এমবাপ্পেকে না পেলে হলান্ডকে চায় রিয়াল, কী ভাবছে সিটি
চলছে শীতকালীন দলবদল। আলোচনায় আছে কিলিয়ান এমবাপ্পেসহ বেশ কিছু নামী খেলোয়াড়ের দলবদল। এদিকে এমবাপ্পেকে নিয়ে পিএসজি ও রিয়াল মাদ্রিদের পুরোনো যুদ্ধ আবার নতুন করে শুরু হয়েছে। তবে রিয়াল এখন শুধু এমবাপ্পেতেই আটকে নেয়, ক্লাবটি হাত বাড়িয়ে রেখেছে ম্যানচেস্টার সিটি তারকা আর্লিং হলান্ডের দিকেও। যদি এমবাপ্পেকে পাওয়া না যায় তবে হলান্ডকেই মাদ্রিদে আনতে চায় তারা।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এএস জানিয়েছে, এমবাপ্পের কাছ থেকে উত্তর পেতে জানুয়ারির ১৫ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করবে রিয়াল। আর নয়তো দলবদলে হলান্ডকে ভাবনায় রেখে পরিকল্পনা করবে তারা। নরওয়েজীয় এই স্ট্রাইকার নাকি এখনো কার্লো আনচেলত্তির রাডারে আছেন। আর রিয়াল চাইলে হলান্ডও যেকোনো সময় ক্লাব বদলাতে রাজি হবে বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
সম্পর্কিত খবর
অন্য কোনো ক্লাব হলে অবশ্য দলবদলের প্রসঙ্গটা উড়িয়ে দেওয়া যেত, তবে দলটি রিয়াল বলেই যত জল্পনাকল্পনা। ১৪টি চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা দলকে ফিরিয়ে দেওয়া খুব একটা সহজ নয়। এএসের মতে, হলান্ডের রিলিজ ক্লজও নাকি রিয়ালের নাগালের মধ্যে।
সিটির সঙ্গে হলান্ডের চুক্তি শেষ হবে ২০২৭ সালে, এ স্ট্রাইকারের জন্য সিটির ১৭২ মিলিয়ন পাউন্ডের রিলিজ ক্লজের (চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে বর্তমান ক্লাবের ইচ্ছার বাইরে কোনো ক্লাব সেই খেলোয়াড়কে কিনতে চাইলে যে পরিমাণ অর্থ বর্তমান ক্লাবকে দিতেই হয়) কথাও শোনা যাচ্ছে।
তবে বিশাল অঙ্কের এই রিলিজ ক্লজ নাকি শুধু প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোর জন্য প্রযোজ্য। প্রিমিয়ার লিগের বাইরে ইউরোপের অন্যান্য অঞ্চলের ক্লাবগুলো তাঁকে চাইলে ৮৬ মিলিয়ন পাউন্ডেও কিনতে পারবে। আর এই দামে হলান্ডকে কেনা রিয়ালের জন্য খুব কঠিন হবে না।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সানস্পোর্টস জানিয়েছে, দলবদলের আলোচনায় হলান্ডের নাম আসার পরও সিটি বিষয়টি নিয়ে তেমন একটা উদ্বিগ্ন নয়। তাদের বিশ্বাস, সব গুঞ্জন উড়িয়ে হলান্ড শেষ পর্যন্ত সিটিতেই থাকবেন। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে সানস্পোর্টস জানিয়েছিল, হলান্ডের সঙ্গে সিটি নতুন চুক্তির পরিকল্পনা করছে, যা তাঁকে সবচেয়ে বেশি বেতন পাওয়া খেলোয়াড়ে পরিণত করবে।
ধারণা করা হচ্ছে, শেষ পর্যন্ত আগামী গ্রীষ্মে রিয়াল যদি এমবাপ্পেকে দলে টানতে না পারে, তবে হলান্ডই হবেন তাদের মূল লক্ষ্য। এমবাপ্পেকে পেলে হয়তো হলান্ডের রিয়ালের আসার স্বপ্ন আরেকটু দীর্ঘায়িত হবে। হলান্ড নাকি এরই মধ্যে স্প্যানিশ শহর মারবেলাতে এক বছর আগে বাড়িও কিনেছেন। স্পেনে ভ্রমণ করাও নাকি তিনি বেশ পছন্দ করেন। তবে রিয়ালের খেলোয়াড় হয়ে হলান্ড স্পেনে নিজের বাড়িতে আসতে পারবেন কি না, তা জানতে আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে।