• শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

ম্যাচ শেষে ইশ সোধি

মানকাডিংয়ের পর মাঠে ফিরিয়ে আনায় লিটনকে ধন্যবাদ

প্রকাশ:  ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২৩:২২
স্পোর্টস ডেস্ক

তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারলো না বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ৮৬ রানের বড় ব্যবধানে পরাজয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে টাইগারদের। এ ম্যাচে কিউইদের জয়ের নায়ক ইশ সোধি একাই ৩৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ৬ উইকেট।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৯.২ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২৫৪ রানের বেশি তুলতে পারেনি সফরকারীরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪১.১ ওভারে ১৬৮ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা।

এ ম্যাচে ইশ সোধিকে মানকার্ডিংয়ের ফাঁদে ফেললেন হাসান মাহমুদ। আউট হয়ে সাজঘরের দিকেই ফিরছিলেন সোধি। কিন্তু অধিনায়ক লিটন ফিরতে দিলেন না। নিজেদের আবেদন তুলে নিয়ে সোধিকে আবারো উইকেটে ফিরিয়ে আনলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। হাসতে হাসতে ফের উইকেটে ফেরার আগে তরুণ হাসান মাহমুদকে বুকে জড়িয়ে আলিঙ্গন করলেন কিউই তারকা। এরপর অবশ্য খালেদের বলে ৩৫ রানে ফেরেন তিনি।

এই কিউই স্পিনার ক্রিজে ফিরে খুব বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও বল হাতে হয়ে ওঠেন ভয়ংকর। সেই হাসান মাহমুদের উইকেটসহ শিকার ধরেন মোট ৬টি।

এদিকে ম্যাচসেরার পুরস্কার নিতে এসে ইশ সোধি বলেন, লিটনকে ধন্যবাদ মানকাডিংয়ের পর আমাকে মাঠে ফিরিয়ে আনার জন্য।

তিনি বলেন, আমরা প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার মতো মানুষ। আপনি দেশকে জেতানোর জন্য লড়ছেন, এখানে কিছুটা উত্তেজনা থাকতে পারে। আমি সামান্য বাইরে ছিলাম। ভালো হতো আমাকে সতর্ক করলে। আমি বুঝতে পারছি এখানে নিয়ম হলো আউট করা। আমার মনে হয় এটা বাংলাদেশ দারুণ ভদ্রতা দেখিয়েছে। তারা খুব খুব ভালোভাবে সামলেছে এটা। আমি সৌভাগ্যবান ছিলাম তারা আবার আমাকে ফিরিয়ে এনেছে। আমি যদি বোলার হতাম, একই ব্যাপার করতাম হয়তো।

এক প্রশ্নের জবাবে এই কিউই স্পিনার বলেন, আমি খুব ভালো ব্যাটার নই। এটা সুন্দর ভদ্রতা ছিলো। বোলার হলে আমিও একই কাজ করতাম। গত কয়েক বছরে আমি অনেক দারুণ অধিনায়কের অধীনে খেলেছি নিউজিল্যান্ডের। আমার মনে হয় তারাও একই কাজ করতো। লিটন ছিলো অনন্য যেভাবে সে সামলেছে সবকিছু। আমি বোলারকে জড়িয়ে ধরেছি, লিটনের সঙ্গে হাত মিলিয়েছি। আমরা সবাই ক্রিকেটকে খুব সম্মান করি। সবাই চেষ্টা করছি স্পিরিটটা অক্ষুণ্ন রাখতে।

‘এটা ভালো যতো সম্ভব রান করা। আমি হয়তো এমন করতাম না। বুঝতে পারছি এটা এখন খেলার নিয়মে আছি। আপনি পুরো দুনিয়াতেই এমন ঘটনা দেখেন। এটা এখন কিছুটা বিতর্কিত ইস্যু। তারা হয়তো আমাকে সহজেই সাজঘরে ফিরতে দিতে পারতো। তারা অনেক বড় স্পোর্টসম্যানশিপ দেখিয়েছে। আমরা সৌভাগ্যবান জয়ী দল হতে পারে কিন্তু এটা গুরুত্বপূর্ণ খেলার স্পিরিটটা বাঁচিয়ে রাখা। বিশেষত যখন আমরা এমন প্রতিদ্বন্দ্বীতপূর্ণ ম্যাচ খেলছি দেশের হয়ে জিততে। ’

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

ইশ সোধি,ধন্যবাদ,লিটন দাস,মাঠ,মানকাডিং,নিউজিল্যান্ড,বাংলাদেশ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close