• সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে সহজেই হারালো বাংলাদেশ

প্রকাশ:  ০৯ মার্চ ২০২৩, ১৮:১৮ | আপডেট : ০৯ মার্চ ২০২৩, ১৮:৪০
স্পোর্টস ডেস্ক

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। আর এ জয়ের রুপকার নাজমুল হোসেন শান্ত। তার দুর্দান্ত ফিফটিতে ১৫৭ রানের লক্ষ্য অনায়াসেই পাড়ি দেয় বাংলাদেশ। সেটাও দুই ওভার হাতে রেখেই।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ তুলে ইংলিশরা।

রান তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে ২১ বলে ৩৩ রান তোলেন রনি আর লিটন। আদিল রশিদের গুগলি বুঝতে না পেরে বোল্ড হন রনি। ১৪ বলে করেন ২১ রান।

লিটন অবশ্য ইনিংসটা বড় করতে পারেননি। ১০ বলে ১২ করে আর্চারের বলে ক্যাচ দেন মিডঅনে। ৪৩ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তবে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ২ উইকেটে ৫৪ রান তোলে টাইগারররা।

এরপর অভিষিক্ত তৌহিদ হৃদয় আর নাজমুল হোসেন শান্তও দারুণ ব্যাটিং করেছেন। ৩৯ বলে ৬৫ রানের ঝোড়ো এক জুটি গড়েন তারা। শান্ত আউট হন ফিফটির পরপরই। ৩০ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ৫১ রান করে মার্ক উডের বলে বোল্ড হন এই বাঁহাতি।

তবে এরপর সাকিব আর আফিফ হোসেন ধ্রুব মিলে ম্যাচ বের করেই মাঠ ছাড়েন। পঞ্চম উইকেটে ৩৪ বলে ৪৬ রানের অবিচ্ছিন্ন এক জুটি গড়েন তারা। সাকিব ২৪ বলে ৩৪ আর আফিফ ১৩ বলে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন।

এদিন টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে আগ্রাসী শুরু করে ইংল্যান্ড। নাসুমের করা প্রথম ওভারে আসে ৯ রান। তাসকিন আহমেদও সমপরিমাণ রান উপহার দেন সফরকারীদের। দ্বিতীয় বলে চার খেলেও তৃতীয় ওভারে কেবল ৫ রান দেন মুস্তাফিজুর রহমান। পরের ওভারে ৮ রান খরচ করেন তাসকিন। তবে পঞ্চম ওভারে মুস্তাফিজকে তুলোধুনো করেন ফিল সল্ট ও বাটলার। একটি করে চার ও ছয়ে দুজনে মিলেন ১৩ রান তোলেন সেই ওভারে।

পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে প্রথম বলেই উইকেট নেওয়ার সুযোগ এসেছিলো। কিন্তু সল্টের ফিরতি ক্যাচ হাতে স্পর্শ করলেও তালুবন্দী করতে পারেননি নাসুম। তার পঞ্চম বলে বাটলারকে দ্বিতীয় জীবন দেন সাকিব আল হাসান। মিড অনে থেকে সহজ ক্যাচটি ধরতে পারেননি তিনি।

অবশেষে ইনিংসের দশম ওভারে স্বাগতিকদের ব্রেক থ্রু এনে দেন নাসুম আহমেদ। ভাঙেন ৮০ রানের উদ্বোধনী জুটি। অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করা বলে সুইপ করার চেষ্টা করেন ফিল সল্ট। কিন্তু বল তার ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় পেছনে থাকা উইকেটরক্ষক লিটন দাসের গ্লাভসে। তাই ৩৫ বলে ৩৮ রান করে ফিরতে হয় ডানহাতি এই ওপেনারকে।

তিনে নেমে থিতু হতে পারেননি দাভিদ মালান। ব্যক্তিগত ৪ রান করেই ফিরতে হয় তাকে। ইনিংসের ১২ তম ওভারে সাকিবের বলে তার ক্যাচ লংঅনে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর বেন ডাকেটকে নিয়ে জুটি গড়ে তোলেন বাটলার। এর ফাঁকে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ২০ তম ফিফটি। তবে ডাকেট ভালো শুরু পেলেও তা ধরে রাখতে পারেননি। ১৬ তম ওভারের শেষ বলে তাকে বোল্ড করেন মুস্তাফিজ। ১৩ বলে ২০ রান করেন এই ব্যাটার।

ডেথ ওভারের শুরুতেই বাটলারকে শিকার করেন হাসান মাহমুদ। লংঅন থেকে বাটলারের ক্যাচটি ধরেন শান্ত। ৪২ বলে চারটি করে চার ও ছক্কায় ৬৭ রান করেন ইংলিশ অধিনায়ক। সেই ১৭ তম ওভারে কেবল এক রান দেন হাসান। ১৮ তম ওভারে কোনো উইকেট না পেলেও ৭ রান খরচ করেন মুস্তাফিজুর। ডেথ ওভারের বিবেচনায় যা কমই বলা যায়।

১৯ তম ওভারে আবারো হাসানের জাদু। মাত্র ৪ রান দিয়ে স্যাম কারানের উইকেটটি তুলে নেন ডানহাতি এই পেসার। শেষ ওভারে ৯ রান দিলেও ক্রিস ওকসকে ১ রানে সাজঘরে ফেরান তাসকিন। যার ফলে ৬ উইকেটে ১৫৬ রানে থামে ইংল্যান্ড।

বাংলাদেশের হয়ে হাসান ২৬ রান দিয়ে দুটি এবং সাকিব, তাসকিন, মুস্তাফিজ ও নাসুম নেন একটি করে উইকেট।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

বাংলাদেশ,ইংল্যান্ড,বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close