাশি সরকার নির্বাচন কমিশনকে সব দিক থেকে সহায়তা করছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে ও পরে অনেকেই অনেক ধরনের শঙ্কা-আশঙ্কার কথা বলেছেন, বিদেশি পর্যবেক্ষক আসবে কি না, তা নিয়ে নানাজনের নানা মত ছিলো। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে বিদেশি পর্যবেক্ষক পাঠানোর জন্য অনেক দেশ সম্মত হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ দেশি-বিদেশি সংস্থা, ভারত, জাপান, ফিলিস্তিন, ওআইসি পর্যবেক্ষক পাঠাবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছে।

তিনি বলেন, সবসময় যেভাবে পর্যবেক্ষক আসে, ঠিক সেভাবেই আসবে। এতেই প্রমাণিত হয়, নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। মানুষ ও দেশ পুরোপুরিভাবে নির্বাচনমুখী হয়েছে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন,‌ পর্যবেক্ষকদল পাঠাবে কি পাঠাবে না, এ নিয়ে যারা দোলাচলে ছিল, তারা এখন সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্বাচনে পর্যবেক্ষকদল পাঠাবে। আমি মনে করি, নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসা মানেই তা একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও ভালো নির্বাচন করার ক্ষেত্রে সহায়ক। প্রধানমন্ত্রী বারংবার ব্যক্ত করেছেন, নির্বাচন কমিশনকে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বতোভাবে সহায়তা করা হবে, যাতে করে একটি সুষ্ঠু,সুন্দর ও উৎসবমুখর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি বলেন, আপনারা ইতোমধ্যে দেখেছেন নির্বাচন কমিশন কিছু বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিয়েছে। যেমন, বিভিন্ন থানার ওসি, ইউএনও, ডিসিকে বদলি করেছে। আগের নির্বাচন কমিশনগুলো এত ব্যাপক হারে করেনি। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন যে নিরপেক্ষ কাজ করছে, সেটির প্রমাণ হলো এই যে ব্যাপক হারে বদলি।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যারা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চায় এবং এখনও নির্বাচনকে বাধা দেওয়ার পক্ষে যারা ক্রমাগতভাবে অবরোধ ডাকছে, তারাও বুঝতে পারছে নির্বাচন সুন্দর, স্বচ্ছ হবে এবং ব্যাপক হারে জনগণের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে একটি ভালো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সে কারণে বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসতে সম্মত হয়েছে।

তিনি বলেন, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের হলফনামা নিয়ে যে নিবন্ধ বের হচ্ছে, সেগুলো জনগণ উৎসাহ নিয়ে পড়ছে। আমিও পড়ছি। এসব নির্বাচন প্রক্রিয়ার অংশ। পাশাপাশি নির্বাচন প্রক্রিয়া যে স্বচ্ছ সেটিরও বহিঃপ্রকাশ। সব দেশে কিন্তু এভাবে হলফনামা প্রকাশ করা হয় না। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার পর এবং প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরও তিনি তার ট্যাক্স ফাইল প্রকাশ্যে আনেননি। আর আমাদের দেশে ট্যাক্স ফাইল প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক। উন্নত অনেক দেশের চেয়ে আমাদের নির্বাচনী আইন এবং এর পাশাপাশি নির্বাচনী প্রক্রিয়া অনেক বেশি শক্তিশালী।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

সমঝোতা,শরিক,ড. হাছান মাহমুদ,তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী,আওয়ামী লীগ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close