• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

কুমিল্লার রানের পাহাড়ে চাপা পড়ল চট্টগ্রাম

প্রকাশ:  ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৯
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

উইল জ্যাকসের ৫৩ বলে ১০৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ২৩৯ রানের রেকর্ড সংগ্রহ পেয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বিশাল এই লক্ষ্য সামনে রেখে বেশ ভালো শুরু এনে দিয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ব্যাটসম্যানরা। তবে শেষ দিকে গিয়ে অল্প সময়ে দ্রুত উইকেট হারিয়ে অলআউট হয়েছে চট্টগ্রাম; ম্যাচে হেরেছে ৭৩ রানে।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে জ্যাকসের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে কুমিল্লা ৩ উইকেটে ২৩৯ রানের সংগ্রহ পায়। বিপিএল ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর। ২০১৯ সালে একই মাঠে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে ৪ উইকেটে সমান ২৩৯ রান করেছিল রংপুর রাইডার্স।

বিপিএলে দলীয় রানের সর্বোচ্চ ১০টি ইনিংসের মধ্যে প্রথম ৮টি ইনিংসই দেখা গেছে চট্টগ্রামের মাটিতে।

চট্টগ্রামের বিপক্ষে ব্যাটে নেমে ৩১ বলে অর্ধশতক করা জ্যাকস শতক করেছেন ৫০ বলে। জ্যাকসের শতক ছাড়াও রান পেয়েছেন লিটন দাস ও মঈন আলী। ৩১ বলে ৬০ রান করেন লিটন। আর বিপিএলে এই মৌসুমে প্রথমবার মাঠে নেমেই মইন অপরাজিত ছিলেন ২৪ বলে ৫৩ রান করে। এদিন ৪ ওভার বল করে ৬৯ রান দিয়েছেন পেসার আল আমিন-বিপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে খরুচে স্পেল।

শূন্য রানে বেঁচে যাওয়া জ্যাকস খেলেছেন কুমিল্লার ইনিংসের পুরোটা। শহিদুল ইসলামের বলে লং অফ দিয়ে মারা ছক্কায় পূর্ণ করেছেন নিজের সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৫৩ বলে করেছেন ১০৮ রান। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছেন ৫ চার ও ১০ ছক্কায়।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ২৪০ রানের বড় টার্গেটে ব্যাটে নেমে লড়াইয়ের আভাস দিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ১৪ ওভারে গিয়ে ৫ উইকেটে ১৪৪ রান পর্যন্ত তুলেছিল চট্টগ্রাম। এরপর মাত্র ১৫ বলের মধ্যে বাকি ৫ উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। ১৬.৩ ওভারে ১৬৬ রান করতে সক্ষম হয় তারা; ম্যাচে হেরেছে ৭৩ রানে।

চট্টগ্রামের হয়ে ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার জশ ব্রাউন ও তানজিদ হাসান। ব্রাউন ২৩ বলে ৩৬ এবং তানজিদের ব্যাট থেকে আসে ২৪ বলে ৪১ রান। এছাড়া পাঁচে নেমে ১১ বলে ৩৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন সৈকত আলী। কুমিল্লার হয়ে চারটি করে উইকেট নেন মঈন আলী ও রিসাদ হাসান।

চট্টগ্রাম,কুমিল্লা,ক্রিকেট,বিপিএল
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close