আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে চকবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা
বাংলাদেশের রাজধানীর চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি আন্তর্জতিক গণমাধ্যমে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে। চকবাজারের প্রাণকেন্দ্র চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পেছনের ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭৬ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে নিহতের সংখ্যায় তারতম্য রয়েছে।প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে চেষ্টার পর বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি, কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা, বার্তা সংস্থা রয়টার্স, ডেইলি মিররসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমেও গুরুত্বের সঙ্গে উঠে এসেছে ঢাকার অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ। এদের মধ্যে কয়েকটিতে বলা হচ্ছে নিহত ৬৯ জন, কয়েকটিতে বলা হচ্ছে সর্ব শেষ ৭০ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।
সম্পর্কিত খবর
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রনে এসেছে। এর আগে বুধবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে আগুন লাগে।
ফায়ার সার্ভিসের প্রধান আলী আহমেদ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে তাদের ধারণা।
ভবনটির গ্রাউন্ডফ্লোরে বিভিন্ন রকমের দোকান রয়েছে, প্রথম তলায় প্লাস্টিকের পণ্য, প্রসাধনি এবং সুগন্ধি মজুদ করা ছিল।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ৩ জুন নিমতলীর ৪৩/১ নবাবকাটরায় পাঁচতলা বাড়িতে স্মরণকালের অন্যতম ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হারাতে হয় একশ ২৩ জনকে। আহত হয় কয়েকশ মানুষ। আপনজন হারিয়ে নিঃস্ব হতে হয় অনেক পরিবারকে।
মূলত রাসায়নিক গোডাউনের আগুনেই ওই দিনের অগ্নিকাণ্ডটি ঘটে। গোডাউনের অতি দাহ্য রাসায়নিক পদার্থের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে।
এনই