• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

হলফনামায় বাড়ি-জমির তথ্য, প্রচারণায় অস্বীকার

প্রকাশ:  ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ২০:৫৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

হলফনামায় জমি ও বাড়ির তথ্য দিলেও প্রচারণায় নেমে তা দেদারছে অস্বীকার করেছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-২০ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাদ্দেছ হোসেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভোটের প্রচারে সহানুভূতি পেতে তিনি নিজের ঘরবাড়ি নেই এমন প্রচার করে থাকেন।

সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার কুশুরা ইউনিয়নের বান্নাখোলা এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় দেওয়া বক্তব্যে নিজের সম্পত্তির বিষয়ে তিনি হলফনামায় দেওয়া তথ্যের বিপরীতে কথা বলেন।

মনোনয়নের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামায় দেখা যায়, মোহাদ্দেছ হোসেন ৭৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা মূল্যমান মানের ১০.২ একর কৃষি জমির মালিক। যা যৌথ মালিকানায় ৬ ভাগের এক ভাগ মালিক তিনি।

একইভাবে ধামরাইয়ে ৩০ শতাংশ জমির ১/৬ মালিকানা হিসেবে ০.৫ শতাংশ জমিতে অ্যাপার্টমেন্ট আছে তার। হলফনামায় ওই বাড়ির মূল্যমান তিনি দেখিয়েছেন পাঁচ লাখ টাকা। তবে তথ্য বলছে, ওই জমির বাস্তব মূল্য হলনামার মূল্যের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি।

গত পাঁচ বছরে তার আয় বলতে তিনি উল্লেখ করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যানের সম্মানী ভাতা বছরে পাঁচ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

তবে সোমবার প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পরে ভোটের প্রচারে তিনি দাবি করে বলেন, ‘আমি এখনও একটি বাসা ভাড়া করে থাকি। সারা ধামরাইয়ে কোনো জায়গা কিনতে পারি নাই।’

নিজের কোনো টাকা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘১০ কোটি ২০ কোটি টাকার বিনিময়ে যদি নির্বাচন করতাম, তাহলে মনে করতাম, বাড়ি দরকার। আগামী নির্বাচনের জন্য টাকার দরকার। সেই টাকা লাগে না। আহম্মদ আল জামান (সিআইপি) বলেছেন, আমরা ভাইবোনরা মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি তোমাকে স্বতন্ত্র এমপি ইলেকশন করতে হবে। তোমার সমস্ত খরচ আমরা বহন করবো।’

প্রচারণার পোস্টারে নিজেকে জনগণের মনোনীত প্রার্থী দাবি করলেও বক্তব্যে মোহাদ্দেছ বলেন, ‘আহম্মদ আল জামানের কথায়, উপজেলা চেয়ারম্যান পদত্যাগ করে, নির্বাচনে এসেছি।’

ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, কালামপুর বিসিকে বিভিন্ন কারখানার বর্জ্য ব্যবসা ও ড্রামের ব্যবসা তার নামেই নিয়ন্ত্রিত হয়। সেখান থেকে মোটা অংকের অর্থ যায় তার পকেটে। রাজনীতি ছাড়া প্রকাশ্যে আর কোনো ব্যবসা না থাকা এই প্রার্থী ওই ব্যবসার ভাগের অর্থ নিয়েই জীবনযাপন করেন।

এই বিষয়ে জানতে মোহাদ্দেছের ব্যক্তিগত নম্বরে কল দেওয়া হয়। ফোনটি রিসিভ করেন বাবুল হোসেন নামে এক ব্যক্তি। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব পরিচয় দিয়ে তিনি বলেন, ‘মোহাদ্দেছ ভোট চাইছেন।’ এর আগেও মোহাদ্দেছ হোসেন ফোন না ধরা নিয়ে সমালোচিত হয়েছেন।

প্রচারণা,হলফনামা,নির্বাচন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close