• মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

পাবনা-০৩ আসন

স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ও সাংবাদিকের বাড়িতে হামলা ভাঙচুরের অভিযোগ

প্রকাশ:  ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৩৭
পাবনা প্রতিনিধি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-০৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হামিদ মাস্টারের ট্রাক প্রতিকের নির্বাচনী অফিসে হামলা ও পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগ উঠেছে।

সেইসাথে কথা কাটাকাটির জেরে স্থানীয় এক সাংবাদিকের বাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলাকারীরা নানারকম হুমকি-ধামকি দিয়ে একটি সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর করে।

শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে এবং শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে দুই দফা এ হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক। অপরদিকে হামলা করে পাল্টা মামলা করেছে অভিযুক্তদের একজন।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক কালের কন্ঠের চাটমোহর প্রতিনিধি আব্দুল লতিফ রঞ্জু জানান, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে নৌকা প্রতিকের একদল সমর্থক রেলবাজার এলাকায় মিছিল করে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হামিদ মাস্টারের ট্রাক প্রতিকের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে। এ নিয়ে ট্রাক প্রতিকের সমর্থকদের সাথে তাদের কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়।

এই ঘটনার জেরে রাত সোয়া ২টার দিকে ব্যবসায়ী ফুরকান আলী বিশ্বাস, তার শ্বশুড় এস এম আলম বাবলুর নেতৃত্বে ৫ জন লোক আমার বাসার প্রধান ফটকে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। এ সময় তারা বাসা সংলগ্ন আমার ওষুধের দোকানে সাটার ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে দোকানের সামনে থাকা একটি সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর করে ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তারা চলে যায়।

এদিকে, শনিবার দুপুরে নৌকার সমর্থকরা রেলবাজার এলাকায় ওই সাংবাদিকের বাড়ির পাশে অবস্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর ট্রাক প্রতিকের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করে এবং আবারো পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি পাবনা-৩ এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ তাজউল ইসলাম, চাটমোহর সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার হাবিবুল ইসলাম ও চাটমোহর থানার ওসি সেলিম রেজা ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন।

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, শনিবার উভয়পক্ষ পৃথক দু’টি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। দু’টি অভিযোগই মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্রাক প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হামিদ মাস্টার বলেন, ‘প্রচারণার শুরু থেকেই নৌকার প্রার্থীর সমর্থকরা একের পর এক হুমকি ধামকি দিয়ে চলেছে। এখন শুরু করেছে ভাঙচুর। ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। তাদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আর নির্বাচনের বিষয় নিয়ে সাংবাদিকের বাড়িতে হামলা ভাঙচুর ন্যাক্কারজনক। আমি এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমি নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে অভিযোগ করবো।’

এ বিষয়ে প্রধান অভিযুক্ত ফুরকান আলী বিশ্বাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি তো হামলা করি নাই। বরং স্বতন্ত্র প্রার্থীর ছেলে ও সাংবাদিকের ভাইসহ তাদের কিছু লোকজন ওইদিন রাতে আমাকেই মারধর করেছে। হামলা ভাঙচুর করলে কি আমি এখন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থাকি ভাই।’

রাজনীতি,হামলা,ভাঙচুর
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close