আফগানদের সামনে ৩০৭ রানের বিশাল চ্যালেঞ্জ
অনেক দিন পর বাংলাদেশের ব্যাটে ভালো রান এসেছে। লিটন দাসের অসাধারণ সেঞ্চুরি ও মুশফিকুর রহিমের নব্বই ছুঁইছুঁই ইনিংসে ভর করে আফগানিস্তানের সামনে ৩০৭ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে র্নিধারিত ৫০ ওভার শেষে ৪ উইকেটের বিনিময়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৩০৬ রান।
সিরিজ জয়ের মিশনে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার দলপতি তামিম ইকবাল। শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী ব্যাট চালিয়েছেন তামিম। কিন্তু বেশিদূর লম্বা হয়নি অধিনায়কের ইনিংস। প্রথম ম্যাচের মত এই ম্যাচেও ফারুকির বলে পরাস্থ হলেন তামিম। সপ্তম ওভারে তার দ্বিতীয় বলে এলবিডব্লু হয়ে ফিরলেন তামিম। রিভিউ নেন তামিম, কিন্তু তার পক্ষে যায়নি। ২ চারে ২৪ বলে ১২ রান করেন এই ওপেনার।
সম্পর্কিত খবর
তামিমকে হারানোর পর জুটি গড়তে থাকেন সাকিব-লিটন। দুজনের জুটিতে বড় কিছুর আশা দেখলেও নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি সাকিব। রশিদ খানের ফাঁদে এলবির শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন দেশসেরা এই অলরাউন্ডার। সাকিবের বিদায়ে ভেঙে যায় লিটনের সঙ্গে তার ৫৩ বলে ৪৫ রানের জুটি। ২ চারে ৩৬ বলে ২০ রান করেন সাকিব।
১৯.৪ ওভারে দলীয় শতরান পূর্ণ করে বাংলাদেশ। রশিদ খানের বলে দুর্দান্ত এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে শতক পাইয়ে দিলেন লিটন। এরপর ২৫তম ওভারে নবীর তৃতীয় বলে স্কয়ার লেগ দিয়ে চার মেরে অর্ধশতক তুলে নেন লিটন। ৮ চারে ৬৫ বলে অর্ধশতক তুলে নিলেন তিনি। এটি লিটনের ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরি।
দুর্দান্ত ছন্দে লিটন-মুশফিক। ইতোমধ্যে দুজনের জুটিতে পেরিয়ে গেছে অর্ধশত রান। লিটনের ফিফটির পরেই এই জুটি হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান। এর আগে সাকিবের সঙ্গে ৪৫ রানের জুটি গড়েছিলেন লিটন। এবার রশিদকে চার মেরে হাফ সেঞ্চুরি করলেন মুশফিকুর রহিম। ৩৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে সুইপ করে মিড উইকেটে চার হাঁকিয়ে ৫৬ বলে ফিফটি করেন মুশফিক। তার ইনিংসে চারের মার ছিল ৬টি। এটি তার ক্যারিয়ারের ৪১তম অর্ধশতক।
৪১তম ওভারে রশিদ খানকে বাউন্ডারি মেরে ওয়ানডেতে নিজের পঞ্চম শতক তুলে নিলেন তিনি। ১৪টি চারে ১০৭ বলে শতকের দেখা পান লিটন। আউট হওয়ার পূর্বে ১৩৬ রান করেন লিটন দাস। ১২৬ বলে খেলা এই শৈল্পিক ইনিংসটি ১৬টি চার এবং দুটি ছয়ে সাজানো। এদিকে মাত্র ১৪ রানের জন্য সেঞ্চুরির দেখা পাননি মুশফিক। তিনি থেমেছেন ৮৬ রানে। তার ইনিংসটি ৯টি চারে সাজানো। লিটন-মুশফিক মিলে তৃতীয় উইকেটে গড়েন ২০২ রানের জুটি। এটি আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তৃতীয় উইকেট জুটি। ততক্ষণে রান পাহাড়ে পিষ্ট হয়ে গেছে আফগানিস্তান। শেষ ৩ ওভারে ১৯ রান যোগ করে টাইগাররা। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৬ রানে এবং আফিফ হোসেন ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন।
বল হাতে আফগানিস্তানের ফরিদ ২টি এবং ফারুকি ও রশিদ খান ১টি করে উইকেট নেন।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আগের একাদশ নিয়েই মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে আফগানিস্তান দলে এসেছে তিন পরিবর্তন। ইব্রাহিম জাদরান, ইয়ামিন আহমদজাই ও গুলবাদিন নাইবের বদলে এসেছেন রিয়াজ হাসান, ফরিদ আহমেদ ও আজমতুল্লাহ ওমরজাই।
বাংলাদেশ একাদশ:
তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, ইয়াসির আলী, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
আফগানিস্তান একাদশ:
রহমানুল্লাহ গুরবাজ, রিয়াজ হাসান, রহমত শাহ, হাসমতুল্লাহ শহীদি, নাজিবুল্লাহ জাদরান, আজমতুল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবী, রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, ফরিদ আহমেদ ও ফজলহক ফারুকি
পূর্বপশ্চিম- এনই