• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

কান্না লুকোচ্ছিলেন রোহিত, দ্রুত মাঠ ছাড়ার চেষ্টায় কোহলি

প্রকাশ:  ২০ নভেম্বর ২০২৩, ০২:১৩
স্পোর্টস ডেস্ক

টানা দশ ম্যাচ জিতে ফাইনালে গিয়েছিলো স্বাগতিক ভারত। কিন্তু বিশ্বকাপের শিরোপা জেতার স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেলো ১৩০ কোটি জনসংখ্যার দেশটির। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের ১ লাখ ৩২ হাজার দর্শকের নীল গর্জন নিস্তব্ধ করে হেক্সা পূরন করে নেয় অস্ট্রেলিয়া।

এদিকে ফাইনালে হারের পর বেশিরভাগ ভারতীয় খেলোয়াড়ের মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছিলো না। মানতে পারছিলেন না রোহিত শর্মা। কোনো রকমে হাত মেলাচ্ছিলেন প্রতিপক্ষ ক্রিকেটারদের সঙ্গে; আর চেষ্টা করছিলেন কান্না লুকোনোর কিন্তু এরপরই কেঁদে ফেললেন ভারত অধিনায়ক। বিরাট কোহলিও অনেক কষ্টে চেপে রেখেছিলেন কান্না। ছলছল চোখে বিরাট দ্রুত মাঠ ছাড়ার চেষ্টা করছিলেন।

অনেকদিন ধরেই বলে আসছেন যে এটাই তার কাছে স্বপ্নের ট্রফি। সেটার জন্য নিজের ব্যক্তিগত মাইলস্টোন, শতরান, অর্ধশতরান বিসর্জন দিয়েছেন। দলের স্বার্থে মেরে খেলেছেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত স্বপ্ন অধরা থেকে গেলো রোহিতের। আর সেই স্বপ্নভঙ্গের পরে একা-একা মাঠ থেকে বেরিয়ে যান ভারতীয় অধিনায়ক।

গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের জয়সূচক শটটা মারতেই হাঁটু মুড়ে মাঠে বসে পড়েন কেএল রাহুল। মাথা নীচু করে থাকতে দেখা যায় তাকে। হয়তো চোখে জল ছিলো, হয়তো ছিলো না। কিন্তু গোটা বিশ্বকাপে যেভাবে তিনি খেলেছেন, সেটার জন্য অবশ্যই মাথা উঁচু করে থাকতে পারেন।

সবচেয়ে বেশি হতাশ লাগছিলো মোহাম্মদ সিরাজকে। মাঠেই কেঁদে ফেলেন তিনি। মাঠে সিরাজের কান্না নতুন নয়। প্রথমবার ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়ে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে গিয়ে কেঁদেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য শুনেও কেঁদেছিলেন। কিন্তু সে সবের চেয়ে এদিনের কান্না অনেক বেশি কষ্টের।

একই অবস্থা দেখা গেলো ভারতীয় সাপোর্ট স্টাফদের মধ্যেও। মাথা নিচু করে মাঠে ঢোকেন রাহুল দ্রাবিড়রা। নিয়ম মেনে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আবার মাঠ ছাড়েন তারা। বোঝাই যাচ্ছিলো, কতোটা দুঃখে রয়েছে গোটা দল। বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের ধাক্কা তখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি তারা।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

বিরাট কোহলি,মাঠ,কান্না,রোহিত শর্মা,ভারত,অস্ট্রেলিয়া
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close