শেষ টেস্টে টেলরকে বোলিংয়ে আনতে চাপ দেন দর্শকরাও
ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট ইনিংস ব্যবধানেই হেরেছে বাংলাদেশ। হারতে হয়েছে ইনিংস ও ১১৭ রানের বড় ব্যবধানে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচ হারলেও সিরিজ কিন্তু হারেনি বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচ জেতায় দুই ম্যাচ সিরিজটি শেষ হলো ১-১ ব্যবধানে। একইসঙ্গে চলতি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে মূল্যবান ১২ পয়েন্ট নিয়েই দেশে ফিরবে মুমিনুল হকের দল।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে শেষ উইকেটটি নিয়েছেন বিদায়ী টেস্ট খেলতে নামা রস টেলর। তার ঝুলিতে জমা পড়ুক শেষ উইকেটটি, এমনটা চাচ্ছিলেন মাঠে উপস্থিত দর্শকরাও।
সম্পর্কিত খবর
কাইল জেমিসন-নেইল ওয়াগনারের তোপে ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের পরাজয় যখন নিশ্চিত, তখন শেষ উইকেট নেওয়ার জন্য বিদায়ী ম্যাচ খেলতে নামা রস টেলরকে ডাকেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক টম লাথাম। হাগলি ওভালে উপস্থিত দর্শকদের একদমই হতাশ করেননি এ বিদায়ী ক্রিকেটার।
টেলরের ওভারের তৃতীয় বলে বড় শট খেলতে গিয়ে আকাশে ভাসিয়ে দেন এবাদত হোসেন। সেই বল লাথাম তালুবন্দী করতেই নিশ্চিত হয়ে যায় কিউইদের ইনিংস ও ১১৭ রানের ব্যবধানে জয়। আর টেলরকে ঘিরে উদযাপনে মাতেন নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা।
ম্যাচ শেষে টেলরকে বোলিংয়ে আনার ব্যাপারে কিউই অধিনায়ক বলেন, টেলরকে বোলিংয়ে আনার জন্য দর্শক, এমনকি অন্য খেলোয়াড়রাও চাপ দিচ্ছিলো। তবে এখানে আম্পায়ারদেরও ভূমিকা আছে। তারা বলছিলো, অন্ধকার হয়ে আসছে তাই আর পেসার দিয়ে বোলিং করানো যাবে না।
লাথাম বলেন, মূলত এ কারণেই আমার সামনে মাত্র একটি পথ খোলা ছিলো। সেটি হলো টেলরকে বোলিংয়ে আনা। আর এই গল্পটা (টেলর উইকেট নেওয়ার মাধ্যমে ম্যাচ শেষ হওয়া) এর চেয়ে ভালোভাবে লেখা সম্ভব হতো না।
টেলরের বিদায়ী উদযাপনের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, সবাই চাচ্ছিলো আমিই যেন ক্যাচটি তালুবন্দী করি। টেস্ট ম্যাচটি এভাবে শেষ করতে পারা দারুণ ছিলো। গত ১৭ বছর ধরে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটে দারুণ সার্ভিস দিয়েছেন টেলর। আমরা আজ রাতে তার পরিবারের সঙ্গে উদযাপনের অপেক্ষায় আছি।
ম্যাচ শেষে টেলর বলেন, আমরা ভালো খেলেছি। বাংলাদেশ আমাদের চাপে রেখেছিলো। তবে বল হাতে আমরা তাদের জবাব দিয়েছি। আমার জন্য, আমার পরিবার, বন্ধুদের জন্য এটা আবেগপূর্ণ ম্যাচ ছিলো। ম্যাচের শেষটা কী দারুণভাবেই হলো।
পূর্বপশ্চিমবিডি/অ-ভি