ফাইট করবো, একটা সিটও প্রত্যাহার করবো না: চুন্নু
জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, সব আসনেই নির্বাচন করবো। নির্বাচন করতে এসেছি, ভোট থেকে চলে যাওয়ার জন্য আসিনি। ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে ফাইট করবো, একটা সিটও প্রত্যাহার করবো না। কোনো (প্রার্থীর প্রার্থিতা) প্রত্যাহারের সুযোগ নেই, সব সিটেই নির্বাচন করবো।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সম্পর্কিত খবর
আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে বৈঠক করিনি। আগেও বলেছি, এখনো বলছি। নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি নিয়ে সময়ে সময়ে কথা বলেছি আওয়ামী লীগের সঙ্গে। আপনারা যেটা ইঙ্গিত দিলেন, সেটাও অনেক সময় হয়। সংসদীয় রাজনীতিতে অনেক সময় দেখা যায় স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার পদে যারা থাকেন তাদের আসনে নির্বাচন করেন না। ব্রিটিশ সংসদে এই ধরনের একটা নজির আছে। ভারতীয় সংসদসহ অনেক সংসদে দেখা যায় অনেক বিজ্ঞ বিজ্ঞ লোক আছেন। সেখানে দেখা যায় ভালো লোক যারা, ভালো সংসদ সদস্য- তাদেরকে অনেক সময় ছাড় দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, চরম বিরোধীদল থাকলেও এক দলের সঙ্গে আরেক দলের ছাড়ের প্রশ্ন আছে। ঠিক এরকম একটা দৃষ্টিভঙ্গি থেকেও আমরাও ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে ভোটের সার্বিক বিষয়, কোনো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারলে ভালো হয়, সেই সব সুযোগ আছে কি না- তা নিয়ে আলোচনা যে হয়নি তা নয়, হয়েছে। কোনো বিষয় নির্দিষ্ট করে আলোচনা হয়নি। আসনের বিষয়টা খুব বেশি মুখ্য না। সব আলাপ তো বলা যাবে না, আরো আলাপ হবে।
জাপা মহাসচিব বলেন, এটা তো ঠিক, সব দল তার নিজস্ব প্রয়োজনে যে কোনো টেকনিকে একজন আরেকজনের সঙ্গে কথা বললে সবাই নিজের সুবিধাটা পেতে চায়। সেটা তো সবার বেলায় ঠিক।
জাপা চেয়ারম্যানকে হুমকি দেওয়া হয়েছে, তিনি থানায় জিডি করেছেন- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, হুমকি আমার ফোনে একটা না বহু আছে। বাট আই ডোন্ট কেয়ার, অনেক হুমকি আছে। আমি কোনো জিডি করার প্রয়োজন মনে করছি না। ভোটে যাবো এটা আমার রাজনীতি। আমি জিডি করবো না। করার দরকার বলে মনে করি না। আমি যুদ্ধ করেছি, কারো ভয়ে ভীত না। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই হুমকি এসেছে। ভোট থেকে সরে যাওয়ার বা করার জন্য না।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে বার বার আলোচনা কেন এবং আলোচনার বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ৭ তারিখের (৭ জানুয়ারি) আগ পর্যন্ত ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে ভোটের সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। কাল হয়েছে, আজকেও হবে। এরপরেও হবে। ১৮ তারিখ প্রতীক বরাদ্দ, তারপরেও হবে। আমরা দৃষ্টান্ত রাখতে চাই, ভোটে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবো, কিন্তু ভোটকে সুষ্ঠু করার জন্য দুই দলই প্রয়োজনে আমরা মাঝেমধ্যে বসবো। আমার কৌশল সবগুলো কি প্রকাশ করবো? এটা কি কেউ করে?
তিনি বলেন, লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেমের চিঠি লিখবো- এটা কি বাবা-মাকে প্রথমে বলা যায়? আত্মীয়- স্বজনকে বলা যায়? বলা যায় না। পরে যখন হয়ে যায়, তখন বলা যায়।
প্রেমের সম্পর্ক কতদূর গেছে জানতে চাইলে জাপা মহাসচিব বলেন, প্রেম এমন সম্পর্ক; প্রেম হয়, বিরহ হয়। আবার গভীর হয়, আবার বিরহ হয়। প্রেমের তো শেষ পরিণতি বিয়ে।
তবে প্রেমে সবাই নায়ক হতে চায় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম