সার্বিক পরিস্থিতি দেখে রাজনীতিতে সক্রিয় হবেন মির্জা ফখরুল
দলের হাইকমান্ডের সঙ্গে কথা বলে এবং দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেখে রাজনীতিতে সক্রিয় ও কর্মসূচিতে অংশ নিবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (২৩ মার্চ) সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
সম্পর্কিত খবর
এর আগে সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান মির্জা ফখরুল। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী রাহাত আরা বেগম।
এ সময় বিমানবন্দরে মির্জা ফখরুলকে শুভেচ্ছা জানান নেতাকর্মীরা। পরে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি জানান, শারীরিকভাবে এখন অনেকটাই সুস্থ। দলের হাইকমান্ডের সঙ্গে কথা বলে এবং দেশের সার্বিক পরিস্থিতি দেখে কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার কথাও জানান ফখরুল।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপি মহাসচিবের শরীর এখন অনেকটাই ভালোর দিকে। সিঙ্গাপুরে যাওয়ার পর সেখানে দুটি হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছেন তিনি। সেখানে তার বেশকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। এসব পরীক্ষায় তার স্বাস্থ্যের প্যারামিটার নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ফলোআপ চিকিৎসার জন্য গত ৪ মার্চ মির্জা ফখরুল সিঙ্গাপুর যান। আগামীকাল রোববার (২৪ মার্চ) গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে বিএনপির উদ্যোগে কূটনীতিকদের সম্মানে অনুষ্ঠেয় ইফতারে তার অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাবাসের পর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মির্জা ফখরুল জামিনে মুক্তি পান। কারাগারে বন্দি থাকাবস্থায় তার প্রায় ৬ কেজি ওজন কমে যায়। কারামুক্তির পর মির্জা ফখরুল ঢাকায় বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে এক চিকিৎসককে দেখান এবং বাসায় থেকে তার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নেন।
৭৭ বছর বয়সী মির্জা ফখরুল ইসলাম আগেও সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিয়েছেন। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৪ আগস্ট তিনি সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন। ২০১৫ সালে কারাবন্দি অবস্থায় মির্জা ফখরুলের ঘাড়ের ইন্টারনাল ক্যারোটিড আর্টারিতে ব্লক ধরা পড়ে। মুক্তির পর তিনি সিঙ্গাপুরে গিয়ে চিকিৎসা করান। এরপর তাকে ফলোআপ চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যেতে হয়।