কাদের সিদ্দিকী: প্রধানমন্ত্রীই পৃথিবীর একমাত্র অসহায় ব্যক্তি ও শাসক
“প্রধানমন্ত্রীই পৃথিবীর একমাত্র অসহায় ব্যক্তি ও শাসক” বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। তিনি বলেন, “আমার মনে হয় প্রধানমন্ত্রীর মতো অসহায় ব্যক্তি, অসহায় শাসক, পৃথিবীতে একমাত্র তিনিই। তার উপমা শুধু তাকে দিয়েই সম্ভব। একটা নির্বাচনের পর জাতির ও দেশের মানুষের যে প্রেরণা-উদ্দীপনা জাগে, যেটি বাংলাদেশে জাগেনি।”
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামে সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মিট দ্য প্রেসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন কথা বলেন তিনি।
সম্পর্কিত খবর
কাদের সিদ্দিকী বলেন, “আমি বিশ্বাস করেছিলাম সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হয়, ২০১৮ সালের নির্বাচন যেমন কোনো রকম গুণগত মানসম্মত ছিল না। ২০২৪ সালের নির্বাচন তার চেয়েও খারাপ হয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে মানুষ কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়েছিল, এবার সে পরিমাণের লোকও ভোটকেন্দ্রে যায়নি ও ভোটও দেয়নি। ৫% সাধারণ মানুষও ভোট দিতে যায়নি।”
নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র এ নির্বাচন মেনে নিল কি-না, আমার কাছে এটি বিবেচ্য না। আদৌ নির্বাচনটা নির্বাচনের মতো হয়েছে কি-না? দেশের মানুষ খুশি কি-না তা হলো মূল বিষয়। নির্বাচনটি সরকার যেভাবে করুক, তারা নিজেরাও খুশি না।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনের পর থেকে সরকার স্বস্তিতে নেই। ২০-২৫% বেশি ভোট কোথাও হয়নি। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ৭ তারিখ সন্ধ্যায় পদত্যাগ করা উচিত ছিল। তিনি কোথাও বলেছেন ভোট হয়েছে ২৬% আবার কেউ বলে দেওয়ার পর উনি বলেছেন ভোট পড়েছে ৪০%।”
কাদের সিদ্দিকী বলেন, “বঙ্গবন্ধু ঘাতকের হাতে মারা গিয়ে আমরা একটা অতলে তলিয়ে গেছি। এখন দেশের যে অবস্থা, দেশের যে নৈতিকতা, ভালো-মন্দের যে পার্থক্য, এমন অবস্থায় একটি দেশ সুন্দরভাবে চলতে পারে না। দেশের খারাপ পরিস্থিতির জন্য সিংহভাগ দায়ী প্রধান বিরোধী দল। আমরা পাকিস্তানে বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে বাংলাদেশ অর্জন করলেও বর্তমানে পাকিস্তানের চেয়ে ভালো নেই।”
এ সময় জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবু সালেক হিপলু, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিনসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।