• মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

 ‘দেশের জন্য আরো সম্মান-সাফল্য বয়ে আনতে চাই’ : এনায়েত উল্যা খান 

প্রকাশ:  ১৫ নভেম্বর ২০২৩, ২৩:১৮ | আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২৩, ২৩:২৭
স্পোর্টস ডেস্ক

বাংলাদেশ প্যারা ব্যাডমিন্টন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যা আগে কোনো প্যারা স্পোর্টস কিংবা অ্যাবল শাটলার করে দেখাতে পারেননি; সেটাই করে দেখিয়েছেন দুই প্যারা শাটলার (প্রতিবন্ধী) মোহাম্মদ আলী ইমাম এবং জয়তু ধর। জাপান প্যারা ইন্টারন্যাশনাল ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট-২০২৩ থেকে দুটি ব্রোঞ্জ জিতে সদ্যই ঢাকায় পা রেখেছেন তারা। ইমাম ও জয়তুর পদক জয়ের নেপথ্যের কারিগর বাংলাদেশ প্যারা ব্যাডমিন্টনের সাধারণ সম্পাদক এবং এক সময়ের কোর্ট কাঁপানো শাটলার-জাতীয় কোচ এনায়েত উল্যা খান। মূলত এনায়েত ম্যাজিকেই এত বড় সাফল্যের দেখা পেয়েছেন তারা। জাপান ছাড়াও চলতি বছর ফক্সেস ইন্দোনেশিয়া ইন্টারন্যাশনাল টুর্নামেন্ট থেকেও একটি ব্রোঞ্জ জেতার রেকর্ড গড়েছেন এনায়েতের আরেক শিষ্য ইয়ামিন হোসেন। দুটি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং কোচের ভূমিকায় ছিলেন এনায়েত। দেশকে এত বড় সাফল্য এনে দেয়ার পরও কোনো সংবর্ধনা-পুরস্কার চান না তিনি। শুধু চান ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মহোদয়কে সাফল্যের স্মরক তুলে দিতে এবং একই সঙ্গে বাংলাদেশ প্যারা ব্যাডমিন্টন যে এখনো অ্যাসোসিয়েশনের অনুমোদন পায়নি সেটার দ্রুত বাস্তবায়ন। এছাড়া আরো অনেক বিষয় নিয়ে একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন এনায়েত উল্যা খান। সেসব কথাই তুলে ধরা হলো :

প্রশ্ন : জাপান প্যারা ব্যাডমিন্টন ইন্টারন্যাশনালে প্রথমবার অংশ নিয়ে তাতে দুটি ব্রোঞ্জ জয়। পদক জয়ের অনুভূতি জানতে চাই।

এনায়েত উল্যা খান : এ আসলে অনুভূতি ভাষায় প্রকাশের নয়। এক সময় আমি খেলোয়াড় ছিলাম। এখন কোচ, সংগঠক দুই ভূমিকাতে কাজ করছি। পদক পাওয়া তো অনেক দূরের বিষয়। কোনো টুর্নামেন্টে অংশ নেয়ার আগে প্লেয়ার বাছাই করা, প্লেয়ারের মেরিট-ডিমেরিটসগুলো খুঁজে সেভাবে তাকে তৈরি করা। কোচ হিসেবে এই কাজগুলো বিরাট চ্যালেঞ্জিং। জাপান প্যারা ইন্টারন্যাশনাল টুর্নামেন্টে আমরা মূলত এককে খেলার জন্যই গিয়েছিলাম। পরে ম্যানেজারস মিটিংয়ে গিয়ে মূল কাজটা করি। এককের পাশাপাশি কিভাবে এই টুর্নামেন্টে আমার প্লেয়াররা ডাবলসে কিংবা মিক্সডস ডাবলসে খেলতে পারে সেসব ভাবতে শুরু করি। আপনারা জানেন এই টুর্নামেন্টের জন্য জাপান আমাদের দুজন প্লেয়ারকে সিলেক্ট করে। মোহাম্মদ আলী ইমাম এবং জয়তু ধর। ডাবলসে এক ক্যাটাগরির দুই প্লেয়ারের অংশ নেয়ার সুযোগ নেই। আমার দুই প্লেয়ারই এসএল-৪ ক্যাটাগরির। আমি তাই কায়দা করে ইমামের সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের প্লেয়ার এবং জয়তুর সঙ্গে একজন ভারতীয় প্লেয়ার সেট করে দেই। দুই দেশের প্লেয়ারদের সেট করাটাও ছিল দারুণ কষ্টের। কারণ নিউজিল্যান্ড এবং ভারতের কোচকে নানানভাবে বুঝিয়ে শেষতক রাজি করিয়েছি। এর পরের ঘটনা তো সবাই জানেন। আমি ভেবেছিলাম একটা পদক হয় তো আসবে, যদি আল্লাহ পাক সহায় হোন। কারণ নিউজিল্যান্ডের প্লেয়ার খুবই ভালোমানের ছিল। প্যারা ব্যাডমিন্টনে ওর ওয়ার্ল্ড র‌্যাংকিং ১৩। পরে দেখলাম আমার দুই প্লেয়ারই তাদের সঙ্গীদের নিয়ে সেমিফাইনালে উঠে দেশকে ব্রোঞ্জ পদক এনে দিয়েছে। আমার সাংগঠনিক দক্ষতা আর ইমাম-জয়তুর পারফরম্যান্সে মুগ্ধ আয়োজকরা। ওরা বলেছে তোমরা প্রথমবার অংশ নিয়েই পদক জিতে ফেললে। সত্যিই বলতে একজন কোচ হিসেবে এর চেয়ে আনন্দের আর কী হতে পারে।

প্রশ্ন : ইমাম-জয়তু যে এত বড় সাফল্য বয়ে আনবে এটা কি শুরুতে আপনার ভাবনাতে ছিল? এনায়েত উল্যা খান : আমি যতুটুক ওদের দেখেছি প্রথমত আমার কাজের প্রতি ওরা যথেষ্ট সন্তুষ্ট ছিল। আমি যা যা বলেছি ওরা সেটা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলেছে। ইমাম-জয়তু দুজন খুবই ডিসিপ্লিনড। আমি টুর্নামেন্টের শুরু থেকে শেষঅবধি ওদের চিয়ারআপ করেছি; ওরা যখন যা চেয়েছে দেয়ার চেষ্টা করেছি। কোর্টে এবং কোর্টের বাইরে সর্বদা ওদের মোটিভেট করেছি। আসলে মাঠে নামার আগে মাঠের বাইরেও অনেক কাজ করতে হয়। ওই কাজগুলোই কিন্তু অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমি নিজেও প্লেয়ার ছিলাম। প্লেয়ারদের কিভাবে সন্তুষ্ট রাখতে হয়; ওরা কি চাইতে পারে সেটা আমার চেয়ে ভালো কারোর জানান কথা নয়। আমি আমার খেলোয়াড়ী জীবনের অভিজ্ঞতা এখানে কাজে লাগিয়ে ওদের উৎসাহ-অনুপ্রেরণা দিয়েছি। ওরা দেশের জন্য সাফল্য, সম্মান, পদক বয়ে এনেছে। পদক জয়ের পর তো ওরা আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েছিল। দুজনই কান্না জুড়ে দেয়। আমি নিজেও ওদের জড়িয়ে কান্না করেছি। আসলে ওই দৃশ্য চোখ না দেখলে বোঝানো কঠিন।

প্রশ্ন : জাপানের বিশেষ নৈশভোজ অংশ নেয়া, জাপানের পক্ষ থেকে সংবর্ধিত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে কী বলবেন? ৩৭ দেশের মধ্যে শুধুমাত্র বাংলাদেশকে দাওয়াত দেয়ার কারণ কী? এনায়েত উল্যা খান : জাপানের সঙ্গে আমাদের প্যারা ব্যাডমিন্টন অ্যাসোসিয়েশনের সম্পর্কটা দীর্ঘদিনের। বিশেষ করে জাপান প্যারা ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের চেয়ারম্যান কাজুমি হিরানোর সঙ্গে আমার একটা চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। সেই সম্পর্কের সুবাদেই কিন্তু জাপান প্যারা ব্যাডমিন্টনে আমরা খেলার সুযোগ পেয়েছি। আসলে জাপানে এই প্রথম নৈশভোজে হিরানোর আমন্ত্রণ পেলাম এমন নয়; এর আগে বাহরাইনে এক টুর্নামেন্টেও আমাদের এক সঙ্গে বসার সুযোগ হয়েছে। আমি যখন থেকে প্যারা ব্যাডমিন্টন নিয়ে কাজ শুরু করি, তখন থেকেই আমার চিন্তা ছিল এটাকে অনেক উঁচুতে নিয়ে যাওয়ার। এটা আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন দেখার শুরুটা ২০১৫ সালে। যখন আমাদের ফেডারেশনও হয়নি। বাংলাদেশ প্যারা ব্যাডমিন্টনের যাত্রা কিন্তু ২০১৮ সালে। ২০২২ সাল পর্যন্ত আমি প্যারা ব্যাডমিন্টনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। এখন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করছি। ২০২২ সালে হিরানোর সঙ্গে বাহরাইনে একটা টুর্নামেন্টে প্রথমবার নৈশভোজে আমরা অংশ নেই; সেখানেই কিন্তু ওনাকে আমি বাংলাদেশের আসার আমন্ত্রণ জানাই। ওনি এসেছিলেন এবং জাপান-বাংলাদেশ প্যারা ব্যাডমিন্টন ফ্রেন্ডশিপ ম্যাচ এরপর ঢাকাতে হয়েছিল। এছাড়া গত বছর আমরা ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে জাপানে যাই। তখনো কাজুমি হিরানোর সঙ্গে আমার একান্ত সাক্ষাৎ হয়। গত বছর ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে যে হোটেলে আমাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়েছিল, নৈশভোজের ব্যবস্থা করেছিল জাপান প্যারা ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন। এবারো সেখানেই আমাদের শুভেচ্ছা জানানো হয়, দেয়া হয় সংবর্ধনা। জাপান আসলে যা করে মন থেকেই করে। লোক দেখানো কোনো কাজ তারা করে না। কাজের মূল্যায়ণ করতে জানে তারা। জাপানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক উত্তোরত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভবিষ্যতেও এই সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। জাপান আমাদের যে আতিথেয়তা করেছে, তা দেখে অন্যান্য দেশের খেলোয়াড়-কোচরা অবাক হয়েছিল।

প্রশ্ন : ন্যাশনাল প্যারালিম্পিক কমিটি অব বাংলাদেশের (এনপিসি, বাংলাদেশ) আপনি কার্যনির্বাহী কমিটির একজন সদস্য। এনপিসির অধীনেই সমস্ত প্যারা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। আপনার দলের এমন সাফল্যে এনপিসি কতটা খুশি। তাদের পক্ষ থেকে কি আপনার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা হয়েছে? এনায়েত উল্যা খান : পদক জয়ের কথা জেনে এনপিসি অনেক খুশি হয়েছে। আমাকে, আমার প্লেয়ারদের তারা শুভেচ্ছা, শুভ কামনা জানিয়েছে। আনুষ্ঠানিক কোনো সংবর্ধনা দলকে দেয়া হয়নি। তবে এনপিসির সম্মানিত মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার মাকসুদুর রহমান স্যার বলেছেন আমাদের দলকে সম্মাননা জানাবেন তারা। মাকসুদ স্যার চেষ্টা করেছিলেন বিমানবন্দরে আমাদের রিসিভ করতে। কিন্তু এনপিসির জরুরি একটা কাজে আটকে যাওয়াতে সেটা আর সম্ভব হয়নি। তবে আমি চাইব প্লেয়াররা যাতে এপ্রিসিয়েশন পায়। এতে করে তারা উৎসাহিত হবে। ভবিষ্যতে দেশের জন্য তারা আরো সব সাফল্য বয়ে আনবে।

প্রশ্ন : আন্তর্জাতিক যে কোনো সাফল্যের পর যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা কিংবা মন্ত্রী মহোদয় নিজে ডেকে বহু ক্রীড়াবিদকে নানান সময়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, খেলোয়াড়দের সাফল্যকে সম্মান জানিয়েছেন। আপনার দল তো অনেক বড় সাফল্য বয়ে আনল। মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের কোনো পরিকল্পনা রয়েছে কিনা? এনায়েত উল্যা খান : আপনারা জানেন আমাদের মাননীয় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মহোদয় জাহিদ আহসান রাসেল এমপি স্যার একজন খেলাধুলা প্রিয় মানুষ, খেলা অন্তঃপ্রাণ মানুষ। যে কোনো খেলার উন্নয়নে, খেলোয়াড়দের বিপদে-আপদে সবার আগে মন্ত্রী মহোদয় ছুটে আসেন। এখন ওনি ব্যস্ত সময় পার করছেন। আশাকরি আমাদের সাফল্যের খবর ওনি শুনেছেন। আমাদের পরিকল্পনা আছে মন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার। আপনারা জানেন প্যারা ব্যাডমিন্টন থেকে এ বছর আরো একটি আন্তর্জাতিক সাফল্য কিন্তু আমি এনেছি। আমার প্লেয়ার ইয়ামিন হোসেন ইন্দোনেশিয়া ফক্সেস ইন্টারন্যাশনাল প্যারা ব্যাডমিন্টনে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে। বাংলাদেশের প্যারা খেলোয়াড়দের জন্য এই সাফল্যগুলো খুবই ইতিবাচক দিক। প্যারা ব্যাডমিন্টনে নতুন ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে অল্প দিনেই তিনটি পদক জিতেছে। যেটা আর কোনো স্পোর্টস ইভেন্ট থেকে আসেনি। রিজিওনাল টুর্নামেন্ট আর জাপানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক আসর কিন্তু এক নয়। এটা কিন্তু বাংলাদেশের জন্য বিরাট বড় সাফল্য। যা প্যারা স্পোর্টসে অতীতে ঘটেনি।

প্রশ্ন : বাংলাদেশ প্যারা ব্যাডমিন্টন এখনো ফেডারেশন কিংবা অ্যাসোসিশেনের মর্যাদা পায়নি। এটার পেছনের কারণ কী? এনায়েত উল্যা খান : আমাদের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মহোদয় জাহিদ আহসান রাসেল এমপি স্যার কিন্তু স্বাক্ষর করে ইতোমধ্যে অনুমোদন দিয়েছেন। আমি স্বয়ং সেখানে উপস্থিত ছিলাম। আমি যতটুকু জানেছি মন্ত্রী মহোদয়ের স্বাক্ষরকৃত সেই ফাইল এখন ক্রীড়া পরিষদে জমা হয়ে আছে। প্রজ্ঞাপনের অপেক্ষায় আছে। ফেডারেশন হিসেবে অনানুষ্ঠানিকভাবে এতদিন কাগজে-কলমে থাকলেও এটাকে অ্যাসোসিয়েশন হিসেবে স্বীকৃত দেয়ার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আশাকরি আমরা শিগগিরই এর অনুমোদন পেয়ে যাব।

প্রশ্ন : আমাদের প্যারা খেলোয়াড়ের যথেষ্ট স্বল্পতা রয়েছে। এ বিষয়ে কিছু ভেবেছেন কিনা? ভবিষ্যতে এটা নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা কিংবা পরিকল্পনা রয়েছে কিনা? এনায়েত উল্যা খান : সামনে প্যারা ব্যাডমিন্টন নিয়ে অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। নতুন প্লেয়ার বাছাইয়ের কাজ শিগগিরই শুরু করব। তাদের নিয়ে দীর্ঘমেয়াদে ট্রেনিংয়ের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতিভাবান প্লেয়ারদের বাছাই করে তাদের সারা বছর অনুশীলনের ভেতরে রাখার কাজ করব। প্রোজেক্টটা শিগগিরই শুরুই ইচ্ছা রয়েছে। এজন্য বড় অঙ্কের অর্থের প্রয়োজন। আমাদের ফান্ডিংয়ের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। এ নিয়ে কিছুটা শঙ্কিত। প্যারা ব্যাডমিন্টন অ্যাসোসিয়েশনের অনুমোদনটা দ্রুত পেয়ে গেলে সুবিধা হতো মুভ করার, স্পন্সরদের কাছে যাওয়ার। আমি মাননীয় ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের নিকট বিনীত অনুরোধ রাখব; সেই সঙ্গে আমাদের এনপিসির মহাসচিব মাকসুদ স্যার, সহ-সভাপতি সালাম স্যার, প্রেসিডেন্ট ভ্যালরিসহ সকলকে অবহিত করব তারা যেন অ্যাসোসিয়েশন অনুমোদনের ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেন। প্যারা স্পোর্টস নিয়ে কারা কি কাজ করল না করল- সেদিকে আমার ভ্রুক্ষেপ নেই। আমি শুরুর দিন থেকে আজোবধি প্যারা ব্যাডমিন্টনের উন্নয়ন-উন্নতিতে কাজ করছি। সকলের সহযোগিতায় সেই কাজকে আরো অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

ব্যাডমিন্টন,বাংলাদেশ,প্যারা ব্যাডমিন্টন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close