• বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

বগুড়ার তিন আসনে কপাল পুড়ল আওয়ামী লীগের তিন নেতার

প্রকাশ:  ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:৩০ | আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৩:১১
নিজস্ব প্রতিবেদক

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়ার তিনটি আসনে নিজেদের প্রার্থী প্রত্যাহার করে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে রাজনৈতিক মিত্র জাতীয় পার্টিকে দুটি ও জোটসঙ্গী জাসদকে একটি আসন ছেড়ে দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল। এতে কপাল পুড়েছে এসব আসনে নৌকার মনোনয়ন পাওয়া নেতাদের।

সংসদ সদস্য হতে এদের মধ্যে দুইজন উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়রের পদ ছেড়েছিলেন।

জনপ্রতিনিধির পদ ছেড়ে দলের মনোনয়ন পাওয়ার পরেও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় এই নেতাদের কর্মী-সমর্থকরা হতাশা ও ক্ষোভ জানান। যদিও কারও কারও মতে, অতিলোভের শাস্তি পেয়েছেন এই নেতারা।

তথ্য বলছে, পরপর দুইবার শিবগঞ্জ পৌরসভায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান মানিক। সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে মেয়রের পদ ছেড়ে বগুড়া-২ আসনে পেয়ে যান আওয়ামী লীগের মনোনয়ন। তবে আসন ভাগাভাগির কারণে তাকে সরিয়ে সেখানে প্রার্থী করা হয়েছে জাতীয় পার্টির প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য শরিফুল ইসলাম জিন্নাহকে।

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান রাজু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ ছেড়েছিলেন সংসদ সদস্য হওয়ার বাসনায়। বগুড়া-৩ (আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া) আসনে নৌকার প্রার্থী করা হয় তাকে। আসন ভাগাভাগির কারণে তাকে সরিয়ে সেখানে প্রার্থী করা হয়েছে জাতীয় পার্টির বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম তালুকদারকে।

আর বগুড়ার কাহালু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কাহালু পৌরসভার সাবেক মেয়র হেলাল উদ্দিন কবিরাজ বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) মনোনয়ন কিনেছিলেন। তাকেই দলের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। আসনটি ১৪ দলীয় জোটের শরিক জাসদের বর্তমান এমপি একেএম রেজাউল করিম তানসেনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

আসন ভাগাভাগির কারণে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন রবিবার বগুড়া-২ থেকে তৌহিদুর রহমান মানিক, বগুড়া-৩ আসন থেকে সিরাজুল ইসলাম খান রাজু ও বগুড়া-৪ থেকে হেলাল উদ্দিন কবিরাজ প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।

এদিকে নেতার মনোনয়ন প্রত্যাহারে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিন প্রার্থীর সমর্থকরা।

হেলাল উদ্দিন কবিরাজ বলেন, “আওয়ামী লীগ সৃষ্টির পর থেকে এই আসনে কাউকে নৌকার প্রার্থী করা হয়নি। এবার মনোনয়ন পাওয়ায় নেতাকর্মীরা আশায় বুক বেঁধেছিলেন। এখন তারা মনঃক্ষুণ্ন হয়েছেন। তবে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের প্রতি আস্থাশীল। তিনি যা ভালো মনে করেছেন, তাই করেছেন।”

তৌহিদুর রহমান মানিক ও সিরাজুল ইসলাম খান রাজু জানান, দলের সিদ্ধান্তের প্রতি তারা আস্থাশীল।

অপরদিকে এই নেতাদের সংসদ সদস্য হওয়ার বাসনাকে “অতি লোভে তাঁতি নষ্ট” বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নেতাকর্মীদের দাবি, সিরাজুল ইসলাম খান রাজু ও তৌহিদুর রহমান মানিক লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তাদের পদত্যাগ করে সংসদ সদস্য পদে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল না।

বগুড়া,দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন,আওয়ামী লীগ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close