মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় জীবনও দিতে হয় : মঈন খান
সরকার ৭ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচন করে অভিশাপ ডেকে এনেছে অভিযোগ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, এই অভিশাপ থেকে বের হতে আমাদের অনেক খড়কুটো পোড়াতে হবে।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে এ কথা বলেন মঈন খান। ‘অবৈধ সংসদ ভেঙে দিয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নাগরিক সমাজের ভাবনা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদ (বিপিআরসি)।
সম্পর্কিত খবর
মঈন খান বলেন, মানুষের অধিকার কষ্ট করে প্রতিষ্ঠিত করতে হয়, জীবন দিয়ে করতে হয়। ৫২ বছর আগে বাংলাদেশের জন্য জীবন দিয়েছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সচ্ছিদার কোনো অভাব নেই। আজকের নতুন যে রূপের ধারা, এই ধারার মাধ্যমে সরকারকে চলে যেতে হবে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ বুঝতে পেরেই ৭ জানুয়ারি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। এমনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও ভোট দিতে যায়নি। দেশের মানুষ যদি একটু সুযোগ পায়, এই ঢাকায় ১০, ২০ লাখ মানুষের উপস্থিতি দেখা যাবে, ইনশাআল্লাহ। সেদিন এই সরকারকে লাল কার্ড দেখাবে দেশের মানুষ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের যে সংকট এটি নজিরবিহীন। এটির চিন্তা করলে আমি হয়রান হয়ে যাই। এই সংকট থেকে আমরা উঠব কী করে? বলে প্রশ্ন রাখেন তিনি।
৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে ডামি নির্বাচন আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, এই নির্বাচন আমাদের এতটা সংকটে ফেলেছে, তা নজিরবিহীন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক পরাজয় হয়েছে। এই সংকটময় মুহূর্তে দেশের বিরোধী দলগুলো এখনো এক প্ল্যাটফর্মে আসতে পারেনি, তারা এখনো আলাদাভাবে কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে- এটা সুখকর নয়।
বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মু. নিজাম উদ্দিনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর, বিএফইউজের (একাংশ) মহাসচিব ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরী, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান প্রমুখ।