সালাউদ্দিনের দাবিকে ‘মিথ্যা’ বললেন পাপন

সাফজয়ী মেয়েদের বিভিন্ন জায়গা থেকে অর্থ পুরস্কার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিলো। তাদের মধ্যে ছিলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তবে এ টাকা এখনো এসে পৌঁছায়নি ফুটবলারদের হাতে। এদিকে, অর্থের অভাবে অলিম্পিক ফুটবলের বাছাই পর্বে অংশ নিতে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে নারী দল পাঠাতে পারেনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। সেই টুর্নামেন্টে খেলতে না যাওয়ার বিষয়ে সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলো বাফুফে।

বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন সেখানে টাকার প্রসঙ্গ টেনে আনেন। সাফ জয়ের পর নারী ফুটবলারদের পুরস্কার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও এখন পর্যন্ত যে অনেকেই সে প্রতিশ্রুতি পূরণ করেননি তা তুলে ধরেন। সেখানে বিসিবি সভাপতির প্রতিশ্রুতির কথাও তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, মেয়েদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর মানিক (বাফুফে সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক) টাকা দিয়েছে। সালামের (বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী) পে অর্ডার রেডি আছে। বিসিবির খবর জানি না। অনেকে টিভি পর্দায় বলেছে, তাদের বলছি ২৪ তারিখ দল যাবে, সেখানে টাকা দেন।

বাফুফে সভাপতির সেই টাকার বিষয়ে না জানার দাবির বিষয়ে বুধবার (৫ এপ্রিল) ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে জানতে চাওয়া হয় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কাছে। জবাবে সালাউদ্দিনের না জানার দাবিকে মিথ্যা বলে দাবি করলেন পাপন।

তিনি বলেন, মিথ্যা কথা। ওরা নেয় না। বারবার বলা হচ্ছে তো। সুজনের (বিসিবি সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী) সঙ্গে কথা বলেন, বলতে পারবে। আমাদের অক্টোবর মাসে চেক সই করা। এটা বাফুফেকে দেবো না তো আমরা (মেয়েদের দেবো)।

এ সময় পুরো বিষয়টিকে বাফুফের গাফিলতি হিসেবেই যেন দাবি করলেন পাপন। বলেন, ওরা নিতে আসে না। এ বিষয়ে বেশি ভালো বলতে পারবে আমাদের সিইও। কদিন আগেও ওদের ফোন দেওয়া হয়েছে, যে আসেন নেন ভাই। ওরা তো আসে না। এখন কি করবেন?

একই বিষয়ে পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। তিনি বলেন, আমাদের বোর্ড সভাপতির একটা কমিটমেন্ট ছিলো ৫০ লাখ টাকা খেলোয়াড়দের দেয়ার ব্যাপারে। সেভাবেই বাফুফের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আসলে খেলোয়াড়দের উপস্থিতি এবং তাদের কাছে চেক তুলে দেয়ার যে ইচ্ছে আমাদের ছিলো, সেটা মিলছিলো না বলেই হয়তো দেরিটা হচ্ছিলো।

তিনি যোগ করেন, আমরা প্রস্তুত ছিলাম তিন-চার মাস আগে থেকেই এবং চেকও প্রস্তত ছিলো। সেটা আমরা যোগাযোগ করেছি এবং সাম্প্রতিক সময়েও আমরা কথা বলেছি। উনারা সুবিধাজনক একটা সময় দিলে আমরা চেকগুলো হস্তান্তর করে দেবো। অথবা যদি তাও না হয়, উনাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেই যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা চেকগুলো পৌঁছে দেবো।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম