• শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

প্রত্যয়ী বাংলাদেশকে নেপালের হুংকার

প্রকাশ:  ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২০:০৪
নিজস্ব প্রতিবেদক

নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে আগামীকাল সোমবার নেপালের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল সোয়া ৫টায়।

ষষ্ঠ সংস্করণে এসে প্রথমবারের মতো ভারতকে ছাড়া অনুষ্ঠিত হচ্ছে ফাইনাল। পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা এবার সেমিফাইনালে নেপালের কাছে হেরেছে। বাংলাদেশ বা নেপাল- যে দলই জিতুক, নতুন চ্যাম্পিয়ন পাচ্ছে নারী সাফ। ইতিহাস গড়ার দুয়ারে দাঁড়িয়ে খালি হাতে ফিরতে চান না দুই দলের কোচই।

শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের আগে বাংলাদেশ কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটনের কণ্ঠে ধারাবাহিক নৈপুণ্য ধরে রাখার প্রত্যয়। অন্যদিকে, নেপাল কোচ কুমার থাপা ট্রফি রেখে দেওয়ার হুংকার দিয়েছেন।

মারিয়া-মনিকারা কিন্তু এখন ১৪ বছরের ফুটবলার নয়। তারা অনেক পরিণত হয়েছে। ম্যাচ রিডিংয়ের ক্ষমতা তৈরি হয়েছে। তারা এখন দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারে।

‘ভারতকে হারানোর পর নেপালের বিপক্ষে একই নৈপুণ্য ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে। আমরা বিগত ম্যাচগুলোর ধারাবাহিকতায় ফাইনাল জিততে পারব বলে আশাবাদী।’- ম্যাচের আগে বলেছেন বাংলাদেশ কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন।

নেপাল কোচ কুমার থাপা বলেন, ‘দুই দলের সামনেই ইতিহাস গড়ার হাতছানি। এ সুযোগ আমরা হাতছাড়া করতে চাই না। আমি চাই না ৯০ মিনিটের দ্বৈরথ শেষে দর্শক হতাশ হয়ে ফিরে যাক।’

২০১৬ সালে কুমার থাপার অধীনে প্রথমবারের মতো প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয় নেপাল। ভারতে অনুষ্ঠিত ওই আসর ছাড়া বাকি সব ফাইনাল খেলেছে দেশটি। সে আসরে দেখা বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টেনে কুমার থাপা বলেছেন, ‘ওই সময়ের বাংলাদেশও ভালো দল ছিল, কিন্তু বর্তমান দলটা সেরা। দলের সদস্যরা উজ্জীবিত এবং প্রাণশক্তিতে ভরপুর।’ প্রতিপক্ষকে সমীহ করা নেপাল কোচ ফাইনালের আগে হুংকারও দিয়ে রাখলেন, ‘সাফ ট্রফি নেপালে আছে। এটা আমরা নেপালের বাইরে যেতে দিতে চাই না।’

স্বাগতিক সুবিধা নিয়ে খেলবে নেপাল। এটাকে সমস্যা হিসেবে দেখছেন না বাংলাদেশ কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন। টাঙ্গাইল থেকে উঠে আসা সাবেক এ ফুটবলারের কথায়, ‘স্বাগতিকদের বিপক্ষে খেলা বরাবরই কঠিন। বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় ভালো ফুটবল খেলেছে। এ কারণে মেয়েরা আত্মবিশ্বাসী। আশা করছি, এ ম্যাচেও নিজেদের স্বাভাবিক ফুটবল খেলবে দল। আমরা ট্রফি নিয়ে ফিরতে চাই।’

মাঠে ১১ জনের পাশাপাশি বাংলাদেশকে লড়তে হবে দর্শকপূর্ণ গ্যালারির চাপের বিরুদ্ধেও। এ সম্পর্কে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাবিনা খাতুন বলেছেন, ‘যে দেশে খেলা হয়, সেখানকার দর্শক মাঠে আসবেনই। এটা বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও হতো। আমার দলের সদস্যদের দর্শকপূর্ণ মাঠে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। মারিয়া-মনিকারা কিন্তু এখন ১৪ বছরের ফুটবলার নয়। তারা অনেক পরিণত হয়েছে। ম্যাচ রিডিংয়ের ক্ষমতা তৈরি হয়েছে। তারা এখন দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারে।’

বাংলাদেশ,নারী,সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close