• মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

‌‘টাকা থাকলে সবাইকে দুই কোটি করে দিয়ে দিতাম’

প্রকাশ:  ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২০:২১
স্পোর্টস ডেস্ক

নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নেপালকে ৩-১ গোল ব্যবধানে হারিয়ে দীর্ঘ ১৯ বছর পর বাংলাদেশকে শিরোপা স্বাদ এনে দিয়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। যেখানে বাঘিনীদের সংবর্ধনা দিতে অধীরে আগ্রহে অপেক্ষা করছে দেশের সর্বস্তরের জনগণ। তবে সানজিদা-সাবিনারা যে দেশকে গর্বের উপলক্ষ এনে দিলেন - এ জন্য তাদের আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ফুটবল মহলে। যদিও বাফুফে প্রেসিডেন্ট কাজী সালাউদ্দিন জানালেন, এমন কোনো সম্ভাবনা নেই।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) বাফুফে ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে রসিকতার সুরে কাজী সালাউদ্দিন বলেন, অনেক ভালোবাসা আর অভিনন্দন। আমিতো পারলে প্রত্যেককে ২ কোটি টাকা করে দিয়ে দিতাম। তবে সেটা সম্ভব না।

মেয়েরা সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকে আলোচনায় তাদের পারিশ্রমিক। ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের পারিশ্রমিক অনেক কম। সবাই কথা বলছেন মেয়েদের পারিশ্রমিক বাড়ানোর বিষয়ে।

মেয়েদের বেতন কাঠামোতে পরিবর্তন আনা দরকার বলে মনে করেন খোদ বাফুফে সভাপতিও। তবে ছেলে এবং মেয়ে ফুটবলারদের বেতনের তুলনায় নারাজ তিনি। পুরুষ এবং নারী ফুটবলে একই ধরনের বেতন কাঠামো সম্ভব না, এবং এটা উচিৎ না বলে মনে করেন সালাউদ্দিন।

সাফ জয়ী মেয়েদের বেতন কাঠামোতে পরিবর্তন আনতে স্পন্সর প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, আমরা স্পন্সর থেকে এখন যে অর্থ পাচ্ছি সেটা দিয়ে মেয়েদের ভালোভাবে দেখভাল করছি। সামনে যদি আমরা আরো ভালো স্পন্সরশিপ অ্যামাউন্ট পাই নিশ্চয়ই ওদের বেতন, অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বাড়ানো হবে।

মেয়েদের বেতনের বাইরে বাফুফে প্রতি মাসে খাওয়া, কোচিং স্টাফদের বেতন, খেলোয়াড়দের সরঞ্জাম, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় যাওয়ার খরচ বহন করে। সবই আসে স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের থেকে; বছরে প্রায় ৪ কোটি টাকা।

ছেলে এবং মেয়ে ফুটবলারদের পারিশ্রমিকের তুলনার প্রসঙ্গে বাফুফে সভাপতি বলেন, আমাকে অনেকেই প্রশ্ন করেন ছেলেদের ফুটবলে বেতন অনেক বেশি মেয়েদের কম কেন। কিন্তু ছেলে-মেয়েদের সমান বেতন তো হতে পারে না পৃথিবীতে। এমবাপ্পে সাইনিং পায় ৩০ মিলিয়ন আর মেয়েদের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া ফুটবলার পায় ৪ মিলিয়ন। এখানে পার্থক্য থাকবেই।

তবে ফুটবল খেলে মেয়েদের আর্থিক উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়ে সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, এই মেয়েরা যখন প্রথম আসছে মেয়েদের আর্থিক অবস্থা ভালো ছিলো না। আজকে ঐ মেয়েগুলার কাছে বাসায় দুইটা তিনটা টিভি, চারটা মোবাইল, ব্যাংক-ব্যালেন্স, জমি আছে। এগুলা ফুটবল খেলে হয়েছে। এই ইমিপ্যাক্টটা ওরা দেখেতেছে। ওদের দেখাদেখি নতুন মেয়েরাও আসবে।

আগামীতে মেয়েদের খেলার উন্নতির জন্য আর বেশি ম্যাচ খেলা প্রয়োজন। এই প্রয়োজন অনুভব করেন সালাউদ্দিনও। সেই খেলাগুলো আয়োজন করতেও প্রয়োজন স্পন্সরের। বাফুফে সভাপতি বলেন, নিজেদের এগিয়ে নিতে হলে উন্নত দেশ গুলোর সঙ্গে আরো বেশি খেলা প্র্রয়োজন আমাদের। এক একটা খেলা আয়োজন করতে প্রায় ৭০-৮০ লাখ টাকার প্রয়োজন হয়। স্পন্সর পেলে আমরা আয়োজন করবো।

‘স্পন্সর পেলে আমি নিজেই সকলকে জানিয়ে দেবো। খেলা আয়োজনের পুরো বছরের ক্যালেন্ডার ঘোষণা করে দেবো। স্পন্সর না পেলে আমি জানিয়ে দেবো আমি পারছি না। ’

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ,নেপাল,বাংলাদেশ,নারী,ফুটবল,দল
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close