• শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

দেশম এখন একা

প্রকাশ:  ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৬
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

ফুটবলার এবং কোচ হিসেবে বিশ্বকাপজয়ী দলের সঙ্গে ছিলেন তিনজন। তাদের মধ্যে দুজন পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন। বেঁচে আছেন আর একজন।

এ বছরের শুরুতেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি মারিও জাগালো। তিনি খেলোয়াড় ও কোচ উভয় ভূমিকায় বিশ্বকাপ জেতা প্রথম ব্যক্তি।

জার্মান কিংবদন্তি ফুটবলার ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার কদিন আগে মৃত্যুবরণ করেন। ফুটবলার ও কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জয় করা তিনজনের মধ্যে তিনিও একজন। আরেকজন হলেন ফ্রান্সের দিদিয়ের দেশম। দেশম বর্তমানে ফরাসি কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। দিদিয়ের দেশম

ফ্রান্স ফুটবলকে আজীবনের জন্য ঋণের বন্ধনে আবদ্ধ করে ফেলেছেন দিদিয়ের দেশম। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে খেলোয়াড় হিসেবে ফরাসিদের প্রথম বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিলেন তিনি। সে সময় মাঠের নেতৃত্ব ও রক্ষণভাগটাকে সামলেছেন একক নৈপুণ্যে। এর দুই দশক পর আরেকবার ফরাসিদের গল্প করার মতো উপলক্ষ এনে দেন কোচ হিসেবে। দ্বিতীয়বার কোচ হিসেবে ফ্রান্সকে বিশ্বকাপ এনে দেন দেশম।

তার অধীনে ২০১৮ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে ৪-২ গোলে হারিয়ে শিরোপা জেতে ফ্রান্স। খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জেতা তৃতীয় ব্যক্তি দেশম।

২০১৬ ইউরো কাপেও ফ্রান্সকে ফাইনালে তুলেছিলেন দেশম। ১৯৮৯ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সের নীল জার্সি গায়ে তিনি প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মাঠে লড়াই করেছেন। এরপর ২০১২ সালে ফ্রান্স জাতীয় দলের দায়িত্ব কাঁধে তুলেন নেন তিনি। মারিও জাগালো

খেলোয়াড় ও কোচের ভূমিকায় ইতিহাসে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে বিশ্বকাপ জিতেছিলেন মারিও জাগালো। ব্রাজিল যে পাঁচটি বিশ্বকাপ জিতেছে তার মধ্যে চারটি শিরোপাই জাগালোর স্মৃতিধন্য।

অপেশাদার ফুটবল থেকে পঞ্চাশের দশকে উঠে আসা সাবেক এই লেফট উইঙ্গার ব্রাজিলের আক্রমণভাগে সৌন্দর্যের সঙ্গে রক্ষণাত্মক কলাকৌশলও যোগ করেছিলেন। জাগালোর ব্রাজিল দলে অভিষেক ২৬ বছর বয়সে।

১৯৫৮ বিশ্বকাপ শুরুর কিছুদিন আগে জাতীয় দলে অভিষেক হয়। তবে এর পর থেকেই জাতীয় দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছিলেন। ১৯৬২ বিশ্বকাপজয়ী দলেও ছিলেন জাগালো। ব্রাজিলের হয়ে খেলেছেন ৩৭ ম্যাচ।

১৯৭০ বিশ্বকাপ জয়ের পর ফ্লামেঙ্গো ও ফ্লুমিনিন্সে কোচ হিসেবে একাধিক শিরোপা জিতেছেন জাগালো। এরপর কুয়েতের ফুটবলে গিয়ে ১৯৭৬ সালে জিতেছেন গালফ কাপ। সে বছর উঠেছিলেন এশিয়ান কাপের ফাইনালেও।

১৯৯৪ যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপে ব্রাজিল জাতীয় দলের টেকনিক্যাল পরিচালক হিসেবে ডাক পড়ে জাগালোর। কোচ কার্লোস আলবার্তো পেরেইরার সঙ্গে জুটি বেঁধে সেবার ব্রাজিলের চতুর্থ বিশ্বকাপ জয়ে দারুণ অবদান ছিল জাগালোর। ফাইনালে ইতালিকে টাইব্রেকারে হারিয়েছিল ব্রাজিল। চার বছর পর ব্রাজিল কোচ হিসেবে ফ্রান্স বিশ্বকাপে গিয়ে অবশ্য ফাইনালে হতাশ হতে হয়। ফ্রান্সের কাছে ৩-০ গোলে ফাইনাল হেরেছিল ব্রাজিল। লুইস ফেলিপে স্কলারি ব্রাজিলকে ২০০২ বিশ্বকাপ জেতানোর পর কিছুদিন অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্বও পালন করেছিলেন জাগালো।

গত শনিবার (৬ জানুয়ারি) ব্রাজিলিয়ান ফুটবলে কিংবদন্তি মর্যাদা পাওয়া সেই মারিও জাগালো ৯২ বছর বয়সে মারা গেছেন। ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার

পশ্চিম জার্মানিকে হারিয়ে ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ড ফুটবল বিশ্বকাপ জিতেছিল। সেই দলে ছিলেন বেকেনবাওয়ার। ইংল্যান্ডের কাছে সেই হার তরুণ বেকেনবাওয়ারের জেদ আরও বাড়িয়ে তুলেছিল। ১৯৭৪ সালে তার নেতৃত্বেই বিশ্বকাপ জেতে তৎকালীন পশ্চিম জার্মানি।

জার্মানির আইকনিক এই ফুটবলার ১৯৯০ সালে আবার কোচ হিসেবেও বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছিলেন। জার্মানির হয়ে তিনি সব মিলিয়ে খেলেছেন ১০৪ ম্যাচ। এছাড়া বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে ১৯৭০-এর দশকে ইউরোপিয়ান কাপ জয়ের হ্যাটট্রিকও করেছেন বেকেনবাওয়ার। ক্যারিয়ারজুড়ে সাফল্যের মুকুটে দুর্দান্ত সব পালক যোগ করার পথে তিনি সর্বকালের সেরা ডিফেন্ডারদের একজন হিসেবেও স্বীকৃতি পেয়েছেন।

২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি মারা যান বেকেনবাওয়ার। জার্মান এই কিংবদন্তি ফুটবলারের বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। “ডার কাইজার” নামেও পরিচিতি ছিলেন তিনি।

খেলা,ফুটবল,ফিফা,ফ্রান্স,ব্রাজিল,জার্মানি
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close