• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

নির্বাচনী প্রতীক পেয়েই হুঙ্কার

কাউকে প্রতিদ্বন্দ্বীই মনে করছি না: সেলিনা ইসলাম

প্রকাশ:  ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ২০:৩৫
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদরের একাংশ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিনা ইসলাম বলেছেন, আমরা সকল প্রার্থী সচেতন। সবাই দেশ ও আসনটির উন্নয়নের জন্য পজিটিভ রয়েছি। সবাই আমরা 'ফর দ্যা পিপলস, ফর দ্যা কান্ট্রি, ফর দ্যা ডেভেলপ।'

শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। উচ্চ আদালতের আদেশে প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ার পর আজ প্রতীক বরাদ্দের জন্য তিনি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আসেন। এসময় রিটার্নিং কর্মকর্তা সুরাইয়া জাহান তাকে 'ঈগল' প্রতীক বরাদ্দ দেন।

তিনি সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ও আসনটির সাবেক এমপি শহিদুল ইসলাম পাপুলের স্ত্রী।

সেলিনা ইসলাম আরও বলেন, আমি আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার কর্মী। বঙ্গবন্ধু কন্যার কথা অনুযায়ী নিজ যোগ্যতা যাচাই করতে প্রার্থী হয়েছি। আমি এখানে কাউকে প্রতিদ্বন্ধী বা হুমকি মনে করছি না। আমরা সকলেই জনগণের জন্য কাজ করছি এবং করবো। এখানে কেউ কাউকে হুমকি ভাবার কিছু নেই।

তিনি বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত কারনে নির্বাচন কমিশন আমার মনোনয়নপত্রটি বাতিল করে দেয়। পরবর্তীতে উচ্চ আদালতের আদেশে প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছি। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আমাকে ঈগল প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছেন। এই মার্কা নিয়ে আমি লক্ষ্মীপুর-২ আসনের প্রত্যেকটি ভোটারের কাছে যাবো। বিগত দিনে আসনটির মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে ছিলাম। আমার স্বামীও সরকারি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা করেছে। এজন্য আমি শতভাগ নিশ্চিত এখানকার মানুষ ভোট দিয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে আমাকে জয়যুক্ত করবে।

উল্লেখ্য, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন সেলিনা ইসলাম। দুদকে থাকা একটি মামলার তথ্য গোপন করায় গত ৩ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাই শেষে লক্ষ্মীপুর জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন। পরে গত ১১ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে আপিল করেও প্রার্থীতা ফিরে পাননি। অবশেষে উচ্চ আদালতে গিয়ে রোববার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রার্থিতা ফিরে পান। হাইকোর্টে আপিল শুনানি শেষে বিচারপতি ইকবাল মাহমুদ ও মো. সাইফুল ইসলাম এ রায় দেন।

আসনটিতে সেলিনা ইসলাম (ঈগল) ছাড়া দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী অ্যাড. নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন (নৌকা)। জাতীয় পার্টির বোরহান উদ্দিন আহমেদ (লাঙ্গল), জাসদের মো. আমীর হোসেন (মশাল), তৃণমূল বিএনপির আব্দুল্লাহ্ আল মাসুদ (পাট), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির জহির হোসেন (একতারা), বাংলাদেশ কংগ্রেস জোটের মো. মনসুর রহমান (ডাব), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মো. মোরশেদ আলম (চেয়ার), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. শরিফুল ইসলাম (মোমবাতি), মুক্তিজোটের মো. ইমাম উদ্দিন সুমন (ছড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী চৌধুরী রুবিনা ইয়াছমিন লুবনা (তরমুজ) ও মো: ফরহাদ মিয়া (হাত ঘড়ি)।

রাজনীতি,প্রতিদ্বন্দ্বিতা,নির্বাচন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close