• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

নাসায় কাজের সুযোগ পাচ্ছেন বাংলাদেশি ৫ তরুণ

প্রকাশ:  ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২০:৫৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ‘নাসা’। এই সংস্থাটি আয়োজিত ‘স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৮’র বিভাগে জয়ী হয়েছে ‘অলিক' নামের একটি বাংলাদেশি দল।এই দলের পাঁচ তরুণ কাজ করার সুযোগ পাবেন নাসায়।

জানা গেছে, ‘বেস্ট ইউজ অব ডেটা’বিভাগে ওই দলের তৈরি ‘লুনার ভিআর’সারাবিশ্বের ১ হাজার ৩৯৫টি দলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে বিজয়ী হয়েছে।

বেস্ট ইউজ অব ডেটা ক্যাটাগরিতে শীর্ষ চারে স্থান করে নেয়া ক্যালিফোর্নিয়া, কুয়ালালামপুর আর জাপানের দলকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দল ‘টিম অলিক’।

এই দলের সদস্যরা হলেন- আবু সাবিক মাহদী, সাব্বির হাসান, বিশ্বপ্রিয় চক্রবর্তী, কাজী মাইনুল ইসলাম ও এস এম রাফি আদনান।

এর আগে গতবছরের আট ডিসেম্বর ঘোষিত প্রাথমিক ফলাফলে বিশ্বের ৭৯টি দেশের প্রায় ২৭২৯টি দলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের ২টি ক্যাটাগরির শীর্ষ চারে উঠে আসে বাংলাদেশ।

টিম অলিকের ‘লুনার ভিআর প্রজেক্ট’টি মূলত একটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি অ্যাপস যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী চাঁদে ভ্রমণের একটি অভিজ্ঞতা পাবেন। টিম অলিক নাসা প্রদত্ত বিভিন্ন রিসোর্স থেকে থ্রিডি মডেল ও তথ্য সংগ্রহ করে, নাসা আপোলো ১১ মিশন এর ল্যান্ডিং এরিয়া ভ্রমণ, চাঁদ থেকে সূর্যগ্রহণ দেখা এবং চাঁদকে একটি স্যাটেলাইট এর মাধ্যমে আবর্তন করা এই তিনটি ভিন্ন পরিবেশকে ভার্চুয়ালভাবে তৈরি করেছে।

লুনার ভিআর প্রকল্পের টিম লিডার আবু সাবিক মাহদী বলেন, তাঁরা নাসার তথ্য ব্যবহার করে একটি অ্যাপ তৈরি করেছেন। তাঁদের প্রকল্পটি মূলত নাসার তথ্য ব্যবহার করে ভিআর উপাদান তৈরি। এতে ভার্চ্যুয়াল রিয়্যালিটি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারকারী চাঁদে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা পাবেন। নাসার সরবরাহ করা বিভিন্ন উপাদান থেকে থ্রিডি মডেল ও তথ্য সংগ্রহ করেন তাঁরা। নাসা অ্যাপোলো ১১ মিশনের ল্যান্ডিং এরিয়া ভ্রমণ, চাঁদ থেকে সূর্যগ্রহণ দেখা এবং চাঁদকে একটি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আবর্তন করা—এই তিন ভিন্ন পরিবেশকে ভার্চ্যুয়ালভাবে তৈরি করেছে টিম অলিক। তারা গত অক্টোবর মাসে দেশে আয়োজিত ওই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। প্রথম দিকে থ্রিডি অ্যানিমেশন নিয়ে কাজ করলেও পরবর্তী সময়ে গেম, ভিজুয়াল ইন্টারঅ্যাকটিভ ও ভার্চ্যুয়াল রিয়্যালিটির প্রতি তাদের আগ্রহ বাড়ে।

এ প্রসঙ্গে ডাক, টেলিযোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মিত হচ্ছে আমাদের তরুণদের হাত ধরে। এতে আমরা খুশি। আমি টিম অলিক এবং বেসিসকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। এ অর্জন ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার আরেকটি অনন্য দৃষ্টান্ত।

উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক এ হ্যাকাথন প্রতিযোগিতার মূল পর্বে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর আয়োজনে এবং বেসিস স্টুডেন্টস ফোরাম ও বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সহায়তায় দেশের ৯টি শহরে (ঢাকা, চট্রগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ এবং কুমিল্লা) প্রতিযোগিতা হয়।

পিবিডি/টিএইচ

নাসা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close