• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

‘দেশের ক্রিকেটের বাবা-মা ছিলেন সাকিব-তামিম ভাইরা’

প্রকাশ:  ২৬ জুলাই ২০২২, ২১:০৪ | আপডেট : ২৬ জুলাই ২০২২, ২১:০৫
স্পোর্টস ডেস্ক

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য সিনিয়রদের বলয় থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশ তরুণদের নিয়ে দল গঠন করেছে। প্রায় ১৫ বছর ধরে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা সাকিব-মুশফিকরা নেই। তাদেরকে ‘মা-বাবা’ আখ্যা দিয়ে শেখ মেহেদী হাসান বলেছেন, এখন থেকে তাদের নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেদেরই নিতে হবে। কেন না মাঠে সাকিবদের মতো অভিজ্ঞ কাউকে পাবেন না।

মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে এমন কথা বলেছেন টি-টোয়েন্টি দলের নিয়মিত মুখ মেহেদী। তার মতে, এখন তাদের দায়িত্ব নেওয়া শিখতে হবে। নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেদের নিতে হবে। এসময় তিনি পারিবারিক প্রথার উদাহরণ দিতে গিয়ে সাকিব-তামিমদের দেশের ক্রিকেটের মা-বাবা উল্লেখ করেছেন।

মেহেদী বলেন, ‘আপনি পরিবারে যখন ছোট থাকেন, তখন আপনাকে বড় করতে বাবা মা সব দায়িত্ব নেন। যখন প্রতিষ্ঠিত হয়ে যান, তখন নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নেন। সেক্ষেত্রে এ সিরিজ থেকে বলতে পারবো, আমাদের নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেদের নিতে হবে। যেহেতু সাকিব ভাই, রিয়াদ ভাই, তামিম ভাই, মুশফিক ভাই নেই। তারা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ক্রিকেটের মা বাবাই ছিলেন।’

২০০৬ সাল থেকে সাকিবরা দেশের ক্রিকেটকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন নিয়মিত। সবশেষ ২০২১ সালের ১ এপ্রিল অকল্যান্ডে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিব-তামিম-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহকে ছাড়া খেলতে নামে বাংলাদেশ। এ ছাড়া প্রায় সব ম্যাচেই তারা ছিলেন। কোনো কোনো ম্যাচে তাদের একজন-দুজন অনুপস্থিত ছিলেন ইনজুরি কিংবা ছুটির কারণে। দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪১৫ ম্যাচ খেলেছেন মুশফিক। এছাড়া সাকিব ৩৮৩, তামিম ৩৭৫ ও মাহমুদউল্লাহ খেলেন ৩৭৭ ম্যাচ।

তারা এখন ক্যারিয়ারের শেষবেলায়। বছর দুয়েকের বেশি তাদের থেকে সেবা পাওয়ার আশা করা যাবে না। মেহেদীও মনে করেন সেটি, ‘একটা সময় তো সিনিয়ররাও থাকবেন না। আমাদের মধ্যে থেকে অনেকেই সিনিয়র হয়ে যাবেন। সাকিব ভাই, রিয়াদ ভাইরাও জুনিয়র হয়ে জাতীয় দলে এসেছিলেন। ২০১১ বিশ্বকাপে সাকিব ভাই নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তখন ওনার বয়স ছিল ২২। খেলতে খেলতে ওনারা এ পর্যায়ে এসেছেন। এখন যে তরুণ দলটা আছে, সময় লাগবে। নেতৃত্ব ধীরে ধীরে গুছিয়ে নিতে পারবে।’

যদিও বিসিবি জানিয়েছে, শুধু তিন ম্যাচের জন্যই নুরুল হাসান সোহানকে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এরপর সিনিয়ররা ফিরলে পরিবর্তনও হতে পারে। এখন যারা দলে আছেন তাদের মধ্যে কয়েকজন ছাড়া প্রায় সকলেই বেশ কয়েক বছর ধরে খেলছেন। তাই মেহেদীর কাছে মনে হয় না টি-টোয়েন্টি দলটি নতুন।

তিনি বলেন, ‘এ জায়গায় একদমই কেউ নতুন না। সবাই তিন-চার কিংবা পাঁচ বছর ধরে জাতীয় দলে খেলছে। এখানে অনেকেই ৭-৮ বছর খেলেছেন। সুতরাং বেশিরভাগই অভিজ্ঞ। তরুণ দুয়েকজন আছেন। আমরা বেশিরভাগই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। সবার বোঝার ক্ষমতা আছে।’

পূর্বপশ্চিমবিডি/এআই

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close